সুবিদপুরের বিএনপি নেতা শহিদ খানে’র খুটির জোর কোথায়? নাকি রাজনৈতিক গেইম
স্টাফ রিপোর্টার:
বন্যার্তদের সাহায্যের উদ্দেশ্যে সংগ্রহ করা ত্রাণের টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে বিএনপির দু’নেতার বিরুদ্ধে। নলছিটি উপজেলার সুবিদপুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মোঃ শহিদুল ইসলাম খান ও যুবদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোঃ জাকির হোসেন লিটন মোল্লার বিরুদ্ধে এ অভিযোগ স্থানীয় অন্যান্য নেতাকর্মীদেন।
এ বিষয়ে সংগঠনের ১৫ জন নেতার স্বাক্ষরিত একটি অভিযোগপত্র ২৫ নভেম্বর উপজেলা বিএনপি ও উপজেলা যুবদল,স্বেচ্ছাসেবক, ছাত্রদলের সভাপতি সাধারণ সম্পাদক বরাবর লিখিত অভিযোগ ডাকযোগে পাঠিয়েছেন। তার একটি কপি এই প্রতিবেদকের হাতে এসেছে।
অভিযোগ পত্রে তারা লিখেন আমরা ৫নং সুবিদপুর ইউনিয়ন বি.এন.পি ও যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল, ছাত্রদল ও শ্রমিক দলের নেতা-কর্মীবৃন্দ, বাংলাদেশের ফেনি, নোয়াখালি, লক্ষ্মীপুর জেলার ভয়াবহ বন্যা কবলিত অসহায় মানুষদের সাহায্যার্থে, বি.এন.পির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির নির্দেশে সারা দেশের ন্যায় নলছিটি উপজেলার সুবিদপুর ইউনিয়নের স্থানীয় তালতলা বাজারে বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষের কাছ থেকে ৫/১০/২০/৫০/১০০/-টাকা করে সাহায্য কালেকশন করা হয়। উক্ত দানের জন্য সসংগৃহিত ২১হাজার টাকা সুবিদপুর ইউনিয়ন যুবদলের সাবেক সাধারন সম্পাদক লিটন মোল্লার কাছে, স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক বাবুল হাওলাদারের উপস্থিতিতে ত্রানের টাকা জমা রাখা হয়।
এই টাকা স্থানীয় অন্যান্য নেতাকর্মীদের সাথে নিয়ে উপজেলা বি.এন.পির ত্রাণ তহবিলে অথবা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার মাধ্যমে রাষ্ট্রীয় ত্রান তহবিলে জমা দেওয়ার কথা ছিলো। কিন্তু তা জমা না দিয়ে সুবিদপুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি শহিদ খানের কাছে ত্রান তহবিলে টাকা জমা রাখেন বলে যানা যায়। উক্ত টাকা অদ্যবদি পর্যন্ত দলীয় ফান্ড কিংবা সরকরি ত্রান তহবিলে জমা না দিয়ে সুবিদপুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি শহিদ খানের সাথে থাকা কিছু সুযোগ সন্ধানী লোকজন নিয়ে ত্রান তহবিলে টাকা সভাপতি শহিদ খান আত্মসাত করেন। যাহা ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জনাব তারেক রহমানের নির্দেশনার লঙ্গনের দৃষ্টতা এবং দলের শৃঙ্খলা, আদর্শের পরিপন্থী।
এ বিষয়ে উপজেলা বিএনপির মৎস্য বিষয়ক সম্পাদক আঃ কাদের খান, ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ন-আহবায়ক মুজাম্মেল আরিন্দা, ১ নং সদস্য সাইফুল সরদার, জেলা ছাত্রদলের সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক তরিকুল ইসলাম মিঠু, উপজেলা ছাত্রদলের যুগ্ম-আহবায়ক ইমরান সরদার হিরু, ১ নং ওয়ার্ড যুবদলের সভাপতি মিলন জোমাদ্দার সহ নেতারা বলেন। স্বৈরাচার সরকারের পতনের পর দেশের অর্থনীতির যখন টালমাটাল অবস্থা। সেসময় হটাৎ যে দুর্যোগ নেমে আসে বাংলাদেশে সেখানে সরকারের পাশাপাশি অনেক বড়ো ভুমিকা রেখেছেন ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশে বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা।
সেই দুর্গত পরিস্থিতিতে অসহায় মানুষের জন্য উত্তোলিত টাকা দল কিংবা সরাকারি ত্রান তহবিলে জমা না দিয়ে সরাসরি তারেক রহমান নির্দেশ অমান্য করেছেন। পুরো দেশের অসহায় মানুষের আমানত আত্মসাত করে চরম অন্যায় করেছেন। এর আগে সুবিদপুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মোঃ শহিদ খান এর বিরুদ্ধে একাধিক পত্রিকায় চাঁদাবাজির সংবাদ প্রকাশ হলে তিনি কিভাবে এখনো কোন খুঁটির জোরে স্বপদে বহাল রয়েছেন এটা আমাদের বোধগম্য না। তার বিরুদ্ধে স্বৈরাচার সরকারের দোসরদের পূনবাসন করার অভিযোগ ও রয়েছেন বলে জানান।
তৃনমূলে প্রশ্ন জেগেছে বারবার তার বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি, অন্যের মালিকানা রেকর্ডিয় সম্পত্তি দখলের চেস্টা, সরকারি চাল বিতরনে অনিয়ম, কৃষি বিভাগের সার বীজ বিতরনে সিন্ডিকেট, এমন কি অসহায় বন্যার্তদের দানের টাকা পর্যন্ত আত্মসাত, আওয়ামী নেতাদের টাকার বিনিময়ে বিএনপি বানানোর মতো অভিযোগ থাকা সত্ত্বেও কেন তার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে না! এটা এখন জনসাধারণের চিন্তার কারন হয়ে দাড়িয়েছেন। তাহলে কি উপজেলা ও জেলার নীতি নির্ধারনী নেতাদের কেউ কি রাজনৈতিক গেইম খেলছেন? নাকি সাংগঠনিক দৈন্যতা দেখাচ্ছেন! যেখানে কেন্দ্রীয় মহাসচিব সহ বিভিন্ন নেতাদের কাছে লিখিত ও পত্রিকার কাটিং সহ পাঠানো হয়েছে বলে জানান।
বিষয়টা ইউনিয়ন সভাপতি শহিদের কাছে জানতে চাইলে? কে বলেছে তিনি পাল্টা নাম জানতে চান।ফোনে এতো কথা বলা যায় না, সামনা সামনি আসলে বিস্তারিত জানতে পারবেন। উত্তোলিত টাকা ফেনি বন্যার্তদের জন্য পাঠিয়ে দেয়া হয়েছে। কে পাঠিয়েছে, কিভাবে পাঠিয়েছেন প্রশ্নের কোন সদুত্তর তিনি দিতে পারেন নি।