মধ্যনগরে নেই গণশৌচাগার,জায়গা পেলেই হবে ওয়াস ব্লক বলছে জনস্বাস্থ্য
মধ্যনগর সুনামগঞ্জ :
সুনামগঞ্জের মধ্যনগর উপজেলায় নেই গণশৌচাগার। যার দরুন স্থানীয় ব্যাবসায়ী সহ আগত জনসাধারণ শৌচাগারের অভাবে পয়ঃনিস্কাশনে দুর্ভোগের স্বীকার হচ্ছেন প্রতিনিয়তই। মধ্যনগর সদরে প্রায় ৫শতাধিক ক্ষুদ্র ব্যাবসায়ী থাকলেও পাচ্ছেন না শৌচাগারের সুবিধা।এমতাবস্থায় সকাল সন্ধ্যায় হন্নহয়ে ভুক্তভোগীরা গুড়াফেরায় কাজ সাড়েন যেখানে সেখানে।যত্রতত্র করেন প্রস্রাব পায়খানা। বিষয়টি সকলের মাথায় থাকলেও হচ্ছে না এই অসুবিধার নিরশন।একাধিকবার গণমাধ্যমে উপস্থাপিত হলেও নেয়া হয়নি কোন পদক্ষেপ।
মধ্যনগর উপজেলা সদর বাজারের উত্তর ও দক্ষিণ পার্শ্বে দু’জোড়া শৌচাগার ব্যাহারের অনুপযোগী দাঁড়িয়ে রয়েছে। সদরে আসা পর্যটক,অতিথি ও পথচারীরা পড়েন দুর্বিপাকে।একাধিক ক্ষুদ্র ব্যাবসায়ীদের সাথে কথা বলে জানা যায় ভাড়া দিয়ে ঘর রাখেন ঠিকি কিন্তু থাকে না শৌচাগারের ব্যাবস্থা। বর্ষার মৌসুমে অজস্র পর্যটক আসেন দেশের বিভিন্ন প্রান্থ থেকে।তারা এই দুর্ভোগের অতীব গভীরতর দুঃখ প্রকাশ করেন। মধ্যনগর উপজেলা সদর বাজারের রাজস্বখাতে প্রতি বছর অর্ধকোটির বেশী গেলেও স্থানীয় পয়ঃনিষ্কাশন ব্যবস্থার কোন স্থায়ী পদক্ষেপ নিতে দেখা যায় নি।বিগত দিনে একজোড়া শৌচাগার নির্মাণ স্থাপন হলেও বিশেষ কারনে ৬মাসের ভিতরেই ভেঙ্গে ফেলা হয়েছে। এমতাবস্থায় এলাকার জনসাধারণ, স্থানীয় ব্যাবসায়ী, আগত অতিথি,পর্যটকদের সুবিধার জন্য এইদাবীটি প্রয়োজনীয় ও জনগুরুত্বপূর্ণ।তাই সর্বমহলের দাবী প্রয়োজনীয় গণশৌচাগার নির্মাণের।এঅবস্থায় স্থানীয় সরকার ও উপজেলা কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করেছেন ভুক্তভোগীরা।
প্রায় দুবছর আগে মধ্যনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাহিদ হাসান খানের সভাপতিত্বে মধ্যনগর উপজেলার মাসিক সমন্বয় সভায় গণমাধ্যম কর্মী অমৃত জ্যোতির প্রস্থাবে সমস্যা নিরসনের জন্য “ওয়াস ব্লক” নির্মাণের সিদ্ধান্ত হয়েছিল।কিন্তু প্রায় দুবছর পেরিয়ে গেলেও এপর্যন্ত কোন পদক্ষেপ নেয়া হয়নি। মধ্যনগর উপজেলার অতিরিক্ত দায়িত্বে থাকা জনস্বাস্থ্য উপপ্রকৌশলী মেহেদী হাসান জানান,আমাদের হাতে একটি বড় প্রকল্পের “ওয়াসব্লক” পাবলিক টয়লেট বরাদ্দ আছে। তবে জায়গা নির্ধারণ করে না দেয়ায় এটি স্থাপন করা যাচ্ছে না।