ভারতীয় পেঁয়াজের চাহিদা কম : দেশী পেঁয়াজে বাজার দখল
সাতক্ষীরা :
গ্রীস্মকালীন ও আগাম মুড়িকাটা দেশি জাতের পেঁয়াজ বাজারে উঠতে শুরু করার কমতে শুরু করেছে পেঁয়াজের দাম। একই সাথে কমতে শুরু করেছে ভারত থেকে আমদানিকৃত পেঁয়াজের চাহিদা।
সপ্তাহের ব্যবধানে ৪০-৫০ টাকা কমেছে প্রতি কেজি পেঁয়াজে। এ সপ্তাহে প্রথমদিনে প্রতিকেজি পেঁয়াজ ভোমরা বন্দরে গাড়ি টু গাড়ি বিক্রি হয়েছে ৪০-৪৮ টাকা দরে। যা গত সপ্তাহে বন্দরে পেঁয়াজের প্রকারভেদে বিক্রি হয়েছিলো ৭০-৮০ টাকা কেজিতে।
ভোমরা বন্দরে ভারত থেকে আমদানিকৃত পেঁয়াজের বেচাকেনা নেমে এসেছে অর্ধেকে। অনেকটা দেশি পেঁয়াজে বাজার দখল নিয়েছে।
খোজনিয়ে যানা যায়, শনিবার ভোমরা বন্দরে ভারতীয় এলসিকৃত পেঁয়াজ আমদানি হয় ১১১ ট্রাকে প্রায় ৩ হাজার ১শত ৫০ মেট্রিক টন। যা এ বছরের মধ্যে রের্কাড পরিমান। যার প্রায় অর্ধেক পেঁয়াজ অবিক্রিত থেকে যায়।
একই সাথে শহরে এবং মফস্বল এলাকাতে কমেছে ভারতীয় পেঁয়াজের চাহিদা। দেশি জাতের পেঁয়াজ প্রতিকেজি বিক্রি হচ্ছে ৬০-৬৫ টাকা ও ভারতীয় পেঁয়াজ খুচরা বাজারে বিক্রি হচ্ছে ৫৫-৬৫ দামে সেকারনে দেশি পেঁয়াজের আগ্রহ বাড়ছে ক্রেতাদের।
সাতক্ষীরা সুলতান বড় বাজারে বাজার করতে আশা কবিরুল বলেন, দেশি পেঁয়াজ ও ভারতীয় পেঁয়াজ প্রায় একই দামে বিক্রি হচ্ছে দেশি পেঁয়াজ কিনলাম ৬৫ টাকা কেজি দরে। যেহেতু দেশি জাতের নতুন পেঁয়াজ বাজারে এসেছে এজন্য আমরা দেশের কৃষকদের স্বার্থে দেশি পেঁয়াজ খাবো।
বড় বাজারের পাইকারী ব্যবসায়ী জিহাদ আলী বলেন, বর্তমানে ভরা মৌসুমে কৃষকের স্বার্থে ভারতীয় এলসিকৃত পেঁয়াজ আমদাদি বন্ধ রাখা উচিত তাহলে আমাদের দেশের কৃষক ভালো দাম পাবে এবং পেঁয়াজ চাষে আগ্রহী হবে।
বড় বাজারের পেঁয়াজ আড়ৎদার কামাল হোসেন জানান, বর্তমানে দেশীয় পেঁয়াজের পর্যাপ্ত সরবরাহ রয়েছে। এ কারণে আমদানীকৃত পেঁয়াজের খুব বেশি চাহিদা নেই। বাজারে যে পরিমাণ চাহিদা, তা দেশীয় পেঁয়াজ দিয়েই মিটছে। এ ছাড়া ভারতীয় পেঁয়াজ ও দেশি পেঁয়াজের দাম সামান্য তফাত এ কারনে দেশি পেঁয়াজের আগ্রহ ক্রেতাদের।
ভোমরা বন্দরের ব্যবসায়ী আব্দুল হামিদ বলেন, ভারত থেকে এলসিকৃত পেয়াজের বাজার সপ্তাহের ব্যবধানে ধ্বং নেমে গেছে। গত সপ্তাহে গাড়ি টু গাড়ি বন্দরে পেঁয়াজের প্রকারভেদে বিক্রি হয়েছিলো ৭০-৮০ টাকা কেজি। এ সপ্তাহে প্রথম দিনে বিক্রি হচ্ছে ৪০-৪৮ টাকায়। শনিবার ১১১ ট্রাক পেঁয়াজ আমদানি হলেও প্রায় অর্ধেক অবিক্রিত থেকে যায়। এ সব কারণে ব্যবসায়ীরা পেঁয়াজ আমদানিতে আগ্রহ দেখাচ্ছে না। তবে ওপারের ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কমিশনে ব্যবসা করছে। মাল বেচাকেনা করে টাকা পাঠাচ্ছে এতে লোকসানের ঝুঁকির পরিমাণ কম থাকে। এখন দেশি পেঁয়াজের মৌসুম চলছে দেশীয় পেঁয়াজের মৌসুম শেষ হলে ভারতীয় পেঁয়াজের চাহিদা যেমন বাড়বে। ফলে আমদানীকৃত পেঁয়াজের বাজার স্থিতিশীল থাকবে।
ভোমরা সিএন্ডএফ এজেন্ট এ্যসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মো. আবু মুছা জানান, ভারত থেকে প্রচুর পরিমাণ পেঁয়াজ ও আদা ভোমরা স্থল বন্দর দিয়ে আমদানি হচ্ছে। এতে করে পেঁয়াজ ও আদার দাম বাজারে কম রয়েছে। তা ছাড়া আমাদের দেশিও পেঁয়াজ বাজার আসতে শুরু করার ভারতীয় পেঁয়াজের বাজার নিয়মিত উঠানামা করছে গতকাল এ বন্দর দিয়ে ১১১ ট্রাক পেঁয়াজ আমদানি হয়েছে।