জুলাই আগস্ট অভ্যুত্থানের আহত ও শহীদদের স্মরণে সৈয়দপুরে স্মরণসভা অনুষ্ঠিত
সৈয়দপুর, নীলফামারীর প্রতিনিধি:
নীলফামারীর সৈয়দপুরে গত জুলাই আগস্ট ছাত্র জনতার অভ্যুত্থানে আহত ও শহীদদের স্মরণে স্মরণ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার (২৫ নভেম্বর) বেলা ১২ টা থেকে ২ টা পর্যন্ত উপজেলা পরিষদের সম্মেলন কক্ষে এর আয়োজন করা হয়।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নুর ই আলম সিদ্দিকীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় বক্তব্য বলেন, সৈয়দপুরে গত ১৮ জুলাই থেকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত আন্দোলনে গুলিবিদ্ধ হয়ে পঙ্গুত্ব ও অন্ধত্ব বরণকারী শিক্ষার্থী আরিফ শাহ কবির ও আলিমুল বাশার।
ছাত্র সমন্বয়কদের মধ্যে কথা বলেন, বাংলাদেশ আর্মি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (বাউস্ট) এর জাবেদ আলী, পার্বতীপুর কৃষি ইন্সটিটিউটের শাহীন ইকবাল, সানফ্লাওয়ার স্কুল এন্ড কলেজের সোয়েব হোসেন, দৈনিক নয়া দিগন্ত পত্রিকার সাংবাদিক জাকির হোসেন।
আমন্ত্রিত অতিথিদের মধ্যে বক্তব্য বলেন, শহীদ সাজ্জাদ হোসেন এর গর্বিত পিতা আলমগীর হোসেন, বীর মুক্তিযোদ্ধা মতিউর রহমান (বীর প্রতিক), জেলা বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এরশাদ হোসেন পাপ্পু, সৈয়দপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (তদন্ত) আকতার হোসেন, প্রেসক্লাবের আহবায়ক প্রভাষক শওকত হায়াত শাহ।
এছাড়া মূল আলোচনা ও দোয়া মুনাজাত পরিচালনা করেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সৈয়দপুর উপজেলা আমীর হাফেজ মাওলানা আব্দুল মুনতাকিম। তিনি ফ্যাসিস্ট হাসিনা সরকারের ১৭ বছরে ৬২ বার গ্রেফতার ও নির্যাতন সহ সর্বশেষ জুলাই আগস্ট গণঅভ্যুত্থানে আটক বিষয়ে স্মৃতিচারণ করেন।
মূল আলোচনায় তিনি সকলের প্রতি ২৪ এর চেতনা ধারণ করে দেশ গঠনে আত্মনিয়োগ করার আহ্বান জানান। সেই সাথে শিক্ষার্থীদের উত্থাপিত দাবি অনুযায়ী গণহত্যাকারী স্বৈরাচার সরকারের দোসর স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা যারা গত দেড় যুগে দলীয় দাপটে নানা অপকর্মে লিপ্ত ছিল তাদের দ্রুত আইনের আওতায় আনতে প্রশাসনকে কার্যকর পদক্ষেপ নেয়ার আহ্বান জানান।
আন্দোলনের পক্ষে থাকা ছাত্র জনতাকে এখনও যারা হুমকি দেয়াসহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তাচ্ছিল্যপূর্ণ স্টাটাস দিয়ে জুলাই আগস্টের চেতনাকে তিরষ্কার করে চলেছে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানান। নয়তো পুলিশ ও প্রশাসনের বিরুদ্ধে কেন্দ্রীয় ছাত্র সমন্বয়ক ও সরকারের উর্ধতন কর্তৃপক্ষের কাছে লিখিত অভিযোগ দেয়াসহ স্থানীয়ভাবে প্রতিরোধ গড়ে তোলার হুশিয়ারী উচ্চারন করেন।
অনুষ্ঠানে গণঅভ্যুত্থানে আহত শিক্ষার্থী, ছাত্র সমন্বয়ক, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রধান, সাংবাদিক, সুধীজন, উপজেলা প্রশাসনের বিভিন্ন কার্যালয়ের কর্মকর্তাবৃন্দ ও ইউনিয়ন পরিষদের সচিব ও পেশাজীবিরা অংশ গ্রহণ করেন।