সালথায় প্রতিপক্ষের হাতুড়ি পিটার আঘাতে হাসপাতালে কাতরাচ্ছে কৃষক

ফরিদপুর প্রতিনিধি:
ফরিদপুরের সালথায় এক কৃষকের উপর অতর্কিত হামলা ও হাতুড়ি পিটার আঘাতে হাসপাতালে মৃত্যুর সাাথে পাঞ্জা লড়ছে। গত ১৪ অক্টোবর (সোমবার) রাত ৯টার দিকে উপজেলার আটঘর ইউনিয়নের গোয়ালপাড়া গ্রামে এই ঘটনা ঘটে। আহত কৃষক গোয়ালপাড়া গ্রামের মৃত মান্নান খান এর ছেলে পিকুল খান (৩৮)। স্থানীয়রা উদ্ধার করে তাকে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে। সেখানে তার চিকিৎসা চলছে, মাথার আঘাত,সারা শরীরে হাতুড়ি পেটার আঘাত ও ভাঙ্গা পা নিয়ে যন্ত্রণায় কয়েকদিন যাবত হাসপাতালে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে।
আহত পিকুলের স্ত্রী শিরিনা বেগম বলেন, আমার স্বামী রাতে বাড়ি থেকে মশার কয়েল আনতে গোয়ালপাড়া বাজারে যায়। আমার স্বামীর প্রতিপক্ষের লোকজন আগে থেকেই ওৎপেতে   ছিলো তাকে মারার জন্য। চায়ের দোকান থেকে তাকে জোর করে তুলে নিয়ে শরীরের বিভিন্ন জায়গায় হাতুড়ি পেটা করে, রড, বাশ দিয়ে মাথায় আঘাত করে, তার হাত ভেঙ্গে দিয়েছে। পরে আমরা খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে তাকে উদ্ধার করে দ্রুত হাসপাতালে ভর্তি করি। আজ সে মৃত্যু শয্যায়। তিনি বলেন, এই গ্রামে একটা চক্র আছে যারা চাঁদাবাজী করে, দাঙ্গা হাঙ্গামা করে আসছিল আওয়ামীলীগের ছত্রছায়ায়। এখনও তাদের ক্ষমতার দাপটে এই ঘটনা ঘটিয়েছে। এ ঘটনায় মূল হোতা, একই গ্রামের জাহাঙ্গীর শেখ, কবির শেখ ও কামরুল পরামানিকসহ ১৫ জন কে আসামী করে,  একটা অভিযোগ করা হয়েছে সংস্লিষ্ট থানায়।
অভিযুক্ত কামরুল পরামানিকের মা বলেন, সেদিন বাজারে কি ঘটনা ঘটেছিলো আমরা জানি না। পরে শুনেছি পিকুল খা কে কেবা কারা মেরেছে, আমার ছেলে জড়িত কিনা আমার জানা নেই।
এ ব্যাপারে আটঘর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শহিদুল হাসান খান সোহাগ বলেন,  যারা এই ঘটনা ঘটিয়েছে তাদের শাস্তি হওয়া উচিৎ। আমি এই  ঘটনার কিছু জানতাম না। পরে জেনেছি হাসপাতালে আহত পিকুলের খোজখবরও নিয়েছি। পিকুলের উপর যারা হামলা করেছে তাদের আইনের আওতায় এনে কঠোর শাস্তির ব্যবস্থা গ্রহণ করা উচিৎ।
সালথা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আতাউর রহমান বলেন, এই ঘটনায় একটা অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত পূর্বক আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
সংবাদটি ভালো লাগলে শেয়ার করুন

বিষয়: * অতর্কিত হামলা ও হাতুড়ি পিটার আঘাতে হাসপাতালে মৃত্যুর সাাথে পাঞ্জা লড়ছে। * সালথায় প্রতিপক্ষের হাতুড়ি পিটার আঘাতে হাসপাতালে কাতরাচ্ছে কৃষক
সর্বশেষ সংবাদ