পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে সর্বাত্মক কর্মবিরতি চলছে

সর্বজনীন পেনশন স্কিম ‘প্রত্যয়’ নিয়ে জারি করা প্রজ্ঞাপন বাতিলের দাবিতে সর্বাত্মক কর্মবিরতি শুরু করেছেন দেশের ৩৫ পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। আজ সোমবার থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য কর্মবিরতির শুরু করেছেন তারা। এর ফলে বন্ধ হয়ে পড়েছে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর শিক্ষা-কার্যক্রম।
গতকাল রোববার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কলাভবন ফটকে সংবাদ সম্মেলনে কর্মবিরতির এ ঘোষণা দেন বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি ফেডারেশনের মহাসচিব অধ্যাপক ড. নিজামুল হক ভূঁইয়া। তারপর দেশের ৩৫ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা একে একে কর্মবিরতির ঘোষণা দেয়। এতদিন বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা কর্মবিরতির আওতার বাইরে থাকলেও আজ থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লাস-পরীক্ষাসহ দাপ্তরিক সব কার্যক্রম থেকে বিরত থাকবেন শিক্ষকরা। প্রবাসী, প্রগতি, সুরক্ষা ও সমতা এই চারটি প্রকল্প নিয়ে ২০২৩ সালের ১৭ আগস্ট সর্বজনীন পেনশন প্রকল্প যাত্রা শুরু করে। পরে সব স্বায়ত্তশাসিত ও রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য ‘প্রত্যয় স্কিম’ নামে একটি নতুন স্কিম চালু করা হয়।
সেই ধারাবাহিকতায় অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে গত ১৩ মার্চ প্রত্যয় স্কিমের প্রজ্ঞাপন জারির পর থেকেই এর বিরুদ্ধে অবস্থান নেন বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি ফেডারেশন। স্কিমটি প্রত্যাহারের দাবিতে বেশ কর্মসূচি পালনের পর গত ৪ জুন প্রথম অর্ধদিবস কর্মবিরতি পালন করেন শিক্ষকরা।  এরপরও দাবির বিষয়ে সরকার কার্যকর কোনো পদক্ষেপ না নেওয়ায় গত সপ্তাহে টানা তিন দিন অর্ধদিবস কর্মবিরতি পালন করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা। একই দাবিতে গত সপ্তাহে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেটেও শিক্ষকনেতারা জোরালো বক্তব্য দেন।
সরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর শিক্ষকরা মোট তিনটি দাবি জানিয়েছেন। এগুলো হলো- প্রত্যয় স্কিমের প্রজ্ঞাপন প্রত্যাহার, সুপার গ্রেডে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের অন্তর্ভুক্তি এবং শিক্ষকদের জন্য স্বতন্ত্র বেতন স্কেল প্রবর্তন। আর কর্মকর্তা-কর্মচারীদের দাবি শুধু প্রত্যয় স্কিমের প্রজ্ঞাপন বাতিল।
সংবাদটি ভালো লাগলে শেয়ার করুন

বিষয়: * পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়