বিপ্লব-প্রতিবিপ্লব প্রতিহত ও এক জাতি গঠন করতে অভিন্ন শিক্ষা ব্যবস্থার জরুরি 

এস এইচ বি আর আলিম মাদ্রাসা এবং ২৬ নং ডিবি রঘুনাথপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় নড়াইল জেলার লোহাগড়া উপজেলায় একই আঙ্গিনায় দুটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। প্রাথমিক বিদ্যালয়টিতে নিয়মতান্ত্রিক ভাবে শিশু শ্রেণী থেকে পঞ্চম শ্রেণী আর মাদ্রাসাটিতে প্রথম শ্রেণী থেকে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত পাঠদান করা হয় তবে এধরনের আরো অসংখ্য মাদ্রাসা এদেশে রয়েছে যেখানে স্নাতক, স্নাতকোত্তর শ্রেনী পর্যন্ত পাঠদান করা হয়।
প্রতিষ্ঠান দুটিতে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন অনুষ্ঠান হয়, খেলাধুলা হয়, টিফিনের সময়ও প্রায় একই সাথে হয় কিন্তু প্রতিষ্ঠান দুটির শিক্ষার্থীদের একসাথে খেলাধুলা, টিফিন বা কোন অনুষ্ঠানে অংশ গ্রহণ করতে দেখা যায় না। এমনকি শিক্ষক শিক্ষয়ত্রীদেরকেও একই সাথে কোন অনুষ্ঠানে অংশ গ্রহণ করতে দেখা যায় না। মনে হয় প্রতিষ্ঠান দুটির মধ্যে সাপে-নেউলে সম্পর্ক। অথচ দুটি প্রতিষ্ঠানই গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের অর্থায়নে চলে। একই পরিবারের সদস্যরাও এধরনের প্রতিষ্ঠানের সাথে সম্পৃক্ত থাকে যেটির দৃষ্টান্ত এই প্রতিষ্ঠান দুটিতেও রয়েছে। প্রতিষ্ঠান দুটির শিক্ষার্থীদের পাঠ্যক্রমের সাথে ইউনিফর্মের মধ্যেও রয়েছে বিস্তর পার্থক্য।
প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ইউনিফর্ম ছেলেদের হাফ শার্ট, হাফ প্যান্ট আর মেয়েদের হাফ প্যান্ট এবং ফুরাক। অন্যদিকে মাদ্রাসার শিক্ষার্থীদের প্রথম শ্রেণী থেকেই ইউনিফর্ম ছেলেদের পাঞ্জাবি, পায়জামা আর টুপি। আর মেয়েদের প্রথম শ্রেণী থেকেই বুরকা, হিজাব ইসলামী শরীয়তের ফরজ পর্দা মেনে চলতে হয়। এটি দেশের ভিন্ন ভিন্ন শিক্ষা ব্যবস্থার কারণে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে শিক্ষার্থী, শিক্ষক-শিক্ষয়ত্রী এবং জনগণের মধ্যে বিভেদের দেওয়াল তৈরি হওয়ার একটি সাধারণ চিত্র।
উসাম এবং মারিয়া দুই ভাই বোন। উসাম এর বয়স ১০/১২ বছর সে হিফজ মাদ্রাসায় পড়ে, ইসলামী বিধি বিধান মেনে চলার পাশাপাশি আরবীয় আলখিল্লা পোশাক পরিধান করে। উসামের বোন মারিয়া কলেজে পড়ে। সে পশ্চিমাদের ন্যায় জিন্স প্যান্ট, টিশার্ট পরতে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করে। একই পরিবারের দুই ভাই বোন হলেও তাদের মধ্যে পাঠ্যক্রম, পোশাক পরিচ্ছদ থেকে আদর্শগত পার্থক্য পর্যবেক্ষণ করলে মনে হয় দুই মেরুর দুই বাসিন্দা। এটি দেশের বিরাজমান শিক্ষা ব্যবস্থার কারণে পরিবার থেকে বিভেদের দেওয়াল তৈরি হয় যেভাবে তার একটি উদাহরণ মাত্র।
নড়াইল সরকারি ভিক্টোরিয়া কলেজে উচ্চ মাধ্যমিক শ্রেণী, স্নাতক এবং স্নাতকোত্তর শ্রেণীর পাঠদান করা হয় একজন অধ্যক্ষের অধীনে কিন্তু কলেজটি পরিচালিত হয় মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড, যশোর এবং জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বারা। কখনো কখনো জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় কতৃপক্ষের বিভিন্ন কলেজের অধ্যক্ষদের সমন্বয়ে জরুরি মিটিং করার প্রয়োজন হতে পারে আবার একই সময়ে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের প্রয়োজন হতে পারে জরুরি মিটিং করার তখন উপরিউক্ত ধরনের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষদের উভয় মিটিং এ অংশগ্রহন করা অসম্ভব আবার মিটিং এ অনুপস্থিত থাকার ক্ষতি শিক্ষা ব্যবস্থার জন্য অনিবার্য হয়ে যায়।এটি দেশের শিক্ষা অব্যবস্থাপনার একটি ধারণা মাত্র।
এছাড়াও আমাদের দেশে আরেক ধরনের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান লক্ষনীয় সেটির নাম হলো বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ। বিশ্ববিদ্যালয় এবং কলেজ দুটি স্বতন্ত্র প্রতিষ্ঠান অথচ একই প্রতিষ্ঠানে দুটি নাম জুড়ে দেওয়া হয়েছে এমন অহরহ প্রতিষ্ঠান রয়েছে। এটি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের অসচেতনতারই ফল।
পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে রাজনৈতিক মতপার্থক্য আছে, ভিন্ন ভিন্ন রাজনৈতিক দল থাকতে পারে এটি স্বাভাবিক তবে জাতীয় কোন বিষয়ে ভিন্নমতের উপস্থিতি লক্ষ্য করা যায় না যেটি বাংলাদেশে অহরহ। তবে এগুলো এদেশের নানান ধরনের বিভেদের শিক্ষা ব্যবস্থার ফলে হচ্ছে তা আর বলার অবকাশ রাখে না।
১৯৪৭ সাল থেকে ১৯৫২ সাল পর্যন্ত পাকিস্তানের মধ্যে তেমন কোন বিভেদ পরিলক্ষিত না হলেও ১৯৫২ সালে ভাষা আন্দোলনে বা ভাষা নিয়ে ভুল বোঝাবুঝির পর থেকে মতভেদ পরিলক্ষিত হতে থাকে (তথ্য সূত্রঃ এই বাংলা ভাষার জন্য কি যুদ্ধ হয়েছিল? ইতল বিতল; ফেব্রুয়ারি ২০, ২০২৪)। এই ভুল বোঝাবুঝির পর এদেশে একটি কংক্রিটের স্থাপনা নির্মাণ করা হয় যেটির নাম দেওয়া হয় শহীদ মিনার। প্রতি বছর ২১ শে ফেব্রুয়ারি/৮ ই ফাল্গুন ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনে নিহত কিছু মুসলিম ব্যক্তির স্বরণে ফুল দেওয়া হয় যেটি ইসলামী রীতি পরিপন্থী। এই ভাষা আন্দোলনের পক্ষে বিপক্ষে জাতির মধ্যে বিভেদ ছিল এখনও আছে। একটি পক্ষের মতামত মুসলিমদের ভাষা হবে মুসলিম দেশের ভাষার মতো যেমন আরবি বা উর্ধ(উর্দু নয়) ভাষা গঠিত আরবি ভাষার ২৯টি অক্ষরের সাথে ৭ টি নতুন অক্ষর যোগ করে। কিন্তু বাংলা ভাষার অক্ষর তো দেখতে হিন্দী ভাষায় ব্যবহৃত অক্ষরের মতো। রবীন্দ্রনাথ রচিত সোনার বাংলা কে জাতীয় সঙ্গীত হিসাবে গ্রহণ করার বা গাওয়ার ক্ষেত্রেও এদেশের মানুষের মধ্যে রয়েছে মতপার্থক্য।
এদেশের বিশ্ববিদ্যালয় গুলোতে বা রাস্তায় ভাষ্কর্যের নামে যে মূর্তি তৈরি করে জনগণের অর্থের অপচয় করা হয়েছে সেটিও এদেশের ৯৫ ভাগ মুসলিমরা মেনে নিতে পারে না কেননা এটিও ইসলামী রীতি পরিপন্থী। অথচ সেই অর্থ দিয়ে কলকারখানা স্থাপন করলে এদেশ থেকে বেকারত্বের মতো অভিশাপ নিশ্চিহ্ন হয়ে যেত হয়তোবা।
শহর গুলোকে বিকেন্দ্রীকরণের পরিবর্তে ফ্লাইওভার, মেট্রোরেল তৈরির নামে বরং এককেন্দ্রিকরন করতঃ জনগণের টাকার তছরূপ করে শহর এবং গ্রামের জনগণের মধ্যে বিভেদ তৈরি করেছে।
এই বিভেদের শিক্ষার ফলস্বরূপ জাতিকে দেখতে হয়েছে রক্তপাত, হতাহতের অসংখ্য আন্দোলন, গন অভ্যুত্থান, সেনা অভ্যুত্থান, ছাত্র-জনতার উত্থান মোকাবেলা করতে হয়েছে পরতে পরতে সংকট যেটি বর্তমানেও চলমান। নানামুখী শিক্ষা ব্যবস্থাই এক জাতি গঠন তথা জাতীয় ঐক্যমতে পৌঁছাতে বাঁধা বিপত্তি হিসাবে কাজ করে।
১৯৭১ সালে পূর্ব পাকিস্তানের মৃত্যুবরণ করা মুসলিম ব্যক্তিদেরকে ইসলামী রীতি পরিপন্থী ফুল দিয়ে স্বরন করা পরিলক্ষিত হয়। ১৯৭১ সালেও এদেশের এক বিশাল জনগোষ্ঠী পাকিস্তান বিভক্তির বিরুদ্ধে ছিল ভারতীয় আধিপত্যের আশঙ্কা এবং ইসলামী আন্দোলনের স্বার্থকে কেন্দ্র করে যেমনভাবে ১৯৪৭ সালের ভারত-পাকিস্তান বিভক্তিরও বিরোধিতা করেছিল। এসকল ক্ষেত্রে অখণ্ড এবং শক্তিশালী এক মাতৃভূমি দেখতে চাওয়ার বিষয় কাজ করেছিল।
১৯৭১ সালের পর এদেশের রাষ্ট্রপতি হন শেখ মুজিবুর রহমান তাকে সেনা অভ্যুত্থানের মাধ্যমে ১৯৭৫ সালে হত্যা করতে হলো আবার ১৯৮১ সালে রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান কেও হত্যা করা হলো। ৭ ই নভেম্বর কে এদেশের এক শ্রেণির মানুষ জাতীয় সংহতি দিবস আরেক শ্রেণীর মানুষ কালো দিবস পালন করে। হুসাইন মুহাম্মদ এরশাদ কেও আবার গন অভ্যুত্থানের মাধ্যমে পদত্যাগ করতে বাধ্য করা হলো ১৯৯০ সালে একইভাবে ১৯৯৬ সালে বেগম খালেদা জিয়া কে প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করতে বাধ্য করা হয়।
সর্বশেষ ছাত্র-জনতার আন্দোলনের সাথে একাত্মতা ঘোষণা করে রাজপথে ১৯৯০, ১৯৯৬ সালের মতো জামায়াত-শিবির ৩ রা আগস্ট ২০২৪ অসহযোগ আন্দোলন এবং শেখ হাসিনা সরকারের পদত্যাগের ১ দফা দাবিতে অগ্নি স্ফুলিঙ্গের মতো যোগদান করলে আন্দোলন তীব্রতর হয়ে ওঠে এবং ৭২ ঘন্টার মধ্যে জামায়াতের বিরুদ্ধে প্রজ্ঞাপন জারি করা আওয়ামী লীগেরই পতন নিশ্চিত হয় জাতির বিশাল রক্তপাতের মধ্য দিয়ে এবং  নিবন্ধন বাতিলের মাধ্যমে আওয়ামী লীগের ই এদেশে রাজনীতি করার অধিকার  চিরদিনের জন্য হাতছাড়া হয়।

এগুলো সবই নানামুখী শিক্ষা(পথ) নানা মতের কারণে সংগঠিত। অভ্যুত্থান, গন অভ্যুত্থান, সেনা অভ্যুত্থান, ছাত্র-জনতার উত্থান, বিপ্লব-প্রতিবিপ্লব ইত্যাদি থেকে দেশ, জাতিকে মুক্তি দিতে এবং এক জাতি গঠনে আমাদের কমপক্ষে উচ্চ মাধ্যমিক তথা দ্বাদশ শ্রেণী পর্যন্ত এক ও অভিন্ন শিক্ষাব্যবস্থা চালু করা জরুরি।

জাতিসংঘ সংজ্ঞা মোতাবেক মানুষ ১৮ বছর বয়স পর্যন্ত শিশু। শিশু থাকাকালীন মানুষের শারীরিক গঠনের সাথে মানসিক গঠন তৈরি হয়। শিশু বয়সে মানুষের মধ্যে যে শিক্ষা কাঠামো গঠন হয় তৃতীয় পর্যায়ের স্নাতক পর্যায়ে সেটির বিস্তার ঘটে। শিশু বয়সেই এক জাতি গঠন করার প্রয়াস গ্রহণ পরিহার্য।

এদেশের শিক্ষা ব্যবস্থা রয়েছে তার মধ্যে একটি হলো হিফ্জ শিক্ষা ব্যবস্থা যেখানে শুধু পবিত্র কুরান মুখস্থ করানো হয় অন্য কোন গবেষণা করা হয় না। অন্যদিকে কওমি মাদ্রাসা রয়েছে যেখানে পরকাল ভিত্তিক শিক্ষা ব্যবস্থাকে গুরুত্ব দেওয়া হয়। এ দুটি শিক্ষায় শিক্ষিত লোকেরা যত্রতত্র মাদ্রাসা বা মসজিদ প্রতিষ্ঠা করে জনগণের নিকট থেকে অর্থ, চাউল ইত্যাদি সংগ্রহ করে জীবিকা নির্বাহ করে। জাতির বিশাল অংশ তাদের মানুষের নিকট হাত পাতাকে পছন্দ করেনা যেটি ইসলামী রীতি পরিপন্থী। এটিও জাতির বিভেদ তৈরিতে অনুঘটক হিসেবে কাজ করে।

দেশে যে শিক্ষা ব্যবস্থা বিদ্যমান তার মধ্যে সাধারণ শিক্ষা ব্যবস্থা ধরা হয় স্কুল কলেজের শিক্ষা ব্যবস্থা কে যেখানে শুধু জাগতিক বিষয়ে তথা ইংরেজি সাহিত্য, বাংলা সাহিত্য, গণিত, পৌরণীতি, অর্থনীতি, সমাজ বিজ্ঞাণ, পদার্থ বিজ্ঞাণ, রসায়ন, জীববিজ্ঞাণ, উচ্চতর গণিত, হিসাব বিজ্ঞান, বিপণন ইত্যাদি শিক্ষা প্রদান করা হয়। এধরনের শিক্ষা ব্যবস্থায় আবার ধর্মীয় শিক্ষার সুযোগ একেবারেই অনুপস্থিত প্রায়।

এছাড়া আছে আলিয়া মাদ্রাসা যেখানে জাগতিক এবং পরলৌকিক উভয় শিক্ষাকে গুরুত্ব দেওয়া হয়। এখানে পাঠ্যক্রমের মধ্যে অন্যতম কুরান, হাদীস, আরবি সাহিত্য, ইংরেজি সাহিত্য, বাংলা সাহিত্য, গণিত, ফিক্হ(ইসলামী আইন শাস্ত্র), মানতিক-বালাগাত(ইসলামী যুক্তিবিদ্যা), পৌরণীতি, অর্থনীতি, সমাজ বিজ্ঞাণ, পদার্থ বিজ্ঞাণ, রসায়ন, জীববিজ্ঞাণ, উচ্চতর গণিত ইত্যাদি সুতরাং এখানে সাধারণ এবং মুসলিম জাতির প্রয়োজনীয় সকল বিষয়ে শিক্ষা দেওয়া হয়। এসব প্রতিষ্ঠানেও সরকারি নিয়মানুযায়ী রবীন্দ্রনাথের রচিত আমার সোনার বাংলা গান গাওয়ার জন্য বাধ্য করা হলেও তাদের একটি বৃহৎ অংশ মন থেকে সেটি সমর্থন করতে পারে না। ফলে ক্ষোভের পূঞ্জীভূত হতে দেখা যায় তাদের মধ্যে।

এক জাতি গঠনে আলিয়া, কওমী, হিফজ, স্কুল, কলেজ ইত্যাদি যত ধরনের শিক্ষা ব্যবস্থা আছে সকল শিক্ষা ব্যবস্থার সমন্বয়ে দ্বাদশ শ্রেণী পর্যন্ত এক ও অভিন্ন শিক্ষা ব্যবস্থার প্রবর্তন করা এখন অত্যন্ত জরুরি। এটি যে কোন এক নামে যেমন মাদ্রাসা, বিদ্যালয় বা স্কুল নামে প্রবর্তন করতে হবে। তৃতীয় বা স্নাতক পর্যায়ে থাকবে শুধু বিশ্ববিদ্যালয় বা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনস্থ প্রতিষ্ঠান সেখান থেকে যে কোন শিক্ষার্থীর জন্য অনুমোদিত যেকোনো বিষয়ে উচ্চ শিক্ষা গ্রহণের সুযোগ অবারিত থাকবে।

মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ হলেও হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান ছাড়াও বিভিন্ন ধর্মের লোকদের বসবাসের এক বৈচিত্র্যময় ভূমি এটি। ধর্মীয় বৈচিত্রকে বিবেচনা করে শুধুমাত্র ধর্মীয় বিষয়সমূহ পৃথক হবে এবং ধর্মীয় বিষয় সমুহ পাঠদানের সময় ভিন্ন ভিন্ন কক্ষে হওয়া ছাড়া দ্বাদশ শ্রেণী পর্যন্ত আর কোন বিভেদ রাখা কাম্য নয়।

অদূর ভবিষ্যতে সেনা অভ্যুত্থান, গন অভ্যুত্থান, ছাত্র-জনতার বিপ্লব বা প্রতিবিপ্লব, রক্তপাতের পথ অবরূদ্ধ করতে এবং এক দেশে এক জাতি গঠন করতে হিফজ, আলিয়া, কওমী, স্কুল কলেজ এর সমন্বয়ে এক ও অভিন্ন শিক্ষা ব্যবস্থার প্রবর্তন করা এখন সময়ের দাবি।

এমফিল গবেষক (এবিডি)
আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগ
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
সংবাদটি ভালো লাগলে শেয়ার করুন

বিষয়: * অভিন্ন শিক্ষা ব্যবস্থার জরুরি * বিপ্লব-প্রতিবিপ্লব প্রতিহত
সর্বশেষ সংবাদ