ক্যানভাসের কবিতা

রুশাইদ আহমেদ
রাতের বেলা কাত হয়ে শুয়ে রাখলে জ্যোৎস্নার দিকে দৃষ্টি;
কোন সে সত্তা আমার ঘরে এসে ঝরায় স্মৃতির বৃষ্টি!
কিন্তু আমি তৎক্ষণাৎ স্মৃতিভ্রমের ছাতা খুলে নিজের গা বাঁচাই
আর নিশাচর হয়ে নিমেষেই মানচিত্রের পর মানচিত্র পার হই!
আমি ভেঙে দিই সব ছন্দ চাটুকারি সব কবিতার,
আমি ধসিয়ে দিই সব ইতিহাস বিকৃতকারী থিয়েটার!
আমি স্বপ্নের আগে ছুটে গিয়ে করি দুঃস্বপ্নের সাথে আঁতাৎ,
রাত তো শেষ হয়ে এসেছে, এই বুঝি এলো ওস্তাদের মহা আঘাত!
তাই আমায় দেখে ভয় পান ফিদেল কাস্ত্রো, লেনিন
আর মাও সে তুং-ও পালাবার জন্যে খুঁজে ফেরেন দুর্গম-কান্তার-গহীন!
আমায় দেখে সংশয় দানা বাঁধে তোমাদের মনে,
এসে পুঁছো আমাকে আমার পরিচয় জনে জনে।
আমায় চেনো না? আমি তো সেই সাদ্দামের কালো যমটুপি;
আর আমিই তো সেই ধোঁয়া উড়া বুলেট যে ছুঁয়েছি বুক গাদ্দাফির!
আমি মানি না ধনতান্ত্রিকতা, মানি না সমাজতন্ত্র,
আমি মানি না ধর্মের নামে কপটতা আর ছলনাময় গণতন্ত্র!
আমি শোষিতের জন্যে পঙক্তি লিখি আর ধর্ষিতার জন্য শায়েরি;
লাল, নীল, সবুজ ইতিহাস পাল্টে গিয়ে হয়ে যায় গাঢ়ো খয়েরি!
যখনই অবৈধ লালসার লালায় ঠোঁট ভিজিয়ে তোমরা খেতে বসো নেহারি-ভাত-ঝোল চুষিয়া-চিবিয়া,
আমি আসি তখনই মানবিক ঝাণ্ডা হাতে খেতে— চুষে খেতে জালিমের ওই রক্তমাখা টিবিয়া!
তবু সংশয় দানা বাঁধে তোমাদের মনে,
এসে পুঁছো আমাকে আমার পরিচয় জনে জনে।
শোনো তবে;- আমি কবি—
আমি সমাজের রঙে বিবেকের ক্যানভাসে আঁকি ছবি!
কবি: শিক্ষার্থী,
গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগ,
বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়, রংপুর
সংবাদটি ভালো লাগলে শেয়ার করুন

সর্বশেষ সংবাদ