সুনামগঞ্জে সাবেক পরিকল্পনামন্ত্রীসহ ৯৯ জনকে আসামী করে মামলা দায়ের
গত ৪ই আগস্ট বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে সুনামগঞ্জ জেলা আ’লীগের নির্দেশে ছাত্র জনতার উপর বর্বর হামলার ঘটনায় সুষ্ঠু বিচার ও অপরাধীদের আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবীতে দ্রæত বিচার আইনে সুনামগঞ্জ আদালতে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
সোমবার দুপুরে ছাত্র আন্দোলনে জখমীর বড় ভাই দোয়ারাবাজর উপজেলার লক্ষীপুর ইউনিয়নের এরোয়াখাই গ্রামের নাজির আহমেদের ছেলে হাফিজ আহমদ বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন। মামলায় সাবেক পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান, সাবেক সংসদ সদস্য মহিবুর রহমান মানিক, এড. রনজিৎ সরকার, সাবেক সংসদ সদস্য মোয়াজ্জেম হোসেন রতন, জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি নুরুল হুদা মুকুট, সাধারন সম্পাদক নোমান বখত পলিন, সাবেক পৌর মেয়র নাদের বখত, সাবেক উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান খায়রুল হুদা চপল, ঘটনাকালীন দ্বায়িত্বরত অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রাজন কুমার দাস ও সদর থানার তৎকালীন ওসি খালেদ চৌধুরীসহ ৯৯ জনকে আসামী করা হয়েছে। মামলা সূত্রে জানা যায়, গত ৪ই আগস্ট সুনামগঞ্জ শহরের পুরাতন বাসস্টেন্ড এলাকায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে জেলা আ’লীগ ও অঙ্গসংগঠনের সন্ত্রাসীরা ছাত্রদের উপর গুলি করে, রামদা দিয়ে কুঁপিয়ে, রড হাতুড়ি দিয়ে পিঠিয়ে লাশ গুম করার হুকুম দেয়া হয়। হুকুম পেয়ে আ’লীগের সন্ত্রাসীবাহিনী ছাত্রদের উপর বর্বরোচিত হামলা চালায়। রামদা, রড, হকিস্টিক, পেট্রোল-বোমা, ককটেল ফাটিয়ে এলাকায় একটি ভীতিকর পরিস্থিতিরি সৃষ্টি করা হয়। এমনকি এ সময় অবৈধ পিস্তল দিয়েও হামলা চালায় নিরীহ ছাত্রদের উপর। এতে করে অসংখ্য ছাত্র ও জনতা মারাত্মকভাবে জখমপ্রাপ্ত হন। আওয়ামী সন্ত্রাসীদের এ হামলার হাত থেকে বাঁচতে লুকিয়ে গিয়ে পুলিশের কাছে আশ্রয় প্রার্থনা করেও রক্ষা পাননি শিক্ষার্থীরা। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রাজন কুমার দাস ও ওসি খালেদা চৌধুরী নিজ হাতে শর্টগান দিয়ে গুলি করে পা ঝাঝড়া করে দেন। প্রানে বাঁচার জন্য অপর আহত রিপন একটি বাসায় সিএনজির পেছনে লুকিয়ে পড়লেও ওসি খালেদ চৌধুরী তাকে লক্ষ্য করে তার পায়ে গুলি করে পা ভেঙ্গে দেন। তাদের চিৎকার শুনে কিছু গণমাধ্যমকর্মীরা এগিয়ে এসে তাকে একটি রিক্সায় করে হাসপাতালে পাঠান। সেখানেও আওয়ামী সন্ত্রাসীরা চিকিৎসা নিতে বাঁধা দেয়। পরবর্তীতে তাকে চিকিৎসার জন্য সিলেট পাঠানো হয়।
এভাবে গত ৪ই আগস্ট আওয়ামী সন্ত্রাসী ও পুলিশের কিছু অসাধু কর্মী শিক্ষার্থী ও সাধারন জনগনের উপর নির্মম অত্যাচারে মেতে উঠে। এ সময় অসংখ্য শিক্ষার্থী, সাংবাদিকসহ পথচারী সাধারন জনতাও মারাত্মকভাবে জখম প্রাপ্ত হন। এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচার ও দোষীদের আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবীতে মামলা দায়ের করা হয়েছে বলে জানান বাদী হাফিজ আহমদ ।
এ ব্যাপারে বাদীর আইনজীবী মোশাহিদ আলম জানান, আদালতের বিচারক নির্জন মিত্র মামলাটি গ্রহণ করে সুনামগঞ্জ সদর থানাকে এফ আই আর এর জন্য নির্দেশ দিয়েছেন।
বিএনপির নাম ভাংগিয়ে চাঁদা দাবী করায় দুই ছাত্রদল নেতাসহ ৩জনকে পুলিশে দিলেন সুনামগঞ্জ জেলা বিএনপির সাধারন সম্পাদক এড.নুরুল ইসলাম
সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি
সুনামগঞ্জে জেলা ও দায়রা জজ আদালতের নাজিরের কাছে বিএনপির নাম ভাংগিয়ে চাঁদা দাবী করায় দুই ছাত্রদলের নেতা ও এক আইনজীবী সহকারীকে আটক করেছে পুলিশের হাতে তুলে দিলেন জেলা বিএনপির সাধারন সম্পাদক এড.নুরুল ইসলাম নুরুল ও সহ সভাপতি এড.শেরেনুর আলী।
সোমবার দুপুরে জলা ও দায়রা জজ আদালতের নাজিরের কাছে বিএনপির নাম ভাংগিয়ে চাঁদা দাবী করার সময় আটককৃতরা হলেন জেলা ছাত্রদল নেতা সাইফুল ইসলাম রাহি, মুস্তাক আহমেদ, এক আইনজীবীর সহকারী কবির হোসেন।
আদালত সূত্রে জানা যায়, জজ আদালতে নাজির মোহাম্মদ গোলাম কিবরিয়ার কাছে আটককৃতরা ২ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন। পরে বিষয়টি জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলাম নুরুল কে জানানো হলে তিনি তিন চাঁদাবাজের বিরোদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেয়ার অনুরোধ করেন পুলিশকে। পরে সদর থানা পুলিশ তিন চাঁদাবাজকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে। আটককৃত দুইজন ছাত্রদল নেতারা হলেন সুনামগঞ্জ জেলা যুবদলের সভাপতি আবুল মনসুর মোহাম্মদ শওকতের ঘনিষ্টজন বলে নাম প্রকাশ না করার শর্তে অনেক বিএনপি ও ছাত্রদলের নেতারা জানান।
এ ব্যাপারে সুনামগঞ্জ জেলা বিএনপির সাধারন সম্পাদক এড. নুরুল ইসলাম নুরুল বলেন, এই জেলায় বিএনপির নাম কেউ ভাঙ্গিয়ে যে কেহ চাদাবাজি করলে তাদেরকে সঙ্গে সঙ্গে পুলিশে সপোর্দ করতে দলীয় নেতাকর্মীদের নির্দেশ প্রদান করেছেন বলে জানান।
এ ব্যাপারে সুনামগঞ্জ সদর মডেল থানার ওসি আব্দুল আহাদ বলেন তিনজনকে আটকের সত্যতা নিশ্চিত কওে বলেন,তারা জেলা জজের নাজিরের কাছে দুই লাখ টাকা চাদাঁ দাবী করেছিল। পরে বিষয়টি জানতে পেরে সুনামগঞ্জ জেলা বিএনপির সাধারণ