কুমিল্লার দ্বেবীদার ও ব্রাম্মনপাড়ার উপজেলার হাজার হাজার মানুষ এখনো পানিবন্ধী।
কুমিল্লার বেশ কিছু অঞ্চলে বন্যার পানি নামছে ধীর গতিতে। বন্যার পানিতে আটকে আছে ঐ সমস্ত এলাকায় মানুষের স্বাভাবিক জীবন যাত্রা বাড়ছে পানি বাহিত রোগের প্রকোপ। দৈনিক খেটে খাওয়া মানুষ গুলো হয়ে গেছে বেকার। জেলা – উপজেলা সদর থেকে অনেক দুরের এসব বন্যা কবলিত মানুষের কাছে রয়েছে পর্যাপ্ত ত্রানসামগ্রীর অভাব। প্রয়োজনীয় নৌকা/ বোটের অভাবে ত্রান সামগ্রী ঐসব দূর্গম এলাকায় এখনো যাচ্ছে না।অনেক ত্রানদাতারা তাদের সুবিধা মত কাছাকাছি শুকনো স্হানে ত্রান বিতরণ করে চলে যায়। ফলে দুর্গম এলাকার এসব পানি বন্দি মানুষের কাছে পর্যাপ্ত ত্রান সামগ্রী যাচ্ছে না।
এক নাগাড়ে ১০/১২ দিন পানিতে তলিয়ে থাকায় কাচা ঘরবাড়ি ভেঙে ও ডেবে যাচ্ছে যা ভবিষ্যতে ব্যবহার করার অনুপযোগী হতে পারে।
সরেজমিনে ২৯/৮/২০২৪ ইং কুমিল্লার দ্বেবীদার ও ব্রাম্মনপাড়ার গোমতী নদী তীরবর্তী বন্যাকবলিত দুর্গম এলাকা ঘুরে দেখা গেছে শত শত পরিবার এখনো কোমরসমান উচ্চতায় পানি বন্দি। ধীরগতিতে পানি নামার কারণে পানিতে শ্যাওলা ধরে গেছে যা বিভিন্ন পানি বাহিত রোগের কারণ হয়ে দাড়াতে পারে।
তাছাড়া স্হানীয় বিভিন্ন স্কুল,মাদ্রাসার অস্থায়ী আশ্রয় কেন্দ্রগুলো এখনও বন্যা দূর্গত মানুষে ভরা।এসব আশ্রয় কেন্দ্রে থাকার জায়গাও জনসংখ্যার তুলনায় কম এবং রয়েছে পর্যাপ্ত টয়লেটের অভাব।
টিউবওয়েল গুলো পানিতে ডুবে যাওয়ার ফলে রয়েছে সুপেয় পানির অভাব।