ব্রাহ্মণপাড়ায় গলায় ফাঁস দিয়ে যুবকের আত্মহত্যা
ব্রাহ্মণপাড়া (কুমিল্লা) প্রতিনিধি:
কুমিল্লার ব্রাহ্মণপাড়ায় এক ভাড়া বাসায় জানালার গ্রিলের সাথে ওড়না পেচিয়ে গলায় ফাঁস দিয়ে মো. জুয়েল মিয়া (২৭) নামে এক যুবক আত্মহত্যা করেছে। গতকাল মঙ্গলবার ভোরে এ ঘটনা ঘটেছে। পুলিশ নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করেছে।
নিহত জুয়েল ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা উপজেলার (মানিক নগর) কুটি এলাকার মো. মোস্তফা মিয়ার ছেলে। সে বর্তমানে ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার মাধবপুর ইউনিয়নের মিরপুর এলাকায় তাঁর দ্বিতীয় স্ত্রী নিয়ে একটি ভাড়া বাসায় বসবাস করতেন। সে পেশায় একজন পিক-আপ ভ্যান চালক।
নিহতের স্ত্রী তামান্না জানান, গতকাল মঙ্গলবার ভোর সাড়ে ৪ টায় জুয়েল বাসায় ফিরেন। এসময় স্ত্রী তামান্নাকে শুতে বলে সে হাতমুখ ধুয়ার কথা বলে পাশের একটি কক্ষে গিয়ে জানালার গ্রিলের সাথে ওড়না পেচিয়ে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করে। জুয়েলের ফ্রেশ হয়ে শোয়ার কক্ষে আসতে দেরি দেখে স্ত্রী তামান্না তখন এগিয়ে গিয়ে ওই কক্ষের দরজা বন্ধ দেখতে পায়। কিচ্ছুক্ষণ ডাকাডাকি ও মোবাইল ফোনে কল দিয়ে জুয়েলের কোন সাড়াশব্দ না পাওয়ায় তখন সে ডাক চিৎকার করে। এসময় ওই বাড়ির লোকজন এসে দরজা ভেঙে কক্ষে ডুকে দেখতে পায় জুয়েল জানালার গ্রিলের সাথে ওড়না পেচিয়ে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেছে। পরে তারা পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ এসে মরদেহ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়।
বাড়ির মালিক আবুল কাশেম ও তার স্ত্রী মনোয়ারা বেগম জানান, দুই মাস হল জুয়েল ও তামান্না দম্পতি আমাদের ঘরে ভাড়ায় থাকেন। তাদের মধ্যে কখনো কোন কলহ দেখি নাই। আজ ভোর সকালে জুয়েলের স্ত্রী তামান্নার ডাক চিৎকার শুনে আমরা ওই ঘরে গিয়ে দেখি একটি কক্ষের দরজা ভিতর থেকে বন্ধ করা৷ তামান্না জানায় তাঁর স্বামী ওই কক্ষে আছে এবং ভিতর থেকে কোন সাড়াশব্দ নেই। তখন আমরা কক্ষের দরজা ভেঙে ভিতরে ডুকে দেখতে পাই জুয়েল জানালার গ্রিলের সাথে ওড়না পেচিয়ে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করে ঝুলে আছে। তখন আমরা পুলিশ কে খবর দিলে পুলিশ এসে মরদেহ উদ্ধার করে নিয়ে যায়।
ব্রাহ্মণপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এস এম আতিক উল্লাহ বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি শেষে ময়নাতদন্তের জন্য কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন হাতে পেলে মৃত্যুর কারণ জানা যাবে। এ ব্যপারে পরিবারের পক্ষ থেকে অপমৃত্যুর মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।