পার্বত্য অঞ্চলে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ”
খাগড়াছড়িতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার ০৯/০৯/২০২৪ সন্ধ্যায় খাগড়াছড়ি টাউন হল মিলনায়তনে এ সভার আয়োজন করা হয়।
গণঅভ্যুত্থানের প্রেরণায় শহীদ পরিবারের সাথে সাক্ষাৎ এবং দূর্নীতি, চাঁদাবাজি ও সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে ছাত্র-নাগরিকদের নিয়ে আয়োজিত সমাবেশে নিহতের স্মরণে শ্রদ্ধা জানিয়ে ১ মিনিট নিরবতা পালন করা হয়। বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ঢাকা কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ,চট্টগ্রাম সহ- সমন্বয়ক খান তালাব মোহাম্মদ রাফিসহ একটি বড় টিম এতে অংশ নেন।
বিগত ১৬ বছরে বাংলাদেশের ১১ লক্ষ কোটি টাকা বিদেশে পাঁচার করা হয়েছে উল্লেখ করে এতে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ঢাকা কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেন, আমরা এই মুনিবকে গণঅভ্যুত্থানে উৎখাত করে সিমান্তপার করে দিয়েছি। কিন্তু মুনিবের যারা দুষর ছিলো,মুনিবের যারা দাস ছিলো তারা আশেপাশেই ঘুরাফেরা করছে।
তাদের বিরুদ্ধে আমাদের সচেতন থাকতে হবে মন্তব্য কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ আরো বলেন, আজকের কর্মসূচীতে সে মুনিবের দুষরদের দেখছি। তাই সে সংগ্রাম আর যে লড়াইটা বাংলাদেশ পূর্ণ নির্মাণ ও পূর্ণগঠন না হওয়া পযন্ত অব্যাহত রাখতে হবে বলে তিনি মন্তব্য করেন।
আমাদের মধ্যে স্থিতিশীলতা আসে, শাসক সব সময় স্থিতিশীলতাকে ভয় পায়। কারণ শাসক জানে, শাসক মনে করে,শাসক মনে করে স্থিতিশীলতা প্রতিষ্ঠিত হয়। জনগণ দেখিয়ে দিয়েছে আমাদের মধ্যে কোন বিবেধ নেই বলে মন্তব্য করেন তিনি দীর্ঘ সময় ধরে জনগণের পাশে থেকে সহায়তাসহ এগিয়ে যাওয়ার পথে নির্দেশনামুলক বক্তব্য রাখেন।
এর আগে প্রধান অতিথির বক্তব্যের শুরুতে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র-আন্দোলন এর আভ্যন্তরীণ কোন্দলের জেরে ধস্তাধস্তি,হাতাহাতি,মারামারির এক পর্যায়ে হাসনাত আব্দুল মঞ্চ ত্যাগ করেন। পরে সেনাবাহিনী এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার পর পূণরায় মতবিনিময় সভা শুরু হয়। এতে ছাত্র-নাগরিকদের পাশাপাশি বিভিন্ন প্রশাসনিক কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।