বুধবারে গণেশ পূজা করে সকল সমস্যার সমাধান পান

বুধবার সিদ্ধিদাতা ভগবান গণেশকে উৎসর্গ করা হয়। ঋণ থেকে মুক্তি পেতে এই দিনে গণেশের পুজো করলে ভালো ফল পাওয়া যায়। এছাড়াও,বুধবার গণেশ শাস্ত্র পাঠ করলে ঋণ সংক্রান্ত সমস্যা থেকে শীঘ্রই মুক্তি পেতে পারেন ও ঋণ সংক্রান্ত সঙ্কট কাটবে । সেই সঙ্গে জপ করুন ,বক্রতুণ্ড মহা কায় সূর্য কোটি সমপ্রভ নির্ভিগ্নাম কুরু মে দেবা সর্ব কার্যেসু সর্বদা।
বুধ গ্রহকে শান্ত করতে বুধবার গণেশকে সবুজ মুগ বা সবুজ মুগ ডাল দান করুন। এতে করে বুধ গ্রহের অবস্থান মজবুত হয়। এই দিনে মুগ ডাল খেলে তা খুবই উপকারী বলে মনে করা হয়।
বুধবার ভগবান গণেশকে দূর্বা ঘাস অর্পণ করুন। দূর্বা ঘাস একটি সাধারণ ঘাস যা আমরা সহজেই যে কোনও জায়গায় পাই। ১২ টি দূর্বা গিঁট বেঁধে,ভগবান গণেশের মাথায় অর্পণ করুন। এতে ভগবান গণেশ দ্রুত খুশি হন।
ঝামেলা ও সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে বুধবার গরুকে সবুজ পাতা খাওয়ান। যেমন পালং শাক,ঘাস ইত্যাদি। এতে করে জীবন থেকে কষ্ট দূর হয়। ৪ সপ্তাহ এই কাজটি করলে সুফল মিলে।
একটানা চার সপ্তাহ এই মন্ত্র জপ করুন :
” একদন্তং মহাকায়ং লম্বোদর গজাননম। বিঘ্নবিনাশকং দেবং হেরম্বং পনমাম্যহম “।
যাঁরা কিছুতেই পজিটিভ এনার্জি পাচ্ছেন না,তাঁরা জপ করুন ‘ওম হ্রিং গ্রিং হ্রিং’। এটি শক্তি বিনায়ক মন্ত্র।  ১০৮ বার পাঠ করলে শরীর মন ভাল হবে এবং মনের জোর পাবেন।
বুধবারের দিনটি দেবাদিদেব পুত্র গণেশের জন্য সমর্পিত। এই দিনে শ্রদ্ধাভক্তি ভরে গণেশের পুজো করলে সুফল পাওয়া যায়। এ ছাড়াও বুধবার পুজো ও নির্দিষ্ট কিছু কাজ করলে বুধ গ্রহের দোষও দূর করা সম্ভব হয়। হিন্দু ধর্মশাস্ত্রে গণেশকে প্রথম পুজ্য দেবতা বলা হয়। যে কোনও শুভ ও মাঙ্গলিক অনুষ্ঠান গণেশ পুজোর মাধ্যমেই শুরু হয়। গণেশ বন্দনার মাধ্যমে শুভ কাজ শুরু করলে তা নির্বিঘ্নে সম্পন্ন হয়। জ্যোতিষ শাস্ত্রে দেবদেবীকে তুষ্ট করার জন্য পুজোর পাশাপাশি মন্ত্র জপের মাহাত্ম্যও স্বীকৃত।
হিন্দু শাস্ত্রে গণেশের এমন ৫টি মহামন্ত্রের উল্লেখ রয়েছে। যা পাঠ করলে একদন্তের আশীর্বাদ লাভ করা যায়। এই মন্ত্র জপ করলে ভক্তরা সমস্ত দুঃখ,কষ্ট থেকে মুক্তি পায়। পাশাপাশি কাঙ্খিত ফল লাভ করা যায়। জ্যোতিষ অনুযায়ী গণেশের পাঁচ মহামন্ত্র সম্পর্কে এখানে জেনে নিন।
প্রতিদিন ভোরবেলা উঠে স্নান করে গণপতিকে পাঁচটি দূর্বা নিবেদন করুন। গণপতির মাথায় দূর্বা রাখবেন। তবে ভুলেও তাঁর পায়ে দূর্বা রাখবেন না। দূর্বা অর্পণ করার সময়ে এই মন্ত্রটি বলুন,’ ইদং দূর্বাদলং ওম গং গণপতয়ে নমঃ’।
শাস্ত্র অনুযায়ী শমী গাছের পুজো করলে শনি ও গণেশ উভয়েই প্রসন্ন হন। রাবণকে পরাজিত করার জন্য রামও শমী গাছের পুজো করেছিলেন। শমী গণেশের অত্যন্ত প্রিয়। শমী পাতা গণেশকে নিবেদন করলে ধন এবং সুখ বৃদ্ধি সম্ভব হবে।
অক্ষত বা অখণ্ড চাল গণেশকে নিবেদন করলে সুফল পাবেন। জল দিয়ে এই চাল ভিজিয়ে ‘ইদং অক্ষতম্ ওম গং গণপতয়ে নমঃ’ মন্ত্র জপ করতে করতে গণেশকে চাল নিবেদন করুন। তিন বার এ ভাবে চাল নিবেদন করবেন।
গণেশের সিঁদূরের রং বিশেষ প্রিয়। তাই গণেশকে সিঁদূর নিবেদন করা শুভ। এ সময়ে ‘সিন্দুরং শোভনং রক্তং সৌভাগ্যং সুখবর্ধনম্। শুভদং কামদং চৈব সিন্দূরং প্রতিগৃহ্যতাম্।। ওম গং গণপতয়ে নমঃ’।
১) খুইয়ে যাওয়া কাজ পুনরায় শুরু ও সাফল্য লাভের জন্য:-
” ত্রয়ীময়ায়াখিলবুদ্ধিদাত্রে বুদ্ধিপ্রদীপায় সুরাধিপায়।
নিত্যায় সত্যায় চ নিত্যবুদ্ধি নিত্যং নিরীহায় নমোস্তু নিত্যম্”
২) গজনান্দ একাক্ষর মন্ত্র:
” ওম গং গণপতয়ে নমঃ “।।
৩) গণেশকে খুশি করার মন্ত্র:
” ওম বক্রতুণ্ড মহাকায় সূর্য কোটি সমপ্রভঃ।
নির্বিঘ্নং কুরু মে দেব, সর্ব কার্যেষু সর্বদা “।।
৪) গণেশ গায়ত্রী মন্ত্র:
“ওম একদন্তায় বিহে বক্রতুণ্ডায় ধীমহি তন্নো দন্তিঃ প্রচোদয়াৎ “।
সংবাদটি ভালো লাগলে শেয়ার করুন

বিষয়: * সত্যজিৎ দাস
সর্বশেষ সংবাদ