শেরপুরের পাহাড়ি অঞ্চলে সবজি আবাদে কৃষক লাভবান 

বরবটি ২ হাজার টাকা মন পাইকারি মূল্য
শেরপুর:
শেরপুরের শ্রীবরদী পাহাড়ী জনপদ,কর্নজুরা,মালাকুচা,দাওয়াকুজা ছোট গজনি বড় গজনি, গুরুরচন,দুধনই ভারতের মেঘালয় ঘেষা বাংলাদেশের মধ্য উত্তরবর্তী পাহাড়ি জনপদ,ছোটবড় পাহাড় আর পাহাড়ের ঢাল ও সমতল ভুমি। পাহাড়ের ঢাল সহ সমতলে পাহাড়ি এলাকার কৃষক প্রচুর পরিমার পাহাড়ের ঢাল জমিতে সবজি বাগান সৃজন। কয়েক মাস আগে চাষ করছিলেন করলা, করলা চাষের জমিতেই পূনরায় চাষকরেন বরবটি। এখন বরবটি দেদারছে বিক্রি হচ্ছে বরবটি।স্থানীয়। সবজি ব্যবসায়ীরা পাহাড়ি অঞ্চল থেকে কিনে নিয়ে যায় রাজধানী ঢাকা শহরে। ঢাকা শহরে সবচেয়ে বড় বাজার কাওরানবাজার। সেখানে আড়তে বিক্রি করেন তারা।
স্থানীয় বর্তমান বরবটির বাজার মূল্য ২ হাজার থেকে আড়াই হাজার টাকা প্রতিমন ধরে উঠানামা করছে বলে জানায় স্থানীয় সবজি চাষিরা।
সীমান্ত সড়কের মেঘাদল,দুধনই সহ বেশ কয়েকটি পাইকারি বাজার রয়েছে। প্রতি দিন পাইকারি ব্যবসায়ীরা বরবটি কিনে ট্রাক, মহেন্দ্র গাড়ী বোঝাই করে হাজার হাজার মন বরবটি নিয়ে যাচ্ছে ঢাকা ময়মনসিংহ সহ দেশের বিভিন্ন স্থানে। প্রতিদিন বরবটির কাজে ব্যাস্ত শতশত শ্রমিক।
শ্রমিকরা সুতলি পেচিয়ে ২ আড়াই কেজি করে মোটা বেধে ওজন করে ট্রাকে তুলছে।
এ ব্যাপারে শ্রীবরদি কৃষি অফিস সূত্রে জানাযায় পাহাড়ি অঞ্চলে ১৭৫ হেক্টর জমিতে এবার চাষ হয়েছে বরবটি। তাদের তথ্য মতে প্রতি হেক্টর জমিতে বরবটি উৎপাদন হয় ২৫ থেকে ৩০ মন। তারা আরও বলেন, বরবটি আবাদে কায়িক পরিশ্রম সহ খরচ অন্যান্য আবাদি ফসলের চেয়ে তুলনা মুলক ভাবে খরচ অনেক কম। ১৫ থেকে ২০ হাজার টাকা খরচে বরবটি চাষ করা সম্ভব হয়।তাতে সবজি চাষিরা প্রতি হেক্টর জমিতে আনায়াসে ৫০ থেকে ৬০ হাজার টাকা বরবটি বিক্রি করেন।
স্থানীয় কৃষকদের সাথে সরেজমিনে কথা বলে জানাযায়, পাহাড়ের ঢালে সবজি চাষে অনেকেই অর্থনৈতিক ভাবে ঘুরে দাঁড়িয়েছেন।  তারা আরও জানান, এক সময় এই অঞ্চলের মানুষ পাহাড়ের কাঠ কেটে জীবিকা নির্বাহ করতেন। কয়েকদিন পরপর বন বিভাগ কাঠ চুরির মামলা দিয়ে হয়রানি করতেন। স্থানীয়রা সবজি চাষে ঝুকে যাওয়ার পর অভাব ও দারিদ্রতা কমেছে। এখন কেউ বন জঙ্গলে কাঠ কাটে না। বন বিভাগের মামলার হয়রানি কমেছে।
জৈনক কৃষক বলেন, বন বিভাগের পতিত জসিতে বন কর্তৃপক্ষ কোন ধরনের সবজি চাষ করতে দেন না। সম্ভাব্য অনেক জমি রয়েছে।
অপর একজন কৃষক বলেন,  কাঠ বাগানের অংশিদারিত্বে ১০ বছর পর সুবিধা আসে। বন বিভাগ সবজি বাগানের অংশিদারিত্বের ব্যবস্থা করতে পারলে। পাহাড়ী অঞ্চলের মানুষ ৬ মাস পর সুবিধা পেত। তাই তিনি বন বিভাগের জমিতে অংশিদারিত্বের প্রস্তাব করেন।
এব্যাপারে শ্রীবরদী উপজেলার কৃষি অফিসার কৃষিবিদ সাবরিনা আরফিন বলেন, কৃষকেরা পতিত জমিতে সবজি চাষ করে কৃষরা লাভবান হচ্ছে।
সংবাদটি ভালো লাগলে শেয়ার করুন

বিষয়: * শেরপুরের পাহাড়ি অঞ্চলে সবজি আবাদে কৃষক লাভবান
সর্বশেষ সংবাদ