শাহজাহান আলী মনন, সৈয়দপুর (নীলফামারী) প্রতিনিধি:
নীলফামারীর সৈয়দপুরে মৌসুমের প্রবল ঝড় ও টানা বৃষ্টিতে ব্যাপক ফসলহানি ও বাড়িঘরের ক্ষয়ক্ষতির ঘটনা ঘটেছে। বিশেষ করে উঠতি বোরো ধান ও ভুট্টা খেতের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে বলে জানিয়েছে স্থানীয় কৃষি বিভাগ। সেই সঙ্গে কিছু এলাকায় ঘরবাড়ি ও দোকানের চাল উড়ে গিয়ে বিপর্যয়ের মুখে পড়েছে সাধারণ মানুষ।
সোমবার (১৯ মে) সকালে উপজেলার ৫টি ইউনিয়ন ও পৌর এলাকার বিভিন্ন স্থানে সরেজমিনে দেখা যায়, রোববার সন্ধ্যা থেকে রাতভর চলা ঝড় ও বজ্রসহ বৃষ্টিতে বোরো ধানের জমিগুলো পানিতে তলিয়ে গেছে, অনেক ক্ষেতেই ধান নুয়ে পড়েছে। যেসব জমিতে ধান কেটে রাখা হয়েছিল, সেগুলোরও শুকানো বন্ধ হয়ে পড়েছে, ফলে তা পচে যাওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।
ঝড়ে শহরের সৈয়দপুর পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় সংলগ্ন কয়েকটি দোকানের চালা উড়ে গিয়ে বৈদ্যুতিক তারে আটকে যায়, যা তাৎক্ষণিক বিপজ্জনক পরিস্থিতি সৃষ্টি করে।
অন্যদিকে কৃষকদের অভিযোগ, আর মাত্র ১০-১৫ দিনের মধ্যে ধান কাটা-মাড়াই শুরু হওয়ার কথা ছিল। ঠিক এই সময়েই এমন ঝড় ও বৃষ্টিপাত তাদের আর্থিকভাবে বড় ক্ষতির মুখে ফেলেছে।
সৈয়দপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ধীমান ভূষণ জানান,
“উপজেলার মাঠ পর্যায়ে উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তারা ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণে কাজ শুরু করেছেন। নেতিয়ে পড়া ফসল যেন পুনরায় দাঁড় করানো যায় এবং যথাযথ পরিচর্যার মাধ্যমে যতটা সম্ভব ফসল রক্ষা করা যায়, সে জন্য কৃষকদের পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।”
এ বিষয়ে সৈয়দপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও পৌর প্রশাসক নূর-ই আলম সিদ্দিকী বলেন,
“ইউনিয়ন পর্যায়ের জনপ্রতিনিধিদের ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। আমরা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনায় সর্বাত্মক প্রস্তুতি নিয়েছি এবং যত দ্রুত সম্ভব ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তা দেওয়া হবে।”
স্থানীয়রা বলছেন, বৈরী আবহাওয়ার এই ধাক্কা কৃষক পরিবারগুলোর জন্য চরম সংকট ডেকে এনেছে। তারা দ্রুত সরকারি সহায়তা ও ক্ষতিপূরণের দাবি জানিয়েছেন।