তামাবিল স্থলবন্দরে চাঁদাবাজ ও সিন্ডিকেট কমিটির অপসারণের দাবিতে বৈষম্য বিরোধী শিক্ষার্থীদের মানববন্ধন
গোয়াইনঘাট সিলেট থেকেঃ
সিলেটের তামাবিল স্থল বন্দরে আওয়ামী সন্ত্রাস ও তার মদদপুষ্ট, চাঁদাবাজ, টেন্ডারবাজ ও দখলদারদের দ্রুত গ্রেপ্তার ও আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের দাবিতে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ব্যানারে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
২৪ আগষ্ট শনিবার বিকেলে তামাবিল স্থল বন্দরের মূল ফটকের সামনে শিক্ষার্থীরা দীর্ঘ সারীতে মানব বন্ধন করে।
এসময় আওয়ামী সরকারের আমলে আওয়ামী মদদপুষ্ট তামাবিলের সবচেয়ে বড় সিন্ডিকেট এম লিয়াকত আলী, জালাল উদ্দিন, ছরোয়ার হোসেন ছেদু, ওমর ফারুক ও রাসেলসহ চিহ্নিত চাঁদাবাজ, টেন্ডারবাজ ও দখলদারদের দ্রুত গ্রেফতার ও আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়ে বক্তারা বলেন, বিগত ১৫ বছর স্বৈরাচার আওয়ামী সরকার ভারতের সাথে নতজানু রাষ্ট্রনীতি কায়েম করে, যার ফলে বৃহত্তর জৈন্তাসহ সিলেট অঞ্চলের ব্যবসায়ীরা নানাবিদ বঞ্চনা ও নিপীড়নের শিকার হয়েছে। সেই সময় আওয়ামী লীগের নামধারী কতিপয় নেতাকর্মীরা বন্দরের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সমন্নয়ে ব্যাপক অনিয়মের মাধ্যমে সাধারণ ব্যবসায়ীদের জিম্মি করে হাজার কোটি টাকা লুটপাট করেছে।
আমরা বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ব্যানারে দীর্ঘ সংগ্রাম ও আমাদের অসংখ্য শিক্ষার্থী ভাইয়ের রক্তের বিনিময়ে যখন স্বৈরাচার হাসিনা দেশ থেকে পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়েছে, তারই ফলপ্রসু হিসেবে বাংলাদেশের প্রতিটি সেক্টর আজ সংস্কার হচ্ছে।
তবে আমরা মনে করি এখনো বাংলাদেশের অন্যতম বৃহত্তর স্থলবন্দর তামাবিল এখনো দুর্নীতিবাজ ও চাঁদাবাজ মুক্ত হয়নি। আজকের পর থেকে তামাবিল স্থল বন্দরে আর কোন দুর্নীতি ও চাঁদাবাজি হতে দেওয়া হবে না।
বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সভাপতি আব্দুর রহমানের সভাপতিত্বে ও আব্দুল্লাহ আল মাসুমের উপস্থাপনায় বক্তব্য রাখেন এমসি কলেজের শিক্ষার্থী আবু তায়্যিব ফয়জুল্লাহ সাকিল, নূর মোহাম্মদ, ফয়সল আহমদ, সিলেট সরকারী কলেজের শিক্ষার্থী রাজি রায়হান, সাকিব হোসেন, লোকমান আহমদ, মৌলভিবাজার সরকারী কলেজের শিক্ষার্থী খায়রুল ইসলাম প্রমুখ।