ব্রাহ্মণপাড়ায় রাতের আঁধারে মই টেনে ৪৬ শতাংশ জমির ধান নষ্ট করল দুর্বৃত্তরা
ব্রাহ্মণপাড়া, কুমিল্লা প্রতিনিধি:
কুমিল্লার ব্রাহ্মণপাড়ায় রাতের অন্ধকারে মই টেনে সদ্য রোপণ করা এক কৃষকের ৪৬ শতক জমির ধানক্ষেত নষ্ট করেছে দুর্বৃত্তরা। এতে ক্ষতির মুখে পড়েছেন ওই কৃষক। এ নিয়ে ভুক্তভোগী কৃষক থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেছেন।
রোববার ( ১৯ জানুয়ারি ) দিবাগত রাতে উপজেলার শশীদল ইউনিয়নের নাগাইশ এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, বিগত ১০ বছর আগে উপজেলার শশীদল ইউনিয়নের নাগাইশ এলাকার মৃত আবদুর রহমানের ছেলে ইঞ্জিনিয়ার ইদ্রিস তার ৪৬ শতক জমি একই এলাকার আবদুল মান্নানের ছেলে জাহাঙ্গীর আলমের কাছে ১ লক্ষ ৫০ হাজার টাকায় বন্ধক দেয়। বিগত দশ বছর যাবৎ জাহাঙ্গীর আলম জমিটাতে চাষাবাদ করে আসছেন। প্রতিবছরের ন্যায় এবছরও তিনি জমি প্রস্তুত করে জমিতে বোরোধান আবাদ করেন। পরে ওই রাতেই মই টেনে পুরো ধানক্ষেত নষ্ট করে দেয় দুর্বৃত্তরা।স্থানীয় বাসিন্দা সিদ্দিকুর রহমান বলেন, আগের দিন চারাগুলো রোপণ করে যান শ্রমিকরা। সেদিনই গভীর রাতে কে বা কারা এসে মই টেনে সব ধানের চারা নষ্ট করে দেয়। সকালে দেখি সবকিছু শেষ হয়ে গেছে। বিরোধ বা পূর্বশত্রুতা থাকতেই পারে। তাই বলে রাতের অন্ধকারে এমন গর্হিত কাজ করা উচিত হয়নি। আমরা চাই, এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত করে দোষীদের আইনের আওতায় আনা হোক। এব্যপারে ভুক্তভোগী কৃষক জাহাঙ্গীর আলম বলেন, আমার ছেলের প্রবাস জীবনে অনেক কষ্টের উপার্জন জমিয়ে ১ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা দিয়ে ৪৬ শতাংশ জমি বন্ধক রাখি। বন্ধক রাখার পর থেকেই বিগত দশ বছর যাবৎ এই জমিতে চাষাবাদ করে আসছি।
তিনি আরও বলেন, জমির মালিকানা নিয়ে ইদ্রিস মিয়া গং আর মজিবুর রহমান গংদের মধ্যে দ্বন্দ্ব চলছে। এটা নিয়ে কোর্টে মামলা চলমান। তবে ব্রাহ্মণপাড়া থানা পুলিশ উভয় পক্ষকে ডেকে নিয়ে মীমাংসা করার চেষ্টা করেছেন, কিন্তু পারেন নি। আমি তখন থানায় পুলিশের উপস্থিতে বলেছি মামলার রায়ে যে পায় আমি তাকে জমি বুঝিয়ে দেব। এই বলে থানা থেকে চলে আসি। পরের দিন জমিতে ধান রোপন করি। ধান লাগানোর পর রাতেই মই টেনে জমির সব ধানের চারা নষ্ট করা হয়েছে। আমার ধারণা, জমি নিয়ে ঝামেলার সূত্র ধরেই গভীর রাতে এই ক্ষতি করা হয়েছে। সকালে এসে জমির অবস্থা দেখে হতভম্ব হয়ে যাই। এ নিয়ে আমি থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেছি। আমি এই অন্যায়ের বিচার দাবি করছি। এব্যাপারে ব্রাহ্মণপাড়া থানার উপপরিদর্শক এসআই মোহাম্মদ শাহাবুর আলম বলেন, কৃষকের অভিযোগ পেয়ে আমি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেছে। এ বিষয়ে তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।