চিকিৎসকদের ওপর আক্রমন উদ্বেগজনক: বিএনপির স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডা. রফিকুল ইসলাম
চিকিৎসক এবং চিকিৎসার সাথে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের উপর রুটিন করে আক্রমণের যে ঘটনা ঘটছে তা উদ্বেগজনক। আজ কক্সবাজার মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সিসিউতে ভর্তি মুমূর্ষু এক রোগীর মৃত্যুকে কেন্দ্র করে উক্ত হাসপাতালে ভাংচুর করা হয় এবং কর্তব্যরত চিকিৎসক সজীব কাজীকে শারিরীকভাবে লাঞ্চিত করা হয়। একপর্যায়ে উক্ত চিকিৎসক জ্ঞান হারিয়ে মাটিতে লুটে পড়েন যার ছবি ও ভিডিও আমাদের সকলের বিবেককেই নাড়া দিয়েছে। চিকিৎসকরা রোগীদের সবচেয়ে বড় আশ্রয়স্থল, কিন্তু সেই আশ্রয়কে বারবার রোগী ও তার স্বজনদের মুখোমুখি দাঁড় করিয়ে একটা অস্থিতিশীল পরিবেশ তৈরির প্রচেষ্টায় লিপ্ত আছে একটি কুচক্রী মহল।
অতি সম্প্রতি আমরা দেখেছি ধারাবাহিকভাবে ঢাকা মেডিকেল, মুগদা মেডিকেল ও শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে একই ধরনের ঘটনা ঘটেছে, চিকিৎসক ও হাসপাতালের অন্যান্য কর্মচারী কর্মকর্তাদের নিরাপত্তা বিধানের দাবি করার পরও এমন ঘটনা আসলে ডাক্তারদের নিরাপত্তা শঙ্কার আশংকাকে আরও তীব্র করে।
চিকিৎসা একটি মৌলিক অধিকার। সেই অধিকার বাস্তবায়নের অন্যতম পূর্বশর্ত হলো হাসপাতালে চিকিৎসকদের নিরাপত্তা বিধান, যা অতীতে ফ্যাসিস্ট সরকারের আমল থেকেই একটা গুরুত্বপূর্ণ দাবী ছিলো কিন্তু সেই দাবী পূরনে কোনো দৃশ্যমান অগ্রগতি নেই, যা চিকিৎসকদের মাঝে চরম হতাশার কারন হয়ে দাঁড়িয়েছে।
এভাবে ধারাবাহিক আক্রমণের পিছনে স্বৈরাচার ফ্যাসিস্টদের দোষর জড়িত আছে কিনা তা খতিয়ে দেখা এখন সময়ের দাবি। ভুলে গেলে চলবে না যে ফ্যাসিস্ট প্রেতাত্মা স্বাস্থ্যবিভাগসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় ওঁত পেতে আছে।
সুতারাং চলমান এইসব হিংসাত্মক আক্রমণ বন্ধ করা আমাদের দায়িত্ব। চিকিৎসকদের নিরাপত্তা বিধান আজ সময়ের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দাবীগুলোর একটা।
তাই অবিলম্বে চিকিৎসকদের উপর এসকল আক্রমণের বিচার করতে হবে, এর পিছনে লুকিয়ে থাকা কোনো ষড়যন্ত্র অথবা দুরভিসন্ধি খতিয়ে দেখতে হবে, না হলে চিকিৎসা ব্যবস্থা ভেঙ্গে পড়লে তা কারও জন্যই মঙ্গল হবে না।
আমি চিকিৎসকদের উপর সকল ধরনের হামলার তীব্র নিন্দা জানাই এবং অবিলম্বে চিকিৎসকদের উপর সকল হামলার সাথে জড়িত ব্যাক্তিদের চিহ্নিত করে দ্রুত বিচারের আওতায় আনার দাবি জানাচ্ছি।