প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে নিয়োগ বাণিজ্য ও বিভিন্ন ও নিয়মের অভিযোগ

দৌলতপুর, মানিকগঞ্জ প্রতিনিধি :
মানিকগঞ্জ দৌলতপুর উপজেলার তালুক নগর উচ্চ বিদ্যালয়ের সাবেক প্রধান শিক্ষক, ময়নাল হক সরকার বিরুদ্ধে নিয়োগ বাণিজ্য, ব্যাংক থেকে মোটা অংকের টাকা উত্তোলন ও পুকুর লিজ এর অভিযোগ পাওয়া গেছে।
জানা গেছে তালুকনগর উচ্চ বিদ্যালয় এর  সাবেক প্রধান শিক্ষক ময়নাল হক সরকার, যোগদানের পর থেকে আওয়ামী লীগ সরকারের প্রভাব খাটিয়ে নানা অনিয়ম করে আসছে,গত জুন মাসে বিদ্যালয়ে, অফিস সহায়ক, পরিচ্ছন্নতা কর্মী, নিরাপত্তা প্রহরী, কম্পিউটার অপারেট ও আয়া  পোস্ট সার্কুলার হয় সেখান থেকে তিনি প্রায় মোট অংকের টাকা হাতিয়ে নেয়।
আয়া পোস্টে চম্পা আক্তার নামের একটি মেয়ে পরীক্ষায় প্রথম স্থান লাভ করে তারপরও ওই মেয়েটির চাকরি হয়নি,
তারপর বিদ্যালয় এর প্রধান শিক্ষক ও কমিটির সভাপতি বিরুদ্ধে জনবল নিয়োগ অনিয়ম দুর্নীতি কারণে মানববন্ধন বিক্ষোভ সমাবেশ ও কোর্টে একটি মামলা দায়ের করে।
ভুক্তভোগী চম্পা আক্তারের সাথে কথা বললে তিনি জানান, আমি পরীক্ষায় প্রথম স্থান লাভ করি পরের প্রধান শিক্ষক আমাকে ডেকে নিয়ে বলে তোমার চাকরি হয়ে গেছে তুমি সবাইকে মিষ্টি খাওয়াও, পরে রাতে শুনি যে আমার চাকরি হয়নি আমি এই কারণে মানববন্ধন ও একটি মামলা দায়ের করি, পরে আওয়ামী লীগের নেতাদের ভয় দেখিয়ে আমাকে মামলাটি উঠিয়ে নিতে বাধ্য করে।
প্রধান শিক্ষক মঈনুল হক সরকার তার বিদ্যালয়ের তিন বিঘা একটি পুকুর তিন বছরের জন্য লিজ দেয় মাত্র ১৮ হাজার টাকায়,যার বাজার মূল্য বর্তমানে ১ থেকে দেড় লাখ টাকা, তিনি ৬ আগস্ট অবসরে যান, ৭ এবং ৮  আগস্ট কোন শিক্ষককে না জানিয়ে ব্যাংক থেকে প্রায় দুই লক্ষ টাকা উত্তোলন করেন।
এ বিষয়ে  সাবেক প্রধান শিক্ষক ময়নাল  হক সরকারকে জিজ্ঞাসা করলে, তিনি সাংবাদিককে হুমকি দিয়ে বলেন,আমার বিরুদ্ধে আপনার যা পারেন করেন।
বর্তমান ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মোঃ শওকত আলী  জানান, সাবেক প্রধান শিক্ষক এ পর্যন্ত যা করেছেন তা পুরাটাই অনিয়ম তিনি ৬আগস্ট অবসরে গিয়ে ৭এবং ৮ আগস্ট ব্যাংক থেকে তিনটি চেকের মাধ্যমে প্রায় 2 লক্ষ টাকা উত্তোলন করেন, আমি এবং আমার সহকারী শিক্ষকরা এ ব্যাপারে কিছুই জানি  না, পরে আমি ব্যাংকে খোঁজ নিয়ে দেখি উনি সব টাকা উঠিয়ে নিয়েছেন।
দৌলতপুর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা, এমদাদুর  রহমান তালুকদার সাথে কথা বললে তিনি জানান এ ব্যাপারে এখনো আমার কাছে অভিযোগ আসেনি অভিযোগ পেলে যথাযথ ব্যবস্থা নেব।
দৌলতপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত)  মোঃ আহসানুল আলম জানান, আমার কাছে এখনো কোনো লিখিত অভিযোগ আসেনি অভিযোগ পেলে আমি অবশ্যই যথাযথ তদন্তমূলক ব্যবস্থা নেব।
সংবাদটি ভালো লাগলে শেয়ার করুন
বিষয়: * প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাত