মাদারীপুরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে অংশ নেয়ায় আ”লীগ নেতার দফায় দফায় হামলায় থানায় মামলা
মাদারীপুর প্রতিনিধি:
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে অংশ নেয়ায় কয়েক দফা হামলার শিকার হয়েছে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে অংশ নেওয়া কয়েকটি পরিবার। মাদারীপুর সদর উপজেলার কেন্দুয়া ইউনিয়নের ঘটকচর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে এরপর আওয়ামী লীগ নেতা জয়নাল মাতুব্বরকে আসামী করে মামলা দিয়েছে ভূক্তভোগি পরিবার। দুই দিন আগে মামলা হলেও এখনো ধরা ছোঁয়ার বাহিরে আসামীরা। শুক্রবার সকালে গণমধ্যমের কাছে এমনই অভিযোগ করেছে ভূক্তভোগি শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও কোটাবিরোধী আন্দোলনের সক্রিয় সদস্য মোঃ আহাদ রহমান।
ভূক্তভোগি পরিবার ও মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, কেন্দুয়া ইউনিয়নের সাবেক মেম্বার আমিনুল রহমান দুলালের ছেলে মোঃ আহাদ রহমান,শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের গণিত বিভাগের শিক্ষার্থী। তিনি ওই বিশ্ববিদ্যালয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে সক্রিয় সদস্য হিসেবে আন্দোলন করেছে। যা তিনি নিয়মিত তার ফেইসবুক পেইজে আপলোড করেছে। এরই জেরে কেন্দুয়া ইউনিয়ন আ”লীগের সভাপতি জয়নাল মাতুব্বরসহ তার লোকজন ক্ষিপ্ত হয়ে গত (৬ আগস্ট) মঙ্গলবার রাতে দুলাল মেম্বারকে একা পেয়ে এলোপাতালি ভাবে কুপিয়ে মারাত্মক জখম করে। এতে দুলাল মাতুব্বরের মাথা, দুই হাত ও পায়ে একাধিক স্থানে মারাত্মক জখম হয়।
এরপরে গত (২০ আগস্ট) মঙ্গলবার দুপুরে আওয়ামীলীগ নেতা জয়নাল মাতুব্বরের চাচাতো ভাই তোতা মাতুব্বর একটি মামলায় হেরে আহাদ রহমানের চাচাতো ভাই ইসমাইল মাতুব্বর ও ঝন্টু মাতুব্বরকে কুপিয়ে জখম করে।
এঘটনায় ইসমাইল মাতুব্বর বাদী হয়ে জয়নাল মাতুব্বর, তার ভাই কবির মাতুব্বর, ছেলে ছাত্রলীগ নেতা ফয়সাল মাতুব্বরসহ বেশ কয়েকজনকে আসামী করে হত্যাচেষ্টা মামলা দায়ের করে সদর থানায়। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ।
এব্যাপারে আহাদ রহমানের পিতা আনিমুল রহমান দুলাল বলেন, ‘জয়নাল মাতুব্বর তার গ্রপ নিয়ে যারা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন করেছে, তাদের বেঁছে বেঁছে হামলা করছে। যে কারণে আমার ছেলে বাড়ীতে পর্যন্ত আসছে না। জয়নালকে দমানো সম্ভব হচ্ছে না। তিনি ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করে আসছে। আশা রাখি আসামীদের দ্রুত গ্রেফতার করা হবে।
মামলা দায়ের পরে এলাকা থেকে গা-ঢাকা দিয়েছে জয়নাল মাতুব্বর ও অন্য আসামীরা। তাদের বাড়ীতে গিয়েও কারো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
এব্যাপারে সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এএইচএম সালাউদ্দিন বলেন, ‘মামলা আমলে নেয়া হয়েছে আশা রাখি দ্রুতই আসামীদের গ্রেফতার করা হবে। কোন অপরাধীকে ছাড় দেয়ার সুযোগ নেই। অল্প দিনেই গ্রেফতার করা হবে।’