শরীয়তপুর বিএনসিসি ক্যাডেট মারুফের উপর হামলার বিচার দাবিতে মানববন্ধন
শরীয়তপুর সরকারী কলেজের ছাত্র বিএনসিসির ক্যাডেট মারুফ আলমকে কুপিয়ে মারাক্তক জখম করেছে সন্ত্রাসীরা। ১১সেপ্টেম্বর বুধবার দুপুরে শরীয়তপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের সামনে এঘটনা ঘটে।
এসময় মারুফ আলমসহ ৩/৪জন আহত হয়।
এঘটনায় মারুফ আলমের উপর হামলাকারী সন্ত্রাসীদের দ্রুত গ্রেপ্তার ও শাস্তির দাবিতে ১২ সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার বেলা ১১টার দিকে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে মানববন্ধন আয়োজন করা হয়। এতে অংশগ্রহণ করে শরীয়তপুর সরকারী কলেজের ছাত্র-ছাত্রীরা। মানববন্ধন শেষে জেলা প্রশাসক বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করা হয়।
স্থানীয় ও মামলা সূত্রে জানাযায়, শরীয়তপুর সরকারী কলেজের দুই গ্রুপের মধ্যকার হাতাহতির ঘটনায়, বিএনসিসি ক্যাডেট নিরীহ মারুফ আলমের উপর হামলা করে, পৌরসভা আওয়ামীলীগের প্রচার সম্পাদক ইমান আলী খানের ছেলে ফয়সাল খান, জলিল সরদারের ছেলে মাহিন সরদার,রাজ্জাক খানের ছেলে মারুফ খান, হাবিবুর রহমান খানের ছেলে ইভান খান ও মোতাহার সরদারের ছেলে সিয়াম সরদারসহ আরও অজ্ঞাত ৬/৭ জনে হামলা করে মারাক্তক জখম করে। মারুফ আলম মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে ঢাকা মডিকেলের আই সি ইউতে।
মারুফ আলম চিতলিয়া ইউনিয়নের মজুমদার কান্দির আবুল কাশেম মৃধার ছেলে।
মারুফ আলমের বাবা আবুল কাশেম মৃধা বাদী হয়ে ৫ জনকে আসামী করে ১১ সেপ্টেম্বর পালং মডেল থানায় মামলা দায়ের করেন।
মানববন্ধনে শরীয়তপুর সরকারী কলেজের শত শত শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহণ করেন। মানববন্ধনে শিক্ষার্থীরা তাদের বক্তব্যে দাবি করেন বলেন, বিএনসিসি ক্যাডেট মারুফ আলমের উপর হামলাকারী সন্ত্রাসীদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে শাস্তির আওতায় আনার দাবি করছি, অন্যাথায় আরও কঠোর কর্মসূচির হুশিয়ারি দেন তারা।
এবিষয়ে পালং মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মেজবাহ উদ্দিন আহমেদ বলেন, এঘটনায় ৫জনকে আসামী করে একটি মামলা দায়ের করেছে আহত মারুফের বাবা আবুল কাশেম মৃধা, আমরা আসামীদের দ্রুত গ্রেপ্তারের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।
শরীয়তপুর প্রতিনিধি। ১২-০৯-২৪