শিরোনাম
সিরাজগঞ্জে ভারতীয় সূতা উদ্ধার করেছে পুলিশ   » «    “প্রশাসন ক্যাডারের বাইরে অন্যান্য ক্যাডারের ৫০% অন্তর্ভুক্তির পুনর্বিবেচনার জন্য অনুরোধ”   » «    ‘ক্রিসমাস ডে’ কে কেন বড়দিন বলা হয়?   » «    সাজাভোগ শেষে ভারত থেকে দেশে ফিরল ২৬ বাংলাদেশি পুরুষ ও নারী   » «    চাঁদপুরে জাহাজে খুনের ঘটনায় আটক ইরফান   » «   

সাংবাদিকতায় ঝুঁকি থাকবেই কিন্তু সৎ ও নিষ্ঠাবানরা হারিয়ে যাবেনা: সৈয়দ আমিরুজ্জামান

শ্রীমঙ্গলে দৈনিক বাংলাদেশের আলো পত্রিকার ১৬তম বর্ষপূর্তি উদযাপন
বিশেষ প্রতিনিধি:
“গণমাধ্যমকে বলা হয় রাষ্ট্রের চতুর্থ স্তম্ভ। অপর তিনটি স্তম্ভ হচ্ছে, আইনসভা, বিচার বিভাগ ও নির্বাহী বিভাগ। বোঝাই যাচ্ছে গণমাধ্যমের গুরুত্ব ও অবস্থান কোথায়! জনস্বার্থ অভিমুখী মুক্ত গণমাধ্যম ছাড়া একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র পূর্ণতা পায় না। সরকার ও প্রশাসনের অসঙ্গতি ধরিয়ে দেওয়াসহ জনগণের সংগ্রামের সহযোদ্ধা হিসেবে গণমাধ্যমকে অতন্দ্র প্রহরীর ভূমিকা পালন করতে হয়।
আসলে গণমাধ্যম হচ্ছে জনগণের সংগ্রামের সহযোদ্ধা, নীতি-আদর্শের যৌথ প্রচারক ও যৌথ আন্দোলনকারী, জনস্বার্থ ও রাষ্ট্রের পাহারাদার। গণমাধ্যমই সঠিক পথ বাতলে দেয় যাতে সরকার, প্রশাসন ও জনগণ সঠিক পথে পরিচালিত হতে পারে। গণমাধ্যম সরকার, প্রশাসন ও জনগণের প্রতিপক্ষ নয়; তবে জনস্বার্থে নজরদারী করবে। কাজেই বলিষ্ট ও শক্তিশালী গণমাধ্যম ছাড়া জনস্বার্থের রাষ্ট্রব্যবস্থা শক্ত ভিত্তির ওপর দাঁড়াতে পারে না।
রাষ্ট্রের অন্য তিনটি স্তম্ভ নড়বড়ে হয়ে গেলেও চতুর্থ স্তম্ভ শক্ত থাকলে রাষ্ট্রকে গণমুখী রাখা যায়। আর চতুর্থ স্তম্ভ নড়বড়ে হলে রাষ্ট্রব্যবস্থা গণবিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে, রাষ্ট্র বিপদগ্রস্ত হয়।
আমি ব্যক্তিগতভাবে খুব আশাবাদী মানুষ। আঁধার কেটে নিশ্চয়ই আলো আসবে। কিন্তু সেটা কি প্রকৃতির নিয়মে হবে? কাউকে না কাউকে ভূমিকা পালন করতে হয়।
সাংবাদিকতায় ঝুঁকি থাকবেই। সজাগ ও সচেতন থাকলে সৎ ও নিষ্ঠাবান সাংবাদিকরা হারিয়ে যাবেনা। সাংবাদিকতার ডিকশনারি থেকে সততা ও পেশাদারিত্ব শব্দ দুটি কখনই বিলীন হবে না। সেখানে অসৎ আর হলুদ সাংবাদিকতার স্থান নেই।”
‘স্বাধীনতাই আমাদের শক্তি’- এই শ্লোগান ও প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে শ্রীমঙ্গলে জাতীয় দৈনিক ‘বাংলাদেশের আলো’ পত্রিকার ১৬তম বর্ষপূর্তি  উদযাপন উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় অতিথির বক্তব্যে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক গবেষক, আরপি নিউজের সম্পাদক ও বিশিষ্ট কলামিস্ট কমরেড সৈয়দ আমিরুজ্জামান এসব কথা বলেন।
শনিবার (৩০ নভেম্বর ২০২৪) রাত ৮টায় নিরাপদ সড়ক চাই (নিসচা)-এর শ্রীমঙ্গল উপজেলা শাখার কার্যালয়ে পত্রিকাটির ১৬তম বর্ষপূর্তি উদযাপন করা হয়।
দৈনিক বাংলাদেশের আলো পত্রিকার শ্রীমঙ্গল প্রতিনিধির সভাপতিত্বে বর্ষপূর্তির এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
এই অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে আরও বক্তব্য দেন শ্রীমঙ্গল প্রেসক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক এম ইদ্রিস আলী, দৈনিক কালের কন্ঠের জেলা প্রতিনিধি মো. সাইফুল ইসলাম, মাইটিভির জেলা প্রতিনিধি সঞ্জয় কুমার দে, দৈনিক সিলেটের কাগজের প্রতিনিধি ঝলক দত্ত, গণমাধ্যম কর্মী দেওয়ান মাসুকুর রহমান, দৈনিক সিলেট মিরর পত্রিকার প্রতিনিধি কাজী গোলাম কিবরিয়া জুয়েল, গণমাধ্যমকর্মী মো. আল আমিন, দৈনিক নবচেতনা প্রতিনিধি মো. আফজল হোসেইন, দৈনিক বাংলাদেশ সময়ের প্রতিনিধি মনজুর চৌধুরী, দৈনিক জৈন্তা বার্তার প্রতিনিধি রবি উদ্দিনসহ বিভিন্ন পত্রিকার প্রতিনিধিগণ। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন নিরাপদ সড়ক চাই (নিসচা)-এর শ্রীমঙ্গল উপজেলা শাখার সভাপতি গোলাম রহমান মামুন, অর্জুন ঘোষ, দপ্তর সম্পাদক দুলাল মিয়া, সদস্য আবুল কাশেম, জাকির হোসেনসহ সামাজিক ও গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।
এসময় আমন্ত্রিত অতিথিগণ সংবাদপত্রের ভূমিকা ও প্রাসঙ্গিকতা, বস্তুনিষ্ঠ সাংবাদিকতা ও গণমাধ্যমের গৌরবোজ্জ্বল ইতিহাস ও বর্তমান প্রেক্ষাপট নিয়ে আলোচনা করেন।
অতিথির বক্তব্যে সিনিয়র সাংবাদিক ও বিশিষ্ট কলামিস্ট কমরেড সৈয়দ আমিরুজ্জামান আরও বলেন, পৃথিবীতে ঘটে চলা প্রতিদিনের বিচিত্র ঘটনাবলি সম্পর্কে জানার একমাত্র নির্ভরযোগ্য মাধ্যম হচ্ছে সংবাদ পত্র। আমাদের দৈনন্দিন জীবনে সংবাদপত্রের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।প্রকৃতপক্ষে, সংবাদপত্র আধুনিক সভ্যতার এক অপরিহার্য অঙ্গ ও রাষ্ট্রের চতুর্থ স্তম্ভ। বিশ্বের বিভিন্ন দেশের প্রেক্ষাপট যেমন – সমাজ, রাজনীতি, অর্থনীতি ও সংস্কৃতি সম্পর্কে সংবাদপত্রের মাধ্যমে জানা যায়। ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সর্বগ্রাসী যুগেও সংবাদপত্র শিক্ষিত মানুষের কাছে একটি অনন্য যোগাযোগ হিসেবে কাজ করে।তবে সংবাদপত্রের পরিধি কেবল সংবাদ পরিবেশনের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নেই। জ্ঞানচর্চা, জনমত গঠন, রাজনীতি এমনকি বিদ্যমান ব্যবস্থায় পরিমাণগত ও গুণগত পরিবর্তন তথা সামগ্রিক পরিবর্তনেও সংবাদপত্রের ইতিবাচক ভূমিকা রয়েছে। সংবাদপত্রের গুরুত্বের কারণেই একে বলা হয় সমাজের দর্পণ। বস্তুত সংবাদপত্র আধুনিক জীবনের একটি অপরিহার্য অংশ।
এছাড়াও তিনি বলেন, সাংবাদিকদের কিছু নৈতিক দায়িত্ব রয়েছে, সাংবাদিকের দায়িত্ব হল সত্য অনুসন্ধানের মাধ্যমে এবং ঘটনা ও সমস্যাগুলির একটি ন্যায্য এবং ব্যাপক বিবরণ প্রদানের মাধ্যমে সেই লক্ষ্যগুলিকে আরও এগিয়ে নেওয়া। সমস্ত মিডিয়া ও বিবেকবান সাংবাদিকরা পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে এবং সততার সাথে জনসাধারণের সংগ্রামের সহযোদ্ধা হিসেবে সেবা করার চেষ্টা করে। পেশাগত সততা ও বস্তুনিষ্ঠতা একজন সাংবাদিকের বিশ্বাসযোগ্যতার ভিত্তি।
আলোচনাসভা শেষে কেক কাটার মাধ্যমে পত্রিকাটির বর্ষপূর্তির অনুষ্ঠান সমাপ্তি হয়।
এই অনুষ্ঠানে আগত অতিথি ও শুভাকাঙ্খীদের প্রতি কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ জানিয়ে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘোষণা করেন দৈনিক বাংলাদেশর আলো পত্রিকার শ্রীমঙ্গল প্রতিনিধি মো|; আমজাদ হোসেন রনি।
সংবাদটি ভালো লাগলে শেয়ার করুন
বিষয়: * শ্রীমঙ্গলে দৈনিক বাংলাদেশের আলো পত্রিকার ১৬তম বর্ষপূর্তি উদযাপন * সাংবাদিকতায় ঝুঁকি থাকবেই কিন্তু সৎ ও নিষ্ঠাবানরা হারিয়ে যাবেনা
সাম্প্রতিক সংবাদ