শেরপুরের মোহনা টেলিভিশন জেলা সাংবাদিক রেজাউল করিম বকুল ইন্তেকাল করেছেন

লালমোহাম্মদ  শেরপুর :
মোহনা টেলিভিশন এর শেরপুর জেলা প্রতিনিধি ও দৈনিক কালের কণ্ঠের শ্রীবরদী প্রতিনিধি এবং শ্রীবরদী প্রেসক্লাবের সভাপতি সাংবাদিক রেজাউল করিম বকুল আর নেই (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। ১৬ নভেম্বর শনিবার রাত ১২টার দিকে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে তিনি মারা যান। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৫২ বছর। তিনি স্ত্রী ও ৩ কন্যা সন্তান, আত্মীয়-স্বজন, বন্ধু বান্ধব, সহকর্মিসহ বহু গুণগ্রাহী রেখে গেছেন। সাংবাদিক বকুলের মৃত্যুতে জেলার সাংবাদিক অঙ্গণে শোকের ছাঁয়া নেমে এসেছে।
মরহুম সাংবাদিকদের জানাযার নামাজ ১৭ নভেম্ব রোববার দুপুর ২.৩০ মিনিটের সময় তাঁর নিজ বাড়ি সংলগ্ন গেরামারা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় জেলার রাজনৈতিক, সামাজিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ সহ জেলার গণমাধ্যম কর্মীগন অংশ গ্রহন করেন।  শ্রীবরদী উপজেলার গেরামারা গ্রামের এক সাধারণ মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন রেজাউল করিম বকুল। শেরপুর থেকে প্রকাশিত সাপ্তাহিক দশকাহনীয়া দিয়ে তাঁর সাংবাদিকতা শুরু। এরপর দৈনিক মাতৃভূমি ও দৈনিক আমার দেশ এর শ্রীবরদী উপজেলা প্রতিনিধি হিসেবে যোগদান করেন তিনি। আমার দেশ পত্রিকা বন্ধ হয়ে গেলে যোগদান করেন কালের কণ্ঠে।
পাশাপাশি জেলা প্রতিনিধি হিসেবে যোগ দেন মোহনা টেলিভিশনে। কাজ করেছেন ম্যাস লাইন মিডিয়া সেন্টার এমএমসিতে। শেরপুর থেকে প্রকাশিত শ্যামল বাংলা পরিবারেও যুক্ত ছিলেন তিনি। এছাড়াও তিনি দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সাধারণ সম্পাদক ও সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) শ্রীবরদী শাখার সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। কর্মময় জীবনে তিনি ছিলেন নিরহংকার, সহজ-সরল ও একজন চারণ সাংবাদিক। দায়িত্বশীল সংবাদ ও ফিচারের খোঁজে তিনি চষে বেড়াতেন পথে- প্রান্তরে।
শনিবার রাতে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়লে শ্রীবরদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। পরে অবস্থার উন্নতি না হওয়ায় তাকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়। ময়মনসিংহ নেওয়ার পথে নকলা এলাকায় তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। তার মৃত্যুতে শেরপুর প্রেসক্লাবের নেতৃবৃন্দসহ বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকগণ গভীর শোক প্রকাশ করছেন।
সংবাদটি ভালো লাগলে শেয়ার করুন
বিষয়: * শেরপুরের মোহনা টেলিভিশন জেলা সাংবাদিক রেজাউল করিম বকুল ইন্তেকাল করেছেন