সাতক্ষীরার শ্যামনগরে বিএনপি’র দু’গ্রুপের সংঘর্ষে ওসিসহ আহত ২২, ১৪৪ ধারা অব্যাহত
সাতক্ষীরা প্রতিনিধি :
সাতক্ষীরার শ্যামনগরে বিএনপি’র দু’গ্রুপের মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে থানার ওসি,আনসার সদস্য ও উভয় পক্ষের কমপক্ষে ২২ জন আহত হয়েছে। বৃহস্পতিবার সকালে সেনাবাহিনী, পুলিশের উপস্থিতিতে এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে।আর যাতে কোন অপ্রীতি ঘটনা না ঘটে সেলক্ষ্যে শ্যামনগর পৌর এলাকা ১৪৪ ধারা জারি বলবত রয়েছে বলে জানান শ্যামনগর উপজেলা প্রশাসন।যা পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত বলবত থাকবে।
বুধবার(২২ জানুয়ারি)বিকালে সাতক্ষীরা শ্যামনগর উপজেলার ইসমাইলপুর এলাকায় এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
বিএনপি’র দু’গ্রুপের ইট বৃষ্টির মধ্যে পড়ে শ্যামনগর থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি হুমায়ুন কবীর ও ইউএনও’র বডিগার্ড আনসার সদস্য সাইফুল ইসলামসহ ২২জন আহত হয়। সংঘর্ষ এড়াতে এর আগে প্রশাসন শ্যামনগর সদরে ১৪৪ ধারা জারি করে।কিন্তু তারা ধারাকে তোয়াক্কা না করে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে লিপ্ত হয় বিএনপির দু’গ্রুপের নেতাকর্মীরা।
আহতদের মধ্যে আনসার সদস্য সাইফুলসহ পথচারী মেহেদী,বিএনপি কর্মী,আব্দুর রশিদ,আব্দুল মজিদ ও আব্দুর রাজ্জাককে শ্যামনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।বাকীদের স্থানীয় ভাবে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
শ্যামনগর উপজেলা বিএনপি’র দু’গ্রুপের মধ্যে ইট বৃষ্টি নিক্ষেপ, ঠাল, দেশীয় অস্ত্রে সস্ত্রে সজ্জিত হয়ে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে লিপ্ত হয়।এ সময় জীবনের মায়া তোয়াক্কা করে শ্যামনগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোছা.রনী খাতুনের নেতৃত্বে সেনাবাহিনী ও পুলিশ সদস্যরা সবার আগে সংঘর্ষে ঠেকানোর চেষ্টা করে।যা এই মুহুর্তে নজির গড়লেন বলে অনলাইনে ভাইরাল হওয়া ভিডিও ফুটেজই তার প্রমান।
শ্যামনগর উপজেলা বিএনপির নেতৃবৃন্দসহ স্থানীয় প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, সদ্য ঘোষিত উপজেলা বিএনপি নেতৃবৃন্দ বুধবার উপজেলা সদরে শান্তি সমাবেশের আয়োজন করে। এমন খবরে দুপুরের দিক থেকে বিলুপ্ত কমিটির নেতাকর্মীরা উপজেলা সদরের বিভিন্ন প্রান্তে লাঠিশোটা নিয়ে অবস্থান নিতে থাকে। খবর পেয়ে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, বিকাল সাড়ে চারটার দিকে বিএনপি নেতা সোলায়মান কবীরের নেতৃত্বে একটি মিছিল বিএনপি নেতা আশেক-ই এলাহী মুন্নার বাড়ির অতিক্রম করছিল। এসময় অজ্ঞাত স্থান থেকে মিছিলের উপর একটি লাঠি ছুড়ে মারার পর দু’গ্রুপই সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এসময় উভয় পক্ষ ইট-পাটকেল নিক্ষেপ শুরু করলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোছা. রনী খাতুন ও সহকারী কমিশনার (ভুমি) আব্দুল্লাহ আল রিফাত পুলিশ ও সেনাসদ্যদের নিয়ে উভয় পক্ষকে নিবৃত করার চেষ্টা চালায়।এসময় শ্যামনগর থানার অফিসার ইনচার্জ হুমায়ুন কবীরসহ উভয় পক্ষের অন্তত ২২জন আহত হয়। একপর্যায়ে বিএনপি নেতা আশেক-ই এলাহী মুন্না ও আ.লীগ কর্মী আহমদ আলী কয়ালের বাড়ি ভাংচুর করা হয়।