ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি বাহিনীর অব্যাহত হামলায় নতুন করে প্রাণহানি ঘটেছে। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা থেকে শুক্রবার সন্ধ্যা পর্যন্ত একদিনে ৬০ জন নিহত এবং অন্তত ১৪২ জন আহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। শুক্রবার রাতে এ তথ্য জানানো হয়।
মন্ত্রণালয়ের হিসাব অনুযায়ী, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর থেকে চলমান অভিযানে এখন পর্যন্ত গাজায় মোট নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬৫ হাজার ৫৪৯ জনে। আহত হয়েছেন অন্তত ১ লাখ ৬৭ হাজার ৫১৮ জন। তবে প্রকৃত সংখ্যা আরও বেশি হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। ধ্বংসস্তূপে বহু মানুষ আটকা পড়ে আছেন, কিন্তু সীমিত সরঞ্জাম ও জনবল সংকটের কারণে উদ্ধারকাজে বিলম্ব হচ্ছে।
এছাড়া, চলতি বছরের ২৭ মে থেকে গাজায় ত্রাণ নিতে যাওয়া বেসামরিক নাগরিকদের ওপরও নিয়মিত হামলা চালাচ্ছে ইসরায়েলি সেনারা। কেবল শুক্রবার ত্রাণ সংগ্রহের সময় ইসরায়েলি গোলায় নিহত হয়েছেন ৫ জন এবং আহত হয়েছেন আরও ৩৩ জন।
উল্লেখ্য, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাস ইসরায়েলে আকস্মিক হামলা চালায়। ওই হামলায় ১ হাজার ২০০ জন নিহত হন এবং ২৫১ জনকে জিম্মি করে নিয়ে যায় হামাস। এর পরদিন থেকেই গাজায় ব্যাপক সামরিক অভিযান শুরু করে ইসরায়েল, যা এখনও চলমান।
এই অভিযানের প্রেক্ষিতে আন্তর্জাতিক মহল উদ্বেগ প্রকাশ করলেও তা উপেক্ষা করে ইসরায়েল সামরিক তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছে। গত নভেম্বরে নেদারল্যান্ডসভিত্তিক আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত (আইসিসি) ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু ও সাবেক প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োয়াভ গ্যালান্তের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে। পাশাপাশি জাতিসংঘের আন্তর্জাতিক আদালতে (আইসিজে) ইসরায়েলের বিরুদ্ধে গণহত্যার অভিযোগে মামলা চলছে।
তবে প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন, হামাসকে পুরোপুরি নির্মূল না করা পর্যন্ত গাজায় সামরিক অভিযান অব্যাহত থাকবে।







