মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ে শিক্ষাব্যবস্থায় যে কাজগুলি সর্বাগ্রে গুরুত্বের সাথে বিবেচনা করা প্রয়োজন
১.ষষ্ঠ থেকে নবম শ্রেণী পর্যন্ত কোর্স কারিকুলামে পরিবর্তন আনয়ন অর্থাৎ পূর্বের কারিকুলামে ফিরে যাওয়া এবং প্রয়োজনে কারিকুলাম সংশোধন/পরিমার্জন করা।২.যেহেতু মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ে ৯৮% বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সেহেতু উক্ত প্রতিষ্ঠান সমূহের শিক্ষক- কর্মচারীদের বেতন ভাতার সরকারি অংশের বিষয়ে গুরুত্বের সাথে পর্যালোচনা পূর্বক সময়পোযোগী করার ব্যবস্থা গ্রহণ সম্ভব হলে জাতীয়করণ করা।
৩.মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ে শিক্ষার্থীদের জন্য অবৈতনিক শিক্ষাব্যবস্থা প্রবর্তন করা, এই ক্ষেত্রে উপবৃত্তিপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীর সংখ্যা বাড়িয়ে দেওয়া কিংবা পুরোপুরি বন্ধ করে সকল শিক্ষার্থীর জন্য অবৈতনিক করা। ৪.জেলা পর্যায়ে জেলা শিক্ষা অফিসে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসের সহকারী প্রাথমিক জেলা শিক্ষা অফিসারের মতো সহকারী জেলা শিক্ষা অফিসারের পদ সংখ্যা একটি বৃদ্ধি করে দুইটি করা যেতে পারে। উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসে সকল উপজেলায় সহকারী উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসারের পদটি পূরণ (যে সমস্ত উপজেলায় শূন্য আছে) করার ব্যবস্থা করা। সম্ভব হলে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার পদটি ক্যাডার ভুক্ত করা।৫.যুগোপযোগী পরিদর্শন ফরম প্রচলন করে পরিদর্শন / মনিটরিং জোরদার করা। বছরে কমপক্ষে একবার সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান আর্থিক অর্থাৎ হিসাব ও নিরীক্ষার লক্ষে এই সংক্রান্ত পরিদর্শন কার্যক্রম পরিচালনা করার ব্যবস্থা করা।৬. সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে মাল্টিমিডিয়া ক্লাসরুম নিশ্চিত করার লক্ষ্যে স্থাপিত ল্যাব এবং মাল্টিমিডিয়া মেরামত -সংস্কার করা প্রয়োজন। ৭. জাতীয় শিক্ষা সপ্তাহ, সৃজনশীল মেধা অন্বেষণ প্রতিযোগিতা এবং স্কুল,মাদ্রাসা, কারিগরি এবং কলেজ পর্যায়ের ক্রিড়া প্রতিযোগিতা বছরে একবার আয়োজন করার (উপজেলা, জেলা, বিভাগ এবং জাতীয় পর্যায়) ব্যবস্থা গ্রহণ।৮.মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ের প্রতিষ্ঠান প্রধান, সহকারী প্রতিষ্ঠান প্রধান এবং তৃতীয় – চতুর্থ শ্রেণীর কর্মচারী নিয়োগ প্রক্রিয়া এনটিআরসিএ এর মাধ্যমে সম্পন্ন করার ব্যবস্থা গ্রহণ এবং সরকারি কর্মকর্তা কর্মচারীগণের মতো বেতন ভাতা ই এফ টি এর মাধ্যমে প্রাপ্তির বিষয়টি নিশ্চিত করার ব্যবস্থা গ্রহণ।
৯.মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ের বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের গভর্নিং বডি/ ম্যানেজিং কমিটি বিলুপ্ত করে সমস্ত কার্যক্রম প্রাথমিক শিক্ষা প্রশাসনের মতো মাধ্যমিক শিক্ষা প্রশাসনের কাছে ন্যস্ত করা।
১০.উপজেলা, জেলা এবং আঞ্চলিক পর্যায়ে কর্মরত শিক্ষক, কর্মকর্তা এবং কর্মচারীদের পদোন্নতি, সিলেকশন /উচ্চতর গ্রেড এবং টাইম স্কেল সময় মত প্রাপ্তির বিষয়টি নিশ্চিত করা।
চলবে….।(শিক্ষাবিদ মোঃ আশরাফুল ইসলাম অপু)