জয়পুরহাটে অর্থের বিনিময়ে মামলা প্রত্যাহারের প্রতিশ্রুতি ও জাল সনদে চাকরি
জয়পুরহাট প্রতিনিধি:
একটি মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার করে নেওয়ার বিনিময়ে মোটা অঙ্কের অর্থ দাবী করার অভিযোগ উঠেছে সাবেক স্ত্রী ও তার স্বামীর বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় প্রতিনিয়ত হুমকী ধামকীর স্বীকারও হচ্ছেন বলে অভিযোগ রঞ্জুর মিয়া (২৩) নামে এক ভুক্তভোগী যুবকের।
জানা গেছে, কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার বানচার ভিটা গ্রামের বাসিন্দা আমিনুল ইসলামের ছেলে পেশায় রড মিস্ত্রী রঞ্জু মিয়া জয়পুরহাট সদর উপজেলার পূর্ব পারুলিয়া গ্রামের খোকন মন্ডলের মেয়ে খুরশিদা আক্তার খুশি’র সাথে ২০২০ সালের ১৯ জুলাই প্রেমের সম্পর্কে বিবাহ হয়।
২ মাস ২৬ দিন ঘর সংসার করার পর খুশির বাবা বাদী হয়ে রঞ্জুসহ ৫জনের নামে আদালতে একটি অপহরণ মামলা দায়ের করেন। পরবর্তীতে সংশ্লিষ্ট তদন্তকারী কর্মকর্তা তৎকালীন জয়পুরহাট সদর থানার এসআই আব্দুস সালাম ৪জনের নাম বাদ দিয়ে শুধু রঞ্জুর নামে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন।
এ অবস্থায় মামলাটি চলমান থাকা অবস্থায় খুশি ও তার বর্তমান স্বামী জয়পুরহাটের ক্ষেতলাল উপজেলার মামুদপুর ইউনিয়নের দেওগ্রামের বাসিন্দা আব্দুল হান্নানের ছেলে খায়রুল ইসলাম মামলা প্রত্যাহারের বিনিময়ে রঞ্জুর কাছ থেকে দেড় থেকে দুই লাখ টাকা দাবী করছেন।
রঞ্জু মিয়া আরো অভিযোগ করে বলেন, জাল সনদে মামুদপুর ইউনিয়ন পরিষদে গ্রাম পুলিশের চাকুরী করা খায়রুল ইসলাম ও খুশি বিভিন্ন সময়ে আবারো মামলা কিংবা বড় ধরণের ক্ষতি করার হুমকী ধামকী দিচ্ছেন। যে কারনে তিনি নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। গোপন ক্যামেরায় ধারণকৃত গত ১৬ সেপ্টেম্বর একান্ত আলাপ কালে খাইরুল ইসলাম বলেন৷ আমি মশিউর রহমান শামীম চেয়ারম্যান ও আলহাজ্ব দুলাল মিয়া সরদার চেয়ারম্যানের মাধ্যমে এই সনদটি সংগ্রহ করেছি৷ বুড়াইল ফাজিল মাদ্রাসা থেকে ৷
মামুদপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ও আলহাজ্ব দুলাল মিয়া সর্দার সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান আত্মগোপনে থাকায় তাদের বক্তব্য পাওয়া সম্ভব হয়নি৷
এসব অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে খুশি ও খায়রুল ইসলাম বলেন-অভিযোগুলো মিথ্যা। এই ধরনের কোন ঘটনা নেই। আমি যাকে বিয়ে করেছি সে ডিভোর্স প্রাপ্ত একজন নারী তার সাবেক স্বামীর বিরুদ্ধে মামলা ছিলো তার পরিবার গোপন রেখেছিলো আপনাদের মাধ্যমে জানলাম ওই স্বামীর সাথে আমার কোন প্রকার কথা হয়নি টাকার বিনিময়ে মামলা আপস৷ করা তো দূরের কথা৷ মামলা হামলার বিষয় আমার অজানা আমার সাটিফিকেট জাল নয় আমি মাদ্রাসায় পড়াশুনা করেছি সেই সনদ দিয়ে আমি চাকরি করছি৷ আমার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ তুলেছে সম্পূর্ণ মিথ্যা ভিত্তিহীন বানোয়াট৷
এ বিষয়ে বুড়াইল ডি এস ফাজিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ আলমগীর হোসেন বলেন৷ খাইরুল ইসলাম আমার মাদ্রাসার ছাত্র কিনা রেজিস্টার দেখে আগামীকাল জানাবো ৷ মামলা তদন্তকারী কর্মকর্তা তৎকালীন জয়পুরহাট সদর থানার এসআই আব্দুস সালাম বলেন-সেই সময়ে তদন্তে যা পেয়েছি, আদালতে তা জমা দিয়েছি। মামলা আপোশ মিমাংশার বিষয়ে আমি কিছু জানি না।