ফরিদপুরে সালথায় কীটনাশক দিয়ে মাছ ধরার দুই পক্ষের সংঘর্ষের আহত ৩
স্টাফ রিপোর্টার :
ফরিদপুরের সালথাফরিদপুরের সালথা উপজেলায় এক মৎস্যজীবীর পুকুরে কীটনাশক দিয়ে মাছ মারার জেরে দুই পক্ষের সংঘর্ষে তিনজন আহত হয়েছেন। গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যায় উপজেলার সোনাপুর ইউনিয়নের গোপালিয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
আহত তিনজন হলেন গোপালিয়া গ্রামের মালেক মাতুব্বর, হুমায়ন মাতুব্বর ও রাইফুল মাতুব্বর। তাঁদের ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত বৃহস্পতিবার রাতের কোনো এক সময় উপজেলার গোপালিয়া গ্রামের মো: জামাল মাতুব্বর নামে এক মৎস্যজীবীর পুকুরে কীটনাশক দিয়ে মাছ মেরে ফেলা হয়েছে। এ ঘটনায় শুক্রবার বিকেলে সালথা থানায় লিখিত অভিযোগে বিষ প্রয়োগে অন্তত চার লাখ টাকার মাছ মেরে ফেলার কথা উল্লেখ করেন জামাল মাতুব্বর। তাঁর পুকুর প্রায় ৩০ শতাংশ জমির ওপর একটি চকের মধ্যে অবস্থিত। এটি তাঁর বাড়ি থেকে আধা কিলোমিটার দূরে। পুকুরে রুই, কাতলা, সরপুঁটি, বাটাসহ বিভিন্ন ধরনের মাছ চাষ করা হয়েছিল।
জামাল মাতুব্বর অভিযোগ করেন, গতকাল সকালে পুকুরে এসে দেখেন সব মাছ মরে ভেসে উঠেছে। এতে অন্তত তাঁর চার লাখ টাকার মাছ মরে গেছে। এ সময় পুকুরপাড়ে কীটনাশক পাওয়া গেছে। শত্রুতা করে প্রতিবেশী আবুল বাসার এই কাজ করেছেন বলে তাঁর ধারণা।
এদিকে লিখিত অভিযোগ পেয়ে গতকাল সন্ধ্যায় পুলিশ সদস্যরা অভিযুক্ত আবুল বাসারের বাড়িতে তদন্তে যান। এতে আবুল বাসার ক্ষুব্ধ হয়ে পরে জামাল মাতুব্বরের বাড়িতে গিয়ে বাগ্বিতণ্ডায় জড়ান। কথা-কাটাকাটির একপর্যায়ে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এতে তিনজন আহত হন।
এ বিষয়ে আবুল বাসার বলেন, পেঁয়াজের খেতের চারপাশে দেওয়ার জন্য তিনি কীটনাশক ট্যাবলেট কিনে এনেছিলেন। কারও পুকুরে দেওয়ার জন্য কেনেননি। অন্য কেউ ষড়যন্ত্র করে পুকুরের মাছ নিধন করে থাকতে পারে।
সালথা উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা শাহরিয়ার বলেন, পুকুরের মাছ নিধনের বিষয়টি খুবই দুঃখজনক। ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিকে আইনগত সহায়তা নেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
সালথা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো: আতাউর রহমান বলেন, পুকুরে বিষ দিয়ে মাছ নিধনের একটি অভিযোগ পেয়েছেন। অভিযোগ পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তদন্ত করে ফেরার পর দুই পক্ষের মধ্যে মারামারির ঘটনা ঘটে। পরে আবার পুলিশ পাঠিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা হয়। এ ঘটনায় যাচাই-বাছাই শেষে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।