বৃষ্টি হলেই জমে যায় হাঁটু পানি, সীমাহীন ভোগান্তি

 

  শালিখা (মাগুরা) প্রতিনিধি:

টানা দুদিনের বৃষ্টিতে মাগুরার শালিখা উপজেলা সদর আড়পাড়া বাজারের পোস্ট অফিস রোডে তৈরী হয়েছে জলাবদ্ধতা। যা থাকে সপ্তাহ বা তার বেশি সময়। জলাবদ্ধতা কেটে গিয়ে রাস্তা পিচ্ছিল হয়ে ছোট বড় দুর্ঘটনা ঘটে। ফলে সীমাহীন ভোগান্তিতে পড়েছে ওই এলাকার মুদি দোকানী, হোমিও চিকিৎসক, বিউটি পার্লারের সত্বাধিকারী, কম্পিউটার দোকানী, পেঁয়াজ ব্যবসায়ীসহ অর্ধশতাধিক লোক। এছাড়াও পোস্ট অফিসের চারপাশে পানি জমে যাওয়ায় হাঁটু পানি পাড়ি দিয়ে পোস্ট অফিসের সেবা নিতে আসছেন সেবা প্রত্যাশীরা। রাস্তার চেয়ে ড্রেনের উচ্চতা বেশি হওয়ায় এবং ড্রেনের পানি প্রবাহ বন্ধ থাকায় প্রতি বর্ষা মৌসুমে বৃষ্টি হলেই এই ভোগান্তিতে পড়েন  ওই এলাকার জনগণ।

আজ বৃহস্পতিবার সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, দুদিনের টানা বৃষ্টিতে আড়াপাড়া বাজারের তুষার কম্পিউটারের দোকান থেকে পোস্ট অফিস পর্যন্ত প্রায় দুইশ গজ রাস্তার উপর হাঁটু সমান পানি বেঁধে গেছে। পানি মাড়িয়ে ইজিবাইক, মোটরবাইক, ভ্যান, বাইসাইকেল যোগে যাতায়াত করছেন আড়পাড়াগামী অসংখ্য মানুষ। পানির নিচে ছোট ছোট গর্ত থাকায় ঘঠছে ছোট বড় দুর্ঘটনা। কেউ পড়ে যাচ্ছেন, কারো গাড়ি উল্টে যাচ্ছে। পাশ্ববর্তী অনেক দোকানী দোকানে পানির প্রবেশ ঠেকাতে পলিথিন টানিয়েছেন দোকানের সামনে। প্রতি বর্ষা মৌসুমে এভাবেই চলতে হয় বলে  জানিয়েছেন ওই ব্যবসায়ীরা। আড়পাড়া বাজারের কম্পিউটার দোকানী শামসুর রহমান বলেন, ড্রেনের সামনে থাকা একটি ছোট্ট কালভার্ট ভেঙে যাওয়ায় ড্রেনের পানি নিষ্কাশন বন্ধ হয়ে গেছে ফলে বৃষ্টি হলেই জলাবদ্ধতা তৈরি হয়।

এব্যাপারে সংশ্লিষ্ট দপ্তরে কয়েকবার অভিযোগ দিয়েও কাজ হয়নি। উপজেলা পোস্ট মাস্টার (ভারপ্রাপ্ত) মহিতোষ মন্ডল বলেন, প্রতি বর্ষা মৌসুমেই পোস্ট অফিসের সামনে হাঁটু সমান পানি বেঁধে যায়। ফলে সেবা নিতে আসা লোকেরা পড়েন সীমাহীন ভোগান্তিতে। রাস্তার চেয়ে ড্রেনের উচ্চতা বেশি থাকায় জলাবদ্ধতা তৈরি হয় বলে জানা তিনি। পোস্ট অফিসে সেবা নিতে আসা চঞ্চল বিশ্বাস নামে এক ব্যক্তির সঙ্গে কথা হলে তিনি বলেন, আমি দীর্ঘদিন ধরে পোস্ট অফিসে আসি, একটু বেশি বৃষ্টি হলেই দেখি এখানে জল বেঁধে যায় যা মাড়াতে গেলেই কাপড় ভিজে যায় কখনো কখনো পড়ে যেতে হয়।

ওই এলাকার পেয়াজ ব্যবসায়ী আমিরুল মোল্যা বলেন, সামান্য বৃষ্টি হলেই এই রোডে পানি বেঁধে যায় যা পাশ্ববর্তী দোকানের চরম ক্ষতি করে। গত বছর আমার দোকানে পানি ঢুকে প্রায় পাঁচ -সাত মণ পেঁয়াজ পঁচে গেছে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হাসিনা মমতাজ বলেন, সম্প্রতি আমি জায়গাটা পরিদর্শন করেছি, ঐখানের রাস্তাটি মূলত রোডস এন্ড হাইওয়ের। আমি সংশ্লিষ্ট ডিপার্টমেন্টকে জানিয়েছি তারা যদি কোনো পদক্ষেপ গ্রহন না করে তাহলে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে পানি অপসারণ পূর্বক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

সংবাদটি ভালো লাগলে শেয়ার করুন

বিষয়: * বৃষ্টি হলেই জমে যায় হাঁটু পানি * সীমাহীন ভোগান্তি
সর্বশেষ সংবাদ