চাঁদপুরে শিশু ধর্ষণের মামলায় মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাতা ও প্রিন্সিপাল গ্রেফতার
চাঁদপুর প্রতিনিধি:
চাঁদপুরের কচুয়ায় ৯ বছরের এক শিশুকে জোর পূর্বক ধর্ষণের দায়ে বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস কেন্দ্রীয় কমিটির নির্বাহী সদস্য কাজী মোঃ আসাদ (৫৫) কে গ্রেফতার করা হয়েছে।
ঘটনাটি ঘটেছে কচুয়া পৌরসভাধীন আয়েশা সিদ্দিকা মহিলা মাদ্রাসায়। ভুক্তভোগী শিশুটি অত্র মাদ্রাসার আবাসিক শিক্ষার্থী। ধর্ষিতা শিশু উপজেলার উত্তর আকানিয়া গ্রামের আব্দুর রহমানের মেয়ে।
এজহার সূত্রে জানা যায়, কাজী মোঃ আসাদ আয়েশা সিদ্দিকা মহিলা মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাতা ও প্রিন্সিপাল। গত (১৩ ডিসেম্বর) শুক্রবার সন্ধ্যায় শিশুটি মাদ্রাসার নিচতলায় খাবার পানি আনতে গেলে কাজী মোঃ আসাদ শিশুটিকে তার রুমে ডেকে নিয়ে জোরপূর্বক ধর্ষণ করেছে। পরে ধর্ষিতা শিশুটি ঘটনাটি তার সহপাঠী ও পরিবারকে জানান ।তার মা তাকে চিকিৎসার জন্য কচুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়।
কচুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্তব্যরত চিকিৎসক জানান, শিশুটিকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে উন্নত চিকিৎসার জন্য চাঁদপুর সদর হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়। চাঁদপুর সদর হাসপাতালে নিভির পর্যবেক্ষণে চিকিৎসা শেষে (২২ ডিসেম্বর) শিশুটির মা বাদী হয়ে কচুয়া থানায় এজাহার দায়ের করেন।
এজহার পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে কচুয়া থানার ওসি (তদন্ত) জিয়াউল হকের নির্দেশনায় এস আই মোশাররফ হোসেন ও দেলোয়ার হোসেন সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে কাজী মোঃ আসাদকে কচুয়া পৌরসভাধীন কাজী বাড়ি থেকে তাকে গ্রেফতার করে।
এ বিষয়ে ধর্ষিতা শিশুটির মা জানান, ধর্ষণের ফলে তার মেয়ের শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাকে চাঁদপুর সদর হাসপাতালে চিকিৎসা করানো হয়েছে। কাজী মোঃ আসাদ এর আগেও মাদ্রাসার শিশুদেরকে তার কক্ষে ডেকে নিয়ে জোরপূর্বক ধর্ষণ করতো।সে প্রভাবশালী হওয়ায় তার বিরুদ্ধে কেউ মুখ খুলে না। আমাদের অনেক হুমকি ধামকি ও ভয়ভীতি দেখিয়েছে যেনো মামলা দায়ের না করি।
কচুয়া থানার ওসি (তদন্ত) জিয়াউল হক ঘটনা সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ধর্ষিতা শিশুটির (২২ ডিসেম্বর) রবিবার এজহার দায়ের করার পর ধর্ষণকারী কাজী মোঃ আসাদকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ধারা ৯(১) অনুযায়ী মামলা রুজু করে যথাযথ পুলিশ পাহারায় চাঁদপুরের বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।