ভারতের রাজনীতিতে ফের উত্তেজনা ছড়িয়েছে ভোট চুরির অভিযোগকে কেন্দ্র করে। বিরোধী নেতারা দাবি করছেন, ২০২৪ সালের সাধারণ নির্বাচনে নির্বাচন কমিশন (ইসি) ক্ষমতাসীন বিজেপিকে বেআইনি সুবিধা দিয়েছে। এ নিয়ে সংসদে তুমুল বিতর্কের জেরে অধিবেশন স্থগিত হয়। এর আগে নয়াদিল্লিতে ইসি কার্যালয় ঘেরাও কর্মসূচিতে অংশ নেওয়ায় কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীসহ কয়েকজনকে পুলিশ আটক করে।
৭ আগস্ট রাহুল সংবাদ সম্মেলনে জানান, ব্যাঙ্গালুরুর মহাদেবপুরা এলাকায় ১ লাখের বেশি ভোটার অনিয়ম করে নিবন্ধন হয়েছে, যাদের মধ্যে অনেকেই ডুপ্লিকেট বা ভুল ঠিকানায় তালিকাভুক্ত। এক ঠিকানায় ৮০ জন ভোটার নিবন্ধনের ঘটনাও তিনি প্রকাশ করেন। রাহুলের অভিযোগ, এসব অনিয়মে কংগ্রেস অন্তত ৪৮টি আসন হারিয়েছে এবং ইসি ভোটকেন্দ্রের সিসিটিভি ফুটেজ মুছে ফেলেছে।
ইসি অভিযোগ অস্বীকার করে বলেছে, কংগ্রেস ভোটার তালিকা সংশোধনের সময় কোনো আপত্তি জমা দেয়নি এবং ভোটের পর ৪৫ দিন পর্যন্তই সিসিটিভি ফুটেজ সংরক্ষণের নিয়ম রয়েছে। বিজেপি নেতারা রাহুলের বক্তব্যকে ‘গণতন্ত্রের জন্য বিপজ্জনক’ আখ্যা দিয়েছেন।
এদিকে, বিহার রাজ্যেও ভোটার তালিকা সংশোধন নিয়ে বিতর্ক চলছে। সমালোচকদের দাবি, তাড়াহুড়ো করে সংশোধন করায় অভিবাসী ও সংখ্যালঘু অনেক ভোটার বাদ পড়েছেন। সুপ্রিম কোর্টে দায়ের হওয়া পিটিশনে প্রায় ৬৫ লাখ ভোটারের নাম বাদ দেওয়ার কারণ জানতে চাওয়া হয়েছে। ইসি জানিয়েছে, বাদ পড়াদের মধ্যে অনেকে মৃত, একাধিকবার নিবন্ধিত বা স্থানান্তরিত।
রাহুল গান্ধী অভিযোগ তুলেছেন, জাতীয় পর্যায়েও ভোটার তালিকায় অসংখ্য অসঙ্গতি রয়েছে। উদাহরণ হিসেবে তিনি বিহারের খসড়া তালিকায় ১২৪ বছর বয়সী এক ব্যক্তির নাম থাকার কথা উল্লেখ করেছেন। পরিস্থিতি ক্রমেই রাজনৈতিকভাবে উত্তপ্ত হয়ে উঠছে।







