বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে হামলার অভিযোগ ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান অপি’র বিরুদ্ধে মামলা
কুমিল্লার আলেখারচর ও ক্যান্টনমেন্ট এলাকায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে হামলা ও গুলিতে আহতের ঘটনায় ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আবু তৈয়ব অপি সহ ১৩৩ জনের নামে মামলা হয়েছে। এ মামলায় সাবেক রেলমন্ত্রী মুজিবুল হক, তাঁর স্ত্রী হনুফা আক্তার, কুমিল্লা সদর আসনের সাবেক সংসদ সদস্য আ ক ম বাহাউদ্দিন বাহার, তাঁর মেয়ে ও কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র তাহ্সীন বাহার সূচনাকেও আসামি করা হয়। এ ছাড়া এ মামলায় অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে আরও ৩০০ জনকে।
গত বৃহস্পতিবার রাতে কুমিল্লা কোতোয়ালি মডেল থানায় মামলাটি করেন আলেখারচর এলাকার বাসিন্দা কাজী মো. সোহেল। তিনি ওই হামলায় আহত হয়েছিলেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কুমিল্লা কোতোয়ালি মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) শিবেন বিশ্বাস। তিনি জানান, তদন্ত করে আসামিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
মামলায় ১৩৩ জন এজাহার নামীয় আসামিদের মধ্যে ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আবু তৈয়ব অপিকে ২৯ নাম্বার আসামি হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করা হয়।
এ ছাড়া অন্য আসামিদের মধ্যে রয়েছেন মহানগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক আতিক উল্লাহ খোকন, বুড়িচং উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান সাজ্জাদ হোসেন, সদর উপজেলার সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান আহমেদ নিয়াজ, সিটি করপোরেশনের কাউন্সিলর মহানগর যুবলীগের জ্যেষ্ঠ যুগ্ম আহ্বায়ক হাবিবুর আল আমিন সাদী প্রমুখ।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, মুজিবুল হক ও বাহাউদ্দিন বাহারের নির্দেশে ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আবু তৈয়ব অপি সহ তিন শতাধিক আসামি আগ্নেয়াস্ত্র, বিস্ফোরক দ্রব্য, দা, ছেনি নিয়ে বাদী ও অন্য আন্দোলনকারীদের ওপর তাহ্সীন বাহারের নেতৃত্বে হামলা চালায়। হামলাকারীরা ককটেল ও গুলি ছুড়ে ছাত্র-জনতাকে ক্যান্টনমেন্ট পর্যন্ত তাড়া করে নিয়ে যান। তখন হামলাকারীরা পিস্তল ও শটগান নিয়ে নিরস্ত্র শিক্ষার্থীদের ওপর গুলি করেন। এ সময় তাঁর (বাদী) মাথায় গুলি লাগলে তিনি রাস্তায় লুটিয়ে পড়েন। তখন অন্যান্য আসামিরা তাঁর (মো. সোহেল) বুকে ও মাথায় আঘাত করেন।