বেরোবিতে বিধিবহির্ভূতভাবে পদোন্নতিপ্রাপ্ত ৮ কর্মকর্তার বেতন স্থগিত
রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে (বেরোবি) বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের (ইউজিসি) আইন ভেঙে বিধিবহির্ভূতভাবে পদোন্নতিপ্রাপ্ত ৮ কর্মকর্তার বেতন স্থগিত করেছেন নবনিযুক্ত উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. শওকাত আলী।
রবিবার (২২ সেপ্টেম্বর) শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের চলতি বছরের আগস্ট মাসের বেতন বিলে তিনি স্বাক্ষর করলেও নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে পদোন্নতি পাওয়া আট কর্মকর্তার বেতন-ভাতার বিলে স্বাক্ষর করেননি উপাচার্য।
চলতি বছরের ২৯ জুন তারিখে অনুষ্ঠিত ১০৫তম সিন্ডিকেট সভায় ইউজিসির নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও নয় কর্মকর্তার পদোন্নতির অনুমোদন দেন সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. হাসিবুর রশীদ। এর পরিপ্রেক্ষিতে এবার উক্ত নয়জনের মধ্য হতে আটজনের বেতন-ভাতা স্থগিত করা হলো।
বেতন ভাতা স্থগিত হওয়া আট কর্মকর্তা হলেন: সংস্থাপন শাখার ড. জিয়াউল হক, মোস্তাফিজার রহমান মন্ডল, জনসংযোগ, তথ্য ও প্রকাশনা দপ্তরের অতিরিক্ত পরিচালক মোহাম্মদ আলী, পরিবহন পুলের তাপস কুমার গোস্বামী, কাউন্সিল শাখার ময়নুল আযাদ, পরীক্ষা নিয়ন্ত্রণ দপ্তরের ফিরোজুল ইসলাম, সেন্টার ফর ডিজিটাল ট্রান্সফরমেশনের (সিডিটি) এসএম আব্দুর রহিম ও উপাচার্য দপ্তরের ব্যক্তিগত সচিব খায়রুল ইসলাম।
২০২১ সালের ৩১ অক্টোবর সকল বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য একটি নির্দেশনা প্রদান করে ইউজিসি। নির্দেশনা মোতাবেক, “প্রত্যেক বিশ্ববিদ্যালয়ে রেজিস্ট্রার, পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক, অর্থ ও হিসাব এবং লাইব্রেরি— এই চার দপ্তরে ৪র্থ গ্রেডভুক্ত অতিরিক্ত রেজিস্ট্রার বা সমমানের পদ থাকবে। এই পদসমূহে ইউজিসির অনুমোদন সাপেক্ষে উন্মুক্ত বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে সরাসরি নিয়োগ দিতে হবে। কোনোরূপ পদোন্নতি/আপগ্রেডেশন/পর্যায়োন্ নয়ন দেয়া যাবে না।”
প্রসঙ্গত, ৩০ মে তারিখে প্রেরিত ইউজিসির ৬ষ্ঠ দফা চিঠি উপেক্ষা করে গত ৩১ মে ২০২৪ তারিখে অতিরিক্ত রেজিস্ট্রার ও সমমানের পদে আপগ্রেডেশনের মাধ্যমে পদোন্নতি দিতে বাছাইবোর্ড সম্পন্ন করেছিলেন সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. হাসিবুর রশিদ। এ ছাড়াও, গঠিত বাছাই বোর্ডটিও ছিলো ত্রুটিপূর্ণ। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের ৫ম গ্রেডের উপসচিব এবিএম ইফতেখারুল ইসলাম ছিলেন ৪র্থ গ্রেডের কর্মকতাদের পদোন্নতি বোর্ডের বিশেষজ্ঞ সদস্য, আবার সাবেক ট্রেজারার ড. মজিব উদ্দিন আহমেদ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ও ট্রেজারার হিসেবে একইসাথে ২টি স্বাক্ষর করেছেন।
এই বিষয়ে উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. শওকাত আলী বলেন, কয়েকটি বিষয়ে অবগত হয়ে ‘ল’ এডভাইজারের সাথে কথা বলেছি, ‘ল’ এডভাইজার এর লিখিত পরামর্শ অনুযায়ী ব্যাবস্থা করবো।
উল্লেখ্য, অতিরিক্ত পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক পদে উম্মে ফারহানা চৌধুরীকে পদোন্নতি দেওয়া হয়েছে বলে জানানো হলেও, তাঁকে আড়াই মাস পার হবার পরও কোনো নিয়োগপত্র দেননি রেজিস্ট্রার মোহাম্মদ আলমগীর চৌধুরী। এতে তিনি যোগদান করতে পারেননি দায়িত্বে।