শরীয়তপুরের জাজিরায় মালিকের জীবন বাচাতে গিয়ে কর্মচারী খুন

 রিপোর্টার :
২০২৩ সালের ১৪ই ফেব্রুয়ারি, শরীয়তপুরের জাজিরা থানার নাওডোবা ইউনিয়নে স্থানীয় বাজারে ঘটে এ ঘটনা। দোকানের মালিক স্থানীয় বাসিন্দা  সোহেল রানা।  সে রাতে সোহেল রানার রড সিমেন্টের দোকানে অস্ত্রধারী একদল স্থানীয় সন্ত্রাসী ঢুকে। রড নিয়ে সোহেলকে মারতে গেলে তার কর্মচারী ফেরাতে যায়। পরে এক পর্যায়ে কর্মচারী আব্দুল জলিল সন্ত্রাসীদের রডের আঘাতে আহত হয় এবং মৃত্যুবরণ করে। এ বিষয়ে সোহেল রানা জানায়, তার কর্মচারীর মৃত্যুর ঘটনা যে মামলা হয় সে মামলায় তাকেই প্রধান আসামি করা হয়।
যা সম্পূর্ণ মিথ্যে ও হয়রানিমূলক। তার অভিযোগ, তার বাবা বহু বছর আগে থেকে এলাকার বাজারে রড সিমেন্ট ও ঢেউটিনের ব্যবসা করছেন এবং খুব সুনামের সাথেই তা সাফল্য অর্জন করেছে। একি বাজারে পাশে এলাকার প্রভাবশালী ব্যক্তিদের দোকান ছিল, তাদের ব্যবসা ভালো দেখে অন্যদের ব্যবসায় ভাটা পড়ে যা প্রভাবশালী সেই দোকান ব্যবসায়ীরা মানতে পারেনি। এ নিয়ে নানা সময় তাদের হুমকি ধামকি দেওয়া হতো ব্যবসা বন্ধ করার, না করলে প্রাণনাশেরও হুমকি দেওয়া হতো।  তিনি জানান, বেশ কয়েকবার হুমকি ধামকি দিলে তারা না মানলে ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসী দিয়ে তার বাবা উপর হামলা চালানো হয় এতে পঙ্গু হয়ে ঢাকার হাসপাতালে দীর্ঘদিন চিকিৎসাধীন ছিলেন।
এ বিষয়ে স্থানীয়  থানায় মামলা করতে গেলে পুলিশে মামলাও নেয়নি প্রভাবশালীদের ভয়ে। এরপর নানা সময়ে  দোকান বন্ধ করার হুমকি দেওয়া হয় চাঁদা দাবি করা হয় এবং অনেক সময় দোকান থেকে টাকা পয়সা কেড়ে নেয়ার ঘটনাও ঘটে।  এভাবেই হুমকি ধামকি ও নানামূখী হয়রানির মধ্য দিয়ে কয়েক বছর পেরিয়ে যায়। একটা সময় কোন দিক দিয়েই হাতে না আনতে পেরে তার দোকানে সন্ত্রাসী কর্মকান্ডে চালায় যেখানে তার কর্মচারী নিহতের ঘটনা ঘটে। যে মামলায় মূল আসামি করে পেছনে পুলিশ লাগিয়ে দেওয়া হয় ফলে সোহেল রানা পালিয়ে পার্শ্ববর্তী দেশ ইন্ডিয়া গিয়ে সেখান থেকে কৌশলে ভিসা নিয়ে ইতালিতে পাড়ি জামান। ২০২৪ সালে ইতালি থেকে ফ্রান্সে পাড়ি জমান কারণ সেখানে নাকি জীবনে নিরাপত্তা দেওয়া হয় এই আশায়। এখনো এলাকায় তার পরিবারের সদস্যদের উপর নানা হুমকি দেয়া হয়।
   সোহেল দেশে ফিরে আসলে মেরে ফেলারও হুমকি দেওয়া হচ্ছে তাই তিনি জীবন বাঁচাতে প্রবাসেই বসবাস করতে বাধ্য হচ্ছেন। তার অভিযোগ এই সন্ত্রাসী বাহিনী আওয়ামী লীগের নেতাদের সাথে মিশে নানা অপকর্ম চালিয়েছিল এলাকাতে। যা পট পরিবর্তনের পর অব্যাহত রেখেছে। এ বিষয়ে স্থানীয় থানায় জানতে চাওয়া হলে তারা বলেন পট পরিবর্তনের আগের ঘটনা  তেমন রেকর্ড নেই। যারা ছিলেন তারা স্থানীয় প্রভাবশালীদের  সাথে মিসে নানা অপকর্ম করেছেন যা এখন আর হওয়ার সুযোগ নেই বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে। এসব অভিযোগের বিষয়ে কোন প্রকার মন্তব্য করতে নারাজ অভিযুক্ত প্রভাবশালী ব্যক্তিরা। তাদের অনেকের সাথে যোগাযোগ করা হলে  বিষয়টিতে তেমন গুরুত্ব দিচ্ছেন না অভিযুক্তরা।
সংবাদটি ভালো লাগলে শেয়ার করুন
বিষয়: * । উল্টো এ মামলায় ফাঁসানো হয় দোকান মালিককেই