জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের নেতাকর্মীদের সন্ধান ও মুক্তি দাবি

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল, কেন্দ্রীয় সংসদের সহ-সভাপতি এইচ এম আবু জাফর, কেন্দ্রীয় সংসদের সাবেক সহ-সভাপতি তবিবুর রহমান সাগর, কেন্দ্রীয় সংসদের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আবু হান্নান তালুকদার, ড. মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ হল ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক ইমাম আল নাসের মিশুক, বিজয় একাত্তর হল ছাত্রদলের সিনিয়র যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ফজলুর রহমান বিজয়, কবি নজরুল সরকারি কলেজ শাখার সিনিয়র সহ সভাপতি ইরফান আহমেদ ফাহিম, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সহ-সভাপতি ফেরদৌস মাহমুদ রুবেল ও তেজগাঁও কলেজ শাখার ছাত্রনেতা নাজমুল হাসান পাপনকে বিভিন্ন জায়গা থেকে সাদা পোশাকধারী ডিবি পুলিশ সদস্যরা তুলে নিয়ে যায়।

ইতোমধ্যেই অনেকটা সময় পেরিয়ে যাওয়া সত্ত্বেও অনেক জায়গায় খোঁজ করে অদ্যাবধি পরিবার ও সংগঠন তাদের খোঁজ পায়নি। এই ভোটবিহীন অবৈধ ডামি সরকারকে ক্ষমতায় টিকিয়ে রাখতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কিছু অতিউৎসাহী সদস্য সারা বাংলাদেশে অসংখ্য ছাত্রদল নেতাকর্মীকে গুম, খুন ও ক্রসফায়ারের মাধ্যমে নির্মমভাবে হত্যা করেছে। চাকুরিবিধির বদলে দলবাজির পথ বেছে নেয়া আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কিছু সদস্যদের এ ধরণের বেআইনি অপকর্মের মাধ্যমে অবৈধ সরকার তার ক্ষমতার মসনদ চিরস্থায়ী করতে চাইছে। ছাত্রজনতার ঐক্য ও জাগরনে আতঙ্কিত হয়ে তারা আবারও দেশজুড়ে গণগ্রেফতার অভিযান শুরু করেছে।

গুমের শিকার ছাত্রনেতাদের পরিবারগুলো বছরের পর বছর ধরে স্বজনের প্রতীক্ষায় পথ চেয়ে আছে। ইতোমধ্যে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমেও এধরণের নির্মমতা, পৈশাচিকতার লোমহর্ষক ঘটনাগুলো ক্রমাগতভাবে উঠে আসছে যা দেশের ভাবমূর্তিকে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে মারাত্মকভাবে ক্ষুন্ন করছে।

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব ও সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দীন নাছির অনতিবিলম্বে নেতাকর্মীদেরকে গণমাধ্যমের সম্মুখে হাজির করার আহবান জানিয়েছেন। অন্যথায় উদ্ভূত যেকোনো পরিস্থিতির দায়ভার ফ্যাসিস্ট সরকার ও তার পেটোয়া বাহিনীকেই নিতে হবে।

সংবাদটি ভালো লাগলে শেয়ার করুন

বিষয়: * জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল * নেতাকর্মীদের সন্ধান ও মুক্তি দাবি
সর্বশেষ সংবাদ