আটকে আছে বাকৃবির কৃষি রসায়ন বিভাগের ফলাফল, দুর্ভোগে শিক্ষার্থীরা
বাকৃবি প্রতিনিধি:
প্রায় ৭ মাস পেরিয়ে গেলেও প্রকাশিত হয়নি বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) কৃষি রসায়ন বিভাগের স্নাতকোত্তরের (অক্টোবর – মার্চ) দ্বিতীয় সেমিস্টারের ফলাফল।
রোববার (২৯ সেপ্টেম্বর) দুপুরে দ্রুত ফলাফল প্রকাশের দাবিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের করিম ভবনে কৃষি রসায়ন বিভাগের প্রধান মৌসুমী আক্তারকে অবরুদ্ধ করে রাখেন শিক্ষার্থীরা।
শিক্ষার্থীরা জানান, গত ২৪ মার্চ কৃষি রসায়ন বিভাগের স্নাতকোত্তরের (অক্টোবর – মার্চ) দ্বিতীয় সেমিস্টারের রেজাল্ট প্রকাশিত হবার কথা থাকলেও এখনো সে রেজাল্ট প্রকাশিত হয়নি। কোর্স শিক্ষক অধ্যাপক ড. মো. আখতার হোসেন চৌধুরী তার কোর্সের খাতা জমা না দেয়ায় এমন ভোগান্তিতে পড়তে হয়েছে শিক্ষার্থীদের। প্রায় অর্ধশতাধিক শিক্ষার্থীর রেজাল্ট এখনো আটকে আছে।
জানা যায়, অধ্যাপক ড. কাজী ফরহাদ কাদির এবং অধ্যাপক ড. রাজিয়া সুলতানা ওই কোর্সের খাতা দেখে অধ্যাপক ড. মো. আখতার হোসেন চৌধুরীর নিকট জমা দেন। কিন্তু অধ্যাপক আখতার সে খাতাটি কৃষি রসায়ন বিভাগে জমাই দেননি। এতে করে থিসিস সেমিস্টার ফর্ম পূরণ করতে পারছেন না শিক্ষার্থীরা।
এ বিষয়ে কৃষি রসায়ন বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ড. মৌসুমী আক্তার বলেন, ওই সেমিস্টারের বাকি শিক্ষকদের খাতা জমা পড়লেও আখতার স্যার তার অংশের খাতা জমা দেয় নি। এতে করে সেমিস্টার শেষ হলেও ফলাফল প্রকাশ করা সম্ভব হয়নি। আখতার স্যারের সাথে আমি মুঠোফোনে একাধিকবার কল দিয়েছি, যখন তিনি ফোন রিসিভ করে তখন আমি তাকে বিষয়টি অবগত করতে চাইলে তিনি ফোনটি তৎক্ষণাৎ কেটে দেন।
এদিকে বেলা পৌনে ২টায় ক্ষুব্ধ স্নাতকোত্তরের শিক্ষার্থীরা করিম ভবনের প্রধান ফটক তালা বন্ধ করে দেয়। ফলে স্নাতকের সেমিস্টার পরীক্ষা সাময়িক বন্ধ হয়ে যায়। এ সময় করিম ভবনে উপাচার্য অধ্যাপক এ কে ফজলুল হক ভূঁইয়ার আশ্বাসে শিক্ষার্থীরা তালা খুলে দেন। এরপর কৃষি রসায়ন সম্মেলন কক্ষে কৃষি রসায়ন বিভাগের শিক্ষক, স্নাতকোত্তরের শিক্ষার্থীদের নিয়ে আলোচনা করেন উপাচার্য। এ সময় উপস্থিত ছিলেন ছাত্রবিষয়ক উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মো. শহীদুল হক, কৃষি অনুষদের বিভাগীয় প্রধান, ভেটেরিনারি অনুষদের বিভাগীয় প্রধান, সহযোগী ছাত্র বিষয়ক উপদেষ্টাসহ প্রক্টরিয়াল বডি আসলে শিক্ষার্থীরা তালা খুলে দেয় ও পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়।
এসময় বাকৃবির উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ. কে. ফজলুল হক ভূঁইয়া বলেন, আগামী ১ অক্টোবর দুপুরে ১২ তার মধ্যে খাতা জমা দিতে হবে এবং ২ অক্টোবর বিকেলের মধ্যে রেজাল্ট অবশ্যই প্রকাশ করতে হবে অন্যথায় কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এসময় অধ্যাপক ড. মো. আখতার হোসেন চৌধুরীর সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করলে তিনি ফোন ধরেননি।