নীলফামারীতে কোটা বিরোধী আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সাথে পুলিশ-ছাত্রলীগের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া

স্টাফ রিপোর্টার:

কোটা সংস্কারের দাবী বাস্তবায়নে পূর্বঘোষিত ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ কর্মসূচিতে নীলফামারীর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা জমায়েত হলে তাদের সাথে পুলিশ এবং ছাত্রলীগের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। পরে তারা পালিয়ে শহরের বিভিন্ন মোড়ে অবস্থান নিয়ে পুলিশ এবং ছাত্রলীগের দিকে ইট-পাটকেল ছুড়তে থাকে। এতে পুলিশসদস্য, সাংবাদিক,আন্দোলনকারীসহ প্রায় অর্ধশতাধিক আহত হয়েছে। এছাড়াও ডিসি অফিসের প্রধান ফটক, রেকর্ড রুম, ট্রাফিক বক্স, আওয়ামীলীগ অফিসসহ ১৫-২০টি মোটরসাইকেলও ভাঙচুর করে আন্দোলনকারীরা। এসময় একজন আন্দোলনকারীকে আটক করে পুলিশ।

বৃহস্পতিবার (১৮জুলাই/২৪) দুপুরে পৌরমার্কেট এলাকা, ডিসি অফিসের মোড়, পিটিআই মোড় এবং আনন্দ বাবুর ব্রীজে এ ঘটনা ঘটে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সকাল ১১ টার দিকে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের সামনে শিক্ষার্থীরা জমায়েত শুরু করলে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা তাদের ধাওয়া দেন। এরপর কোটা আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরাও ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের পাল্টা ধাওয়া দেন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ এগিয়ে এলে তারা মারমুখি হয়ে উঠে। এই থমথমে উত্তেজনা চলে দুপুর ২টা পর্যন্ত। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে গেলে পুলিশ,র‌্যাব এবং বিজিবির সদস্যরা বাধ্য হয়ে ছাত্রদের দিকে বেশ কয়েক রাউন্ড টিয়ারসেল,সাউন্ড গ্রেনেট ও রাবার বুলেট ছুড়ে। পরে আওয়ামীগ ও ছাত্রলীগের ধাওয়ায় শিক্ষার্থীরা শহর ছাড়তে বাধ্য হয়।

নীলফামারী জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিক্যাল অফিসার আব্দুর রহিম বলেন,‘ রাবার বুলেটে আহত হয়েছেন ৩ জন। এরমধ্যে একজন গুরুতর আহত হওয়ায় রংপুর মেডিক্যাল কলেজে স্থানান্তর করা হয়েছে। পুলিশ সদস্য দুইজন ও তিনজন শিক্ষার্থী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। এছাড়াও ১২জন প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন।’

নীলফামারী অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোঃ আমিরুল ইসলাম বলেন,আজ সকালে কিছু নামধারি ছাত্র কোটা বিরোধী আন্দোলনের নামে শহীদ মিনারে জমায়েত হয়েছিলো। আমরা তাদের নজরদারীতে রেখেছিলাম। তারা যেন রাষ্ট্রিয় সম্পদ নষ্ট করতে না পারে। একপর্যায়ে তারা ইট-পাটকেল মাড়তে শুরু করে। আমাদের ১০ জনের অধিক পুলিশ সদস্য আহত হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ অল্প কিছু টি.আর শেল ও সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করেছে। বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আছে। যেকোনো ধরনের অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে শহরের বিভিন্ন মোড়ে বিপুল পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।এছাড়াও র‌্যাব,বিজিবিও মাঠে কাজ করছেন।

সংবাদটি ভালো লাগলে শেয়ার করুন

বিষয়: * নীলফামারীতে কোটা বিরোধী আন্দোলনরত শিক্ষার্থী * পুলিশ-ছাত্রলীগের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া
সর্বশেষ সংবাদ