শিরোনাম
থানায় লুট হওয়া অস্ত্রহ উদ্ধার   » «    জয়পুরহাটের কালায়ে ৫ম শ্রেণীর শিক্ষার্থীকে ধর্ষণের চেষ্টা   » «    মৌলভীবাজারে ১ কোটি ৩৮ লক্ষ টাকার মাদকদ্রব্য পুড়িয়েছে বিজিবি   » «    জয়পুরহাটে বৈষম্যবিরোধী শিক্ষার্থীদের ৯ দফা, অন্যথায় কঠোর অন্দোলনের আল্টিমেটাম   » «    কুষ্টিয়ায় বিএনপির দুই নেতার ফোনালাপ ফাঁস   » «   

মুসলিম দেশের শিক্ষা ব্যবস্থায় উপমহাদেশের প্রাচীনতম ইংরেজি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান কলকাতা আলিয়া মাদ্রাসা অনুসরণীয়

মুহাম্মদ আল্-হেলাল

 

বিগত স্বৈরাচারী আওয়ামী শাসনের প্রায় ১৫ বছর এদেশের প্রত্যেকটি স্তরে স্তরে সূদ, ঘুষ, দূর্নীতি, অন্যায়, অবিচার ইত্যাদি প্রবেশ করেছে। এমন অবস্থা থেকে পরিত্রাণ এবং কল্যাণমূলক রাষ্ট্রব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার জন্য আলিয়া মাদ্রাসা শিক্ষাকে এদেশের মূল ধারার শিক্ষা ব্যবস্থা হিসাবে গ্রহণ করা জরুরি।

১৭৫৭ সালে পলাশি যুদ্ধের পর ভারতীয় উপমহাদেশে মুসলিম শাসনের অবসান হয়। রাজত্ব, শাসন ক্ষমতা, সামাজিক মর্যাদা ও প্রভাব প্রতিপত্তি হারিয়ে বাংলার মুসলিম সম্প্রদায় গুরুত্বহীন হয়ে পড়ে। বন্ধ হয়ে যায় ইসলামি শিক্ষার কেন্দ্রসমুহ। বাঙ্গালী মুসলিম জনগোষ্ঠি পিছিয়ে পড়তে থাকে সকল ক্ষেত্রে।

জাতির এ ক্রান্তিলগ্নে ইসলামি শিক্ষা, সংস্কৃতি ও তাহযীব-তামাদ্দুন রক্ষা করতে ১৭৮০ সালের অক্টোবর মাসে কতিপয় মুসলিম শিক্ষাবিদ ইস্ট-ইন্ডিয়া কোম্পানীর ভারতীয় বড় লাট ব্রিটিশ গভর্ণর জেনারেল স্যার ওয়ারেন হেস্টিংস এর সাথে সাক্ষাৎ করে কলকাতায় একটি মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠার প্রস্তাব দেন। যাতে এ মাদ্রাসার শিক্ষিতরা সরকারি অফিস আদালতে জজ, এম এস আর ইত্যাদি পদে নিয়োগ প্রাপ্ত হয়ে সঠিকভাবে রাষ্ট্রীয় কার্যক্রম পরিচালনায় ভূমিকা রাখতে পারেন।

বড় লাট তাদের প্রস্তাব সাদরে গ্রহন করেন এবং কলকাতার বৈঠকখানা রোডে মাসিক ১০০ টাকায় একটি বাড়ি ভাড়া করে ১৭৮০ সালে মাদ্রাসা চালু করা হয়। এভাবে উপমহাদেশে আলিয়া মাদ্রাসা শিক্ষার গোড়াপত্তন হয়। যেটি কলকাতা আলিয়া মাদ্রাসা নামে পরিচিত হয়।

কলকাতা আলিয়া মাদ্রাসার মাধ্যমেই উপমহাদেশে প্রাতিষ্ঠানিকভাবে ইংরেজি শিক্ষার প্রচলন শুরু হয়। এটিই উপমহাদেশের সরকারি তহবিল দ্বারা পরিচালিত প্রাচিনতম শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। পরবর্তীতে আলিয়া মাদ্রাসা নামে উপমহাদেশে অসংখ্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠিত হয় কলকাতা আলিয়া মাদ্রাসাকে মডেল ধরে যেখানে জাগতিক এবং পরলৌকিক উভয় শিক্ষা পাওয়া যায়।
মহান আল্লাহ সুবহানাহু তায়ালা মানবজাতীর দিশারী স্বরূপ হিরা গুহায় রহমাতুল লিল্ আলামিন অর্থাৎ বিশ্ববাসীর জন্য রহমত স্বরূপ বিশ্বনবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর প্রতি নাযিল করেন মহা ঐশি গ্রন্থ আল্-কুরান। সেই কুরানের প্রথম যে আয়াতগুলো নাযিল করেন তার অর্থ হলো “পাঠ করুন আপনার সৃষ্টিকর্তার নামে-১। যিনি সৃষ্টি করেছেন মানুষকে জমাটবাঁধা রক্তপিন্ড থেকে-২। পাঠ করুন আপনার পালনকর্তার নামে যিনি মহিমান্বিত-৩। যিনি মানুষ কে শিক্ষা দিয়েছেন কলম দিয়ে-৪। যা মানুষ কখনো জানত না-৫।” সূরা-আলাক।

উপরিউক্ত আয়াতগুলো দ্বারা আল্লাহ সুবহানাহু তাঁর নামে শিক্ষা অর্জন করা ফরজ করেছেন, তিনি অধিক সম্মানের অধিকারী এবং তিনি মানুষকে এমন কিছু শিক্ষা দিয়েছেন কলম দ্ধারা যা মানুষ কখনো জানতো না তা জানিয়ে দিয়েছেন।

পবিত্র কুরান মাজিদের সূরা জারিয়াতের ৫৬ নং আয়াতে আল্লাহ তায়ালা ঘোষণা করেছেন “আমি মানুষ ও জ্বীন জাতিকে আমার ইবাদত ব্যতিত অন্য কোন উদ্দেশে সৃষ্টি করিনি”।

অন্যদিকে বিশ্বনবী সা. ঘোষণা করেছেন “জ্ঞাণার্জণ করা প্রত্যেক মুসলিম নর-নারীর জন্য ফরজ।” আবার আল্লাহ তায়ালা কুরান মাজীদে ঘোষণা করলেন “যখন তোমাদের সালাত আদায় শেষ হয় তখন তোমরা দুনিয়ার বুকে ছড়িয়ে পড় এবং আল্লাহর অনুগ্রহ অনুসন্ধান কর আর আল্লাহকে অধিক পরিমাণে স¦রণ করতোমরাই সফল হবে।” সূরা-জুমুআ-১০।

পবিত্র কুরানের উক্ত আয়াত সমুহ এবং নবী সা. এর হাদীস দ্বারা প্রতিয়মান হয় মুসলিম নর হোক আর নারী হোক জ্ঞাণার্জন করা থেকে বিরত থাকার কোন সুযোগ নেই। শুধু সালাত আদায় করলেই দায়িত্ব শেষ হয়না দুনিয়ার কাজে আল্লাহর অনুগ্রহ অনুসন্ধান করতে হবে আল্লাহকে অধিক পরিমান স্বরন রেখে তাহলে সফলতা আসবে। আর দুনিয়ার বুকে যা কিছু করা হয় সব যেন আল্লাহর ইবাদতে গণ্য হয় এমনভাবে কাজ করতে হবে।

সুতরাং প্রতিয়মান হলো দুনিয়া এবং আখিরাতের উভয় জীবনে সফল হতে হলে দুনিয়া এবং আখিরাত ভিত্তিক শিক্ষা গ্রহন করতে হবে। দুনিয়ার জীবন সীমিত সময়ের জন্য এই সীমিত সময়ের মধ্যে জাগতিক এবং পরলৌকিক শিক্ষা গ্রহন করার জন্য আমাদের হাতে আলাদা আলাদা সময়ের অভাব।

তাই এমন একটি শিক্ষা ব্যবস্থাকে গ্রহন করতে হবে যেখানে উভয় শিক্ষা একই সমসাময়িক সময়ে পাওয়া যায়। তাহলে দেখতে হবে আমাদের দেশে কোন ধরনের শিক্ষা ব্যবস্থা প্রচলিত আছে এবং সেখানে কি শিক্ষা দেওয়া হয়।

শিক্ষা ব্যবস্থার মধ্যে একটি হলো হিফ্জ শিক্ষা ব্যবস্থা যেখানে শুধু পবিত্র কুরান মুখস্থ করানো হয় অন্য কোন গবেষণা করা হয় না। দেশে যে শিক্ষা ব্যবস্থা বিদ্যমান তার মধ্যে সাধারণ শিক্ষা ব্যবস্থা ধরা হয় স্কুল কলেজের শিক্ষা ব্যবস্থা কে যেখানে শুধু জাগতিক বিষয়ে শিক্ষা প্রদান করা হয়। অন্যদিকে কওমি মাদ্রাসা রয়েছে যেখানে পরকাল ভিত্তিক শিক্ষা ব্যবস্থাকে গুরুত্ব দেওয়া হয়।

এছাড়া আছে আলিয়া মাদ্রাসা যেখানে জাগতিক এবং পরলৌকিক উভয় শিক্ষাকে গুরুত্ব দেওয়া হয়। এখানে পাঠ্যক্রমের মধ্যে অন্যতম কুরান, হাদীস, আরবি সাহিত্য, ইংরেজি সাহিত্য, বাংলা সাহিত্য, গণিত, ফিক্হ(ইসলামী আইন শাস্ত্র), মানতিক-বালাগাত(ইসলামী যুক্তিবিদ্যা), পৌরণীতি, অর্থনীতি, সমাজ বিজ্ঞাণ, পদার্থ বিজ্ঞাণ, রসায়ন, জীববিজ্ঞাণ, উচ্চতর গণিত ইত্যাদি সুতরাং এখানে সাধারণ এবং মুসলিম জাতির প্রয়োজনীয় সকল বিষয়ে শিক্ষা দেওয়া হয়।

বর্তমান পৃথিবীতে আরবি এবং ইংরেজি দুটি ভাষায় দক্ষতা অর্জন করতে পারলে ইহজগৎ এবং পরজাগতিক উচ্চশিক্ষা গ্রহন করা সহজ হয় একই সাথে ব্যবসা, বাণিজ্য, অর্থনীতি, রাজনীতি, কূটনীতি, সমাজনীতি, ধর্মনীতি ইত্যাদি সকল ক্ষেত্রে দুনিয়ায় যেমন নেতৃত্ব দেওয়া যায় তেমন পরকালীন মুক্তির পথ সুগম করা সহজ হয় আর সে দুটি ভাষা একত্রে আলিয়া মাদ্রাসায় শিক্ষা দেওয়া হয়।

বাংলাদেশ একটি মুসলিম জন অধ্যুষিত দেশ যদিও সম্পূর্ণ ইসলামী শাষন ব্যবস্থা এখানে অনুপস্থিত তবে নাগরিকদের জীবনের প্রত্যেকটি স্তরে দুটি জ্ঞাণই দরকার হয়।

আদালতের আইনজীবি এবং বিচারক উভয়েরই ইসলামি জ্ঞাণের প্রয়োজন হয় যেমন সম্পদের বন্টননামা বা ওয়ারিস আইন, বিবাহ বা তালাক ইত্যাদির বিষয়ে কুরান, হাদীস, ইজমা ও কিয়াছ সম্পর্কিত জ্ঞাণ না থাকলে একজন বিচারক এ সংক্রান্ত বিষয়ে বিচার করতে বা রায় দিতে পারেন না আবার আইনজীবিও এবিষয়ে ওকালতি করতে পারবেন না। সেক্ষেত্রে মামলার দীর্ঘসূত্রীতা বা জটিলতা সৃষ্টি হয়।

এজন্য মূলতঃ মোঘল আমলে মাদ্রাসায় শিক্ষিত আলিমরা রাষ্ট্রীয় প্রশাসন কে তিনটি কাজে সহযোগিতা করতেন ১. কাজী গিরি বা আদালতে বিচারকের দায়িত্ব পালন করতেন। যেন ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠিত হয়।

২. সম্রাটদের বিভিন্ন রকম দাতব্য কার্যক্রমের তদারকি করতেন যেন অনিয়ম বা দূর্ণীতি না হয় যেটি আজ আমাদের সমাজের রন্ধ্রেরন্ধ্রে প্রবেশ করেছে এবং

৩. রাজ পরিবারে শিক্ষা দিক্ষা দেওয়া যাতে রাজ পরিবারের উত্তারাধিকারীরা সঠিক শিক্ষা নিয়ে পরবর্তীতে রাজ্য পরিচালনা করতে পারেন।

এবিষয়ে ইংরেজ ইতিহাসবিদ উইলিয়াম হান্টার বলেন কাজী অথবা মুসলমান আইনজ্ঞরা দেওয়ানী আদালতে বিচার কাজ করতেন। এমনকি আমরা যখন এদেশে শিক্ষিত আহলে বিলাতি দিয়ে বিচারকার্য পরিচালনা করার চেষ্টা করলাম তখনো মুসলমান আইনজ্ঞরা আইনের পরামর্শদাতা হিসাবে তাদের সাথে রীতিমত উঠাবসা করতেন। ইসলামি বিধি-বিধানই এদেশের আইন-কানুন ছিল। ছোট-খাট সরকারি অফিস গুলো মুসলমানদের সম্পত্তি ছিল। তারাই সরকারি ভাষা বলতে পারতেন এবং ফারসি অক্ষরে লেখা সরকারি নথিপত্র তারাই পড়তে পারতেন।

মুসলিম দেশের সকল নাগরিকের হালাল-হারাম বিষয়ে জ্ঞাণ থাকাও আবশ্যক। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক আড্ডায় ঢাকা সিএমএম আদালতের এক বিচারক উচ্ছাস প্রকাশ করে বলছিলেন তিনি আমেরিকা ভ্রমনে গিয়ে শুকরের গোস্ত খেয়েছেন। সেখানে শিক্ষা প্রকল্পের একজন পরামর্শক এবং আমি কৌশলগত প্রশিক্ষকও ছিলাম। শিক্ষা প্রকল্পের পরামর্শকের নিকট বিষয়টি অস্বাভাবিক মনে হয়নি তাই তিনি কোন প্রশ্ন তোলেননিতবে আমি প্রশ্ন করলাম আপনি একজন মুসলিম এবং একই সাথে মুসলিম দেশের একজন বিচারক আপনি জানেননা শুকর খাওয়া হারাম? তখন তিনি অবাক হয়ে বললেন, না।

তাকে যখন সূরা মায়িদার ৩ নং আয়াত “তোমাদের জন্য হারাম করা হয়েছে মৃত প্রাণি, রক্ত, শুকরের গোস্ত, আল্লাহ ব্যতিত অন্যের নামে জবেহকৃত পশু, নিঃশ্বাষ বন্ধ করে হত্যাকৃত পশু, আঘাত দ্ধারা হত্যাকৃত জন্তু, উপর থেকে নিচে পড়ে মৃত জন্তু, শৃঙ্গাঘাতে মৃত জন্তু এবং হিংস্র পশুতে খাওয়া জন্তু তবে তোমরা যা কিছু পবিত্র করেছ জবেহ দ্বারা তাছাড়া, আর যা মূর্তিপূজায় বলি দেওয়া হয় তা এবং জুয়ার তীর দ্ধারা ভাগ্য নির্ণয় করা হয়, এসব মহাপাপ।” উদ্বৃতি দেওয়া হলো তখন তিনি লজ্জিত হয়ে দুঃখ প্রকাশ করেন।

আইনশৃঙখলা রক্ষার দায়িত্বে যারা কাজ করেন তাদেরও ইসলামী জ্ঞাণ থাকলে তারা নিজস্ব জ্ঞাণ ব্যবহার করে দ্রুত যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহন করতে পারেন অন্যের দ্বারস্থ হতে হয়না। অন্যের দ্বারস্থ হতে হলে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহনে বিলম্ব হয় ফলে আইনশৃঙখলা পরিস্থিতির অবনতি হওয়ার আশংকা থাকে।

আমাদের দেশের মুসলিমদের মৌলিক ইসলামিক জ্ঞাণ প্রায় সকলেরই আছে কিন্তু ইসলামিক পন্ডিতের অভাব যারা সমাজ, দেশ বা জাতিকে পথ দেখাবেন। কারণ হলো রাষ্ট্রের বিভিন্ন পদে চাকরির ক্ষেত্রে মুসলিম দেশ হওয়া স্বত্ত্বেও নিয়োগ পরীক্ষাগুলোতে ইসলাম কেন্দ্রিক প্রশ্ন না করে সাধারণ পাঠ্যক্রম থেকে প্রশ্ন করা হয় ফলে মাদ্রাসার শিক্ষার্থীরা নিয়োগ পরীক্ষায় সঙ্গত কারণেই পিছিয়ে থাকে অন্যদিকে কোন মাদ্রাসার শিক্ষার্থীকে ণীতি নির্ধারণী পদগুলোতে নিয়োগ দেওয়ার নজিরও অনুপস্থিত।

তাই মাদ্রাসা শিক্ষার মাঝপথ থেকে শিক্ষার্থীরা সাধারণ শিক্ষায় চলে যায় কিন্তু‘ সাধারণ শিক্ষার্থীরা তাদের অযোগ্যতার কারণে মাদ্রাসা শিক্ষায় যেতে পারে না।

মাদ্রাসা শিক্ষার্থীরা যেন দেশের সাধারণ বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সুযোগ থেকে বঞ্চিত হয় সেজন্যও ইসলাম বিদ্বেষীদের পক্ষ থেকে এসেছে অনেক ষঢ়যন্ত্র যেমন কয়েক বছর আগে কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ঘোষণা করে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে হলে মাধ্যমিক পর্যায়ে বাংলা ও ইংরেজি বিষয়ে ২০০ নম্বরের কোর্স পঠিতব্য হতে হবে। উল্লেখ্য মাদ্রাসায় যেহেতু অনেকগুলো ইসলামিক বিষয়ে পাঠদান করতে হয় সেজন্য বাংলা ও ইংরেজি বিষয় ২০০ মার্কসকে সংক্ষিপ্ত করে ১০০ মার্কস পঠিতব্য ছিল।

পরে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির বিষয়টি মাদ্রাসার শিক্ষার্থীদের হাইকোর্টে রিটের মাধ্যমে সুরাহা হয় এমনকি ঐ ১০০ মাকর্স এর জায়গায় ২০০ মার্কস পাঠ্যক্রমে অর্ন্তভূক্ত করা হয়।

উল্লেখ্য গত কয়েক বছর যাবৎ মাদ্রাসার শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষায় প্রথম স্থান অধিকার করা সহ ভাল ফলাফল করছে। এরই ধারাবাহিকতায় যাকারিয়া নামক দারুন্নাজাত সিদ্দিকীয়া কামিল মাদ্রাসার শিক্ষার্থী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সহ কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষায় প্রথম স্থান অধিকার করে। দূষ্কৃতিকারীরা হিংসায় তার উপর হামলা করে মাদ্রাসার শিক্ষার্থী হয়ে প্রথম স্থান অধিকার করার কারণে এবং মাদ্রাসার শিক্ষার্থীদের মধ্যে ভীতি সৃষ্টির উদ্দেশ্যে যা সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশ পায়। (তথ্যসূত্র: নভেম্বর ২, ২০২১ ntvbd.com)

যে দেশের ৯০ ভাগেরও বেশি জনসংখ্যা মুসলিম মাদ্রাসা শিক্ষা সে দেশের মূলধারার শিক্ষা হওয়াটাই স্বাভাবিক। আলিয়া মাদ্রাসায় জাগতিক এবং পরলৌকিক উভয় ধরনের শিক্ষার ব্যবস্থা থাকায় এই মাদ্রাসার গ্রাজুয়েটরা যেমন রাষ্ট্রীয় কার্যক্রম সুচারুভাবে করতে সক্ষম তেমন হালাল-হারাম বিবেচনা করে সূদ, ঘুষ এবং দূর্ণীতিমুক্ত সমাজ গঠনে জোরালো ভূমিকা রাখতে পারে যেটি দেশের অস্তিত্ত্ব রক্ষার জন্য অত্যন্ত জরুরী।

সুতরাং জাতির কল্যাণে অফিস আদালত সুচারুভাবে পরিচালনা, সূদ, ঘুষ ও দূর্ণীতিমুক্ত এবং জনকল্যাণমূলক রাষ্ট্র গঠনের জন্য উপমহাদেশের ইংরেজি শিক্ষার প্রাচীনতম শিক্ষা প্রতিষ্ঠান কলকাতা আলিয়া মাদ্রাসাকে মূলধারা শিক্ষার নমুনা হিসেবে অনুসরণ করা সময়ের দাবি।

 

 

মুহাম্মদ আল্-হেলাল

এমফিল গবেষক(এবিডি)

আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগ

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়

সংবাদটি ভালো লাগলে শেয়ার করুন
বিষয়: * অন্যায় * অবিচার ইত্যাদি প্রবেশ করেছে। * ঘুষ * দূর্নীতি * বিগত স্বৈরাচারী আওয়ামী শাসনের প্রায় ১৫ বছর এদেশের প্রত্যেকটি স্তরে স্তরে সূদ * মুসলিম দেশের শিক্ষা ব্যবস্থায় উপমহাদেশের প্রাচীনতম ইংরেজি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান কলকাতা আলিয়া মাদ্রাসা অনুসরণীয়
সাম্প্রতিক সংবাদ