শেরপুর বিশ্ব শিক্ষক দিবস উপলক্ষে র্যালী আলোচনা সভা
শেরপুর প্রতিনিধি:
জাতি গঠনে শিক্ষকের অবদানের স্বীকৃতি স্বরূপ সম্মাননা জ্ঞাপন এবং আদর্শ জাতি গড়ার কারিগর খ্যাত শিক্ষকদের অবদানকে শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করতে সারা বিশ্বের ন্যায় শেরপুরের নকলায় বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্য দিয়ে বিশ্ব শিক্ষক দিবস পালিত হয়েছে।
এ উপলক্ষে শনিবার (৫ অক্টোবর) শেরপুরের নকলা উপজেলা শিক্ষক দিবস-২০২৪ উদযাপন কমিটির আয়োজনে বর্ণাঢ্য র্যালী ও আলাচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। ‘শিক্ষকের কন্ঠসর, শিক্ষায় নতুন সামাজিক অঈীকার’ এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে র্যালিটি উপজেলা পরিষদ চত্বর থেকে বের হয়ে শহরের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে। পরে উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. আব্দুর রশিদ-এঁর সভাপতিত্বে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় বক্তব্য রাখেন, একাডেমিক সুপারভাইজার ফারহানা জাহান সিরাজী, চৌধুরী ছবরুন নেছা মহিলা ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ (চলতি দায়িত্ব) মোজাম্মেল হক, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতির সভাপতি মুহাম্মদ ফকরুল আলম, ধুকুড়িয়া এ-জেড টেকনিকেল এন্ড বিএম কলেজের অধ্যক্ষ মোহাম্মদ রেজাউল আলম প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, দেশ ও জাতির কল্যাণে শিক্ষক-শিক্ষার্থীর সম্পর্ক উন্নয়নের কোন বিকল্প নেই। শিক্ষকরা আদর্শ জাতি গড়ার কারিগর। তাঁরা শিক্ষার্থীদের শিক্ষিত ও দক্ষ মানবশক্তিতে রূপান্তরিত করে দেশ ও জাতি গঠনে দক্ষ করে তুলেন। আজকের শিক্ষার্থীরাই আগামী দিনের দেশ গড়ার দায়িত্ব নিবে। তাই শিক্ষার্থীদের দক্ষ ও যোগ্য করে গড়ে তুলতে মহান দায়িত্ব পালন করবেন শিক্ষক সমাজ। এ কারণেই আমাদের সমাজে পিতা-মাতার পরেই শিক্ষকের স্থান বলে মনে করা হয়। তাই শিক্ষকদের সম্মানে যথাযথ মর্যাদায় বিশ্ব শিক্ষক দিবস পালন করা প্রতিটি নাগরিকের কর্তব্য বলে বক্তারা মন্তব্য করেন। আদর্শ জাতি গড়ায় শিক্ষকদের অসামান্য অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে এ দিবসের গুরুত্ব অপরিসীম বলে বক্তারা জানান।
র্যালী ও আলোচনা সভায় উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতির নেতৃবৃন্দ, বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকগণ অংশ গ্রহন করেন। অন্যদিকে বৈরি আবহাওয়ার কারনে উপজেলার সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে আলাদা ভাবে বিশ্ব শিক্ষক দিবস-২০২৪ যথাযথভাবে উদযাপন করতে না পারলেও চৌধুরী ছবরুন নেছা মহিলা ডিগ্রি কলেজ, গনপদ্দী উচ্চ বিদ্যালয়, বানেশ্বরদী ইসলামিয়া দাখিল মাদ্রাসাসহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সংক্ষিপ্ত পরিসরে বিভিন্ন কর্মসূচি বাস্তবায়ন করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, জাতি গঠনে শিক্ষকের অবদানের স্বীকৃতি স্বরূপ তাদের সম্মাননা জানানোর মাধ্যমে সব শিক্ষককে উৎসাহিত ও অনপ্রাণিত করার লক্ষ্যে বৃহস্পতিবার (৩ অক্টোবর) শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের এক অফিস আদেশে জাতীয়, বিভাগ, জেলা, উপজেলা ও প্রতিষ্ঠান পর্যায়ে বিশ্ব শিক্ষক দিবস উদযাপনের জন্য নির্দেশনা দেওয়া হয়। বিশ্বের সকল শিক্ষকের অবদানকে স্মরণ করার জন্য জাতিসংঘের অঙ্গ সংস্থা ইউনেসকোর আহবানে ১৯৯৪ সাল থেকে প্রতিবছর ৫ অক্টোবরকে বিশ্ব শিক্ষক দিবস হিসেবে বিশ্বব্যাপী পালিত হয়ে আসছে।