বিএনপি নেতা মিল্লাত এর বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির মিথ্যা অভিযোগ
শেরপুর প্রতিনিধি:
বিএনপি নেতা মিল্লাত হোসেন আকন্দের নামে মিথ্যা অপবাদ দেওয়ার বিষয়টি সাম্প্রতিক কালে শ্রীবরদী উপজেলাতে ব্যাপক আলোচনা জন্ম দিয়েছে। রাজনৈতিক অঙ্গনে দলের নেতাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ এবং অপবাদ নতুন কিছু নয়, তবে মিল্লাত হোসেন আকন্দের ক্ষেত্রে এটি আরও বেশি জটিল হয়ে উঠেছে, কারণ তার বিরুদ্ধে আনীত সব অভিযোগ মিথ্যা ও বানোয়াট বলে জানা গেছে।
ঘটনা সূত্রে যায় ৬ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য আলহাজ্ব নুরল হক, রানীশিমুল ইউনিয়নের সাংগঠিক সম্পাদক মিল্লাত হোসেন আকন্দের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি ও হত্যার হুমকির কথা উল্লেখ করে, উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও শ্রীবরদী থানায় অভিযোগ জমা দেন৷ কিন্তু এই খবর সত্যতা না জেনে, দৈনিক সময়ের কাগজ, মিল্লাত হোসেন আকন্দের বিরুদ্ধে একতরফা ভাবে চাঁদাবাজির সংবাদ প্রকাশ করেন। যা তার ভাবমূর্তি কে ক্ষুন্ন করেছে বলে তিনি অভিযোগ করেন।
স্থানীয় সূত্রে যানা যায়, মিল্লাত হোসেন শ্রীবরদী উপজেলার হাসধরা গ্রামের স্থায়ী বাসিন্দা, তিনি রানীশিমুল ইউনিয়ন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক পদে রয়েছেন। তিনি ইউনিয়ন বিএনপি সৎ ও নিষ্টাবান নেতা, তিনি দলের প্রয়োজনে বার বার কারাবরণ করেছেন, তিনি দলের দূর্দিনে শক্ত হাতে সংগ্রাম করেছেন এবং তৃণমূল কর্মীদের সবাত্নক সহোযোগিতা করেছেন।
স্থানীয় জনগন বলেন, মিল্লাত হোসেন আকন্দ বিএনপির একজন গুরুত্বপূর্ণ নেতা, যিনি তার রাজনৈতিক ক্যারিয়ারে সব সময় জনগণের পক্ষে কাজ করে এসেছেন। কিন্তু সাম্প্রতিক সময়ে তার বিরুদ্ধে কয়েকটি অভিযোগ আনা হয়েছে যা মিথ্যা এবং উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। এই অভিযোগগুলো মূলত রাজনৈতিক প্রতিপক্ষের পক্ষ থেকে এসেছে। তার বিরুদ্ধে মিথ্যা চাদাবাজি অভিযোগ থেকে শুরু করে নানা ধরনের অনৈতিক কর্মকাণ্ডে যুক্ত থাকার কথা বলা হয়েছে, যা সম্পূর্ণ মিথ্যা বানোয়াট ও ভিত্তিহীন।
রানীশিমুল ইউনিয়নের বাসিন্দা শাহাদাত হোসেন লাভলু বলেন, এ ধরনের অপবাদ রাজনৈতিক নেতৃত্বকে দুর্বল করার প্রচেষ্টা হতে পারে বলে তিনি মনে করেন। কারণ মিল্লাত হোসেন আকন্দ একজন সম্ভান্ত পরিবারের ছেলে, আমরা তার বিরুদ্ধে এরকম অভিযোগ আগে কখনো শুনি নাই তিনি রাজনৈতিক ষড়যন্ত্রের শিকার। আমরা তার মিথ্যা অপপ্রচারের বিরদ্ধে তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।
বিলভরট গ্রামের খোরশেদ আলম বলেন, এ ধরনের মিথ্যা অভিযোগ রাজনৈতিক প্রতিহিংসা থেকে আসতে পারে, যার মাধ্যমে একজন নেতাকে জনসমর্থন থেকে বঞ্চিত করার অপচেষ্টা। মিল্লাত হোসেন আকন্দ এবং তার সমর্থকরা এই অভিযোগগুলোর বিরুদ্ধে কড়া প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছেন। তারা এসব অভিযোগের সত্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন এবং দাবি করেছেন যে, এসব অভিযোগ সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন।
মিল্লাত হোসেন আকন্দ বলেন, তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগগুলো রাজনৈতিক উদ্দেশ্য প্রণোদিত এবং তাকে রাজনৈতিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন করার চেষ্টা করা হচ্ছে।
টেংগরপাড়া গ্রামের শামীম কবির বলেন, বাংলাদেশের রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে মিথ্যা অভিযোগ, অপপ্রচার এবং নেতিবাচক প্রচারণা নতুন নয়। দলের নেতাদের বিরুদ্ধে প্রায়ই এ ধরনের অভিযোগ আনা হয়ে থাকে, যা রাজনৈতিক প্রতিযোগিতা এবং ক্ষমতার লড়াইয়ের অংশ হিসেবে দেখা যায়। মিল্লাত হোসেন আকন্দের ক্ষেত্রে এটি আরও স্পষ্ট হয়ে উঠেছে যে, রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ তাকে দুর্বল করার জন্য এই মিথ্যা অপবাদ ব্যবহার করেছে।
মোকাররম হোসেন মুক্তা বলেন, এ ধরনের অপবাদ রাজনৈতিক স্থিতিশীলতার জন্য একটি হুমকি। তার বিরুদ্ধে আনা মিথ্যা অভিযোগ ও অপবাদ বাংলাদেশের রাজনৈতিক সংস্কৃতির একটি অংশ হয়ে দাঁড়িয়েছে। তবে মিল্লাত হোসেন আকন্দ এই অপবাদকে দৃঢ়তার সাথে মোকাবিলা করছেন এবং তার প্রতি জনগণের আস্থা ও সমর্থন বজায় রয়েছে।
নুরল হকের অভিযোগে সাক্ষ্য দেয়া রাণীশিমুল ইউনিয়ন বি এন পি এর সহ-সভাপতি মীর রোকনুজ্জামান লাখু বলেন, আমি অভিযোগের ব্যাপারে কিছু জানিনা। আমি কোন সাক্ষ্য দেই নাই।