রাজধানীতে সংঘবদ্ধ চক্রের ধর্ষণের শিকার নববধূ, গ্রেপ্তার-৭
বাংলা এফএম ডেস্ক
প্রকাশিত হয়েছে : 30 June 2024, 1:02 AMসদরুল আইন:
রাজধানীর খিলক্ষেতে দলবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হয়েছেন এক নববধূ। এ ঘটনায় ইতোমধ্যে ৭ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
গ্রেপ্তাররা ধর্ষণের কথা স্বীকার করেছেন বলে জানিয়েছেন তারা।
পুলিশ জানায়, শুক্রবার (২৯ জুন) মধ্যরাতে স্বামীকে নিয়ে খিলক্ষেতের এক আত্মীয়ের বাসা থেকে ফিরছিলেন ওই নববধূ। পথে ৬ থেকে ৭ ব্যক্তি তাদেরকে বনরূপা এলাকায় নিয়ে যায়।
সেখানে ঝোপঝাড়ের মধ্যে নিয়ে ওই নবদম্পতিকে মারধর করে ওই ব্যক্তিরা। এ সময় তারা ওই নারীর জন্য তার স্বামীর কাছে ৩ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। এক পর্যায়ে তারা ভিকটিমের স্বামীকে ছেড়ে দেয় মুক্তিপণের টাকা আনার জন্য।
ভিকটিমের স্বামী ওই স্থান ত্যাগ করে ৯৯৯ এ কল দিয়ে পুলিশের সহায়তা চায়।
এরই মধ্যে আসামিরা ভিকটিমকে বিভিন্নভাবে মারধর করে ও শারীরিক নির্যাতন করে। ভিকটিম তাদেরকে কাঁদতে কাঁদতে না মারার জন্য বারবার অনুরোধ করেন। কিন্তু আসামিরা ভিকটিমের আর্তনাদে কোনপ্রকার কর্ণপাত না করে তার ওপর অমানুষিক নির্যাতন চালিয়ে যেতে থাকে।
এক পর্যায়ে আসামিরা ওই নববধূকে ধর্ষণ করে। পরে ঘটনাস্থলে পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে পালিয়ে যায় আসামিরা।
এদিকে ভুক্তভোগীদের অভিযোগের ভিত্তিতে আসামিদের ধরতে শুক্রবার রাত থেকেই অভিযানে নামে পুলিশ। এসি ক্যান্টনমেন্ট জোন শেখ মুত্তাজুল ইসলামের নেতৃত্বে খিলক্ষেত থানার কয়েকটি টিম এ অভিযান পরিচালনা করে।
এসি শেখ মুত্তাজুল ইসলাম বলেন, পুলিশ খবর পেয়ে সঙ্গে সঙ্গে বনরূপা এলাকায় যায়। পুলিশ সদস্যদের উপস্থিতি টের পেয়ে দুর্বৃত্তরা ঝোপঝাড়ের ভেতরে বারবার তাদের অবস্থান পরিবর্তন করতে থাকে।
ভোর চারটার দিকে পুলিশ সেখান থেকে ভুক্তভোগী নববধূকে উদ্ধার করতে সক্ষম হয়। কিন্তু দুর্বৃত্তরা পালিয়ে যায়। পরে শনিবার (২৯ জুন) পুলিশ বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে প্রধান আসামি কাশেমসহ সাতজনকে গ্রেপ্তার করে।
পুলিশের গুলশান বিভাগের ডিসি রিফাত রহমান শামীম বলেন, শুক্রবার রাতে ঘটনাটি জানার পরপরই অভিযান শুরু হয়। গ্রেপ্তাররা দলবদ্ধ ধর্ষণের সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছেন। জড়িত একজন ওই নববধূর পূর্ব পরিচিত।