ভারতে হযরত মুহাম্মদ (সা:) কে নিয়ে কটুক্তির প্রতিবাদে গোপালগঞ্জে গওহরডাঙ্গা মাদ্রাসার উদ্যোগে বিক্ষোভ ও মানববন্ধন

বেফাকুল মাদারিসিল কওমিয়া গওহরডাঙ্গা বাংলাদেশের উদ্যোগে ভারতের মহারাষ্ট্রে হিন্দু পুরোহিত রামগিরি মহারাজ, মহানবী হযরত মুহাম্মাদ সা. এর শানে গোস্তাখি এবং বিজেপি সংসদ সদস্য নারায়ন রানে তাকে সমর্থন করার প্রতিবাদ
 গোপালগঞ্জ প্রেসক্লাবের সামনে প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।আজ ২ অক্টোবর বুধবার বেলা ১০টা থেকে এ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন, বেফাকুল মাদারিসিল কওমিয়া গওহরডাঙ্গা বাংলাদেশ এর সহ-সভাপতি মাওলানা কবিরুল ইসলাম।
প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তারা বলেন, ভারতের মহারাষ্ট্রে হিন্দু পুরোহিত রামগিরি মহারাজ মহানবী হযরত মুহাম্মাদ সা. এর শানে গোঞ্জাখি এবং বিজেপি সংসদ সদস্য নারায়ন রানে তাকে সমর্থন করে বিশ্বের সকল মুসলিম সম্প্রদায়ের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত দিয়েছে। মহানবী (সা.)-কে নিয়ে কটূক্তি বা অবমাননাকর বক্তব্য ইসলাম ধর্মের অনুসারীদের জন্য অত্যন্ত স্পর্শকাতর এবং আপত্তিকর। এই ধরনের মন্তব্য পার্শবর্তী রাষ্ট্র ভারত থেকে প্রচারিত হওয়ায় তা গোটা বিশ্বের মুসলিম সম্প্রদায়ের মধ্যে গভীর ক্ষোভ ও ক্ষতের সৃষ্টি করেছে। এ ধরনের-আপত্তিকর মন্তব্য কোনভাবেই মেনে নেওয়ার মতো-নয়। এ ধরনের মন্তব্যের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ সরকারকে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ ও রাষ্ট্রীয়ভাবে নিন্দা জানাতে হবে।
প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তাগণ প্রধান উপদেষ্টার প্রতি আহ্বান জানিয়ে আরো বলেন, কেবল বাংলাদেশ নয় বরং বিভিন্ন মুসলিম দেশ থেকেও ভারতের এ ধরনের ঘটনার প্রতিবাদ জানানো হয়েছে। বিছিন্ন আন্তর্জাতিক ইসলামিক সংস্থা, রাষ্ট্র ও সংগঠন ভারত সরকারের কাছে এ বিষয়ে নিন্দা প্রস্তাব পেশ করেছে এবং সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছে। এমুন কাজের ফলে ধর্মীয় সহাবস্থান এবং ভ্রাতৃত্বপূর্ণ পরিবেশ নষ্ট হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তাই মহানবী (সা.)-কে নিয়ে এই ধরনের কটুক্তিকারীর শান্তি নিশ্চিত করা এবং একইসঙ্গে ভারতের পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিক ক্ষমা চাওয়ার বিষয়ে কূটনৈতিক চাপ প্রয়োগ করতে হবে। আমরা আপামর মুসলিম জনসাধারণ সংশ্লিষ্ট বিষয়ে মাননীয় প্রধান উপদেষ্টার সাহসী পদক্ষেপ গ্রহণের
আহ্বান জানাচ্ছি। বক্তাগণ আরো বলেন, বাংলাদেশ ধর্মীয় সম্প্রীতির দেশ। এখানে বিরানব্বই ভাগ (৯২%) মুসলিম সম্প্রদায়ের বসবাস। তা সত্ত্বেও সৌহার্দ, সম্প্রীতি ও আন্তরিকতাপূর্ণ সহাবস্থান রয়েছে সকল ধর্মের নাগরিকদের। কিন্তু আমাদের পারস্পরিক শান্তিপূর্ণ অবস্থান ও অসাম্প্রদায়িক ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করার জন্য বিশৃঙ্খলা সৃষ্টিকারিরা অসংলগ্ন মন্তব্য করে ইতিপূর্বে অপতৎপরতা চালিয়েছে।
মুফতি মাকসুদুল হক ও মাওলানা মাহমুদুল হাসান খানের পরিচালনায় অন্যান্যের মধ্যে আরো বক্তব্য রাখেন, বোর্ডের সহ- সভাপতি মাওলানা নুরুল হক, মাওলানা আব্দুচ্ছালাম, মাওলানা হাসমতুল্লাহ, মাওলানা আব্দুল্লাহ, মাওলানা মাহমুদুল হাসান, মাওলানা মুহিব্বুল্লাহ, মাওলানা হাফিজুর রহমান, মাওলানা জামাল উদ্দিন, মাওলানা শফিকুল ইসলাম, মাওলানা নিজামুদ্দিন, মাওলানা শহিদুল ইসলাম, মাওলানা ইব্রাহীম, মাওলানা হায়াত আলী, মাওলানা সাখাওয়াত হোসাইন সমাবেশ শেষ স্বাক্ষরিত স্মারকলিপি জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে প্রধান উপদেষ্টার বরাবর পেশ করা হয়।
সংবাদটি ভালো লাগলে শেয়ার করুন

বিষয়: * কওমিয়া * প্রতিবাদ * প্রেসক্লাবের * সমাবেশ
সর্বশেষ সংবাদ