বরিশালে ঢাকাগামী লঞ্চে যাত্রীদের উপছে পড়া ভীড়

বরিশাল ব্যুরো :

ঈদুল আজহার ছুটি শেষে এবার রাজধানী ঢাকায় ফিরতে বরিশাল নদী বন্দরে মানুষের ঢল নেমেছে। রবি বার  (২৩ জুন) বিকেল থেকে যাত্রীদের ভিড় বাড়তে থাকে। রাত ৮টা নাগাদ কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে যায় লঞ্চগুলো। 

বরিশাল নদী বন্দর কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে জানানো হয়েছে, রাত ৯টার মধ্যে বরিশাল নদী বন্দর থেকে ১৩টি লঞ্চ ঢাকার উদ্দেশ্যে ছেড়ে যাবে। বিগত কয়েক বছরের তুলনায় এই ঈদের শেষে লঞ্চে যাত্রীর সংখ্যা বেশি। বরিশাল নদী বন্দর ঘুরে দেখা গেছে, ১ নম্বর পন্টুন থেকে ৩ নম্বর পন্টুন পর্যন্ত গাদাগাদি করে নোঙর করে আছে বিলাসবহুল লঞ্চগুলো। একটি লঞ্চ পল্টুনে স্থান না পেয়ে অপর লঞ্চের পেছনে নোঙর করে যাত্রী তুলছে।

পারাবত-১১ লঞ্চের যাত্রী মোঃ কামাল বলেন, বাসে পরিবারসহ ৬টি সিট পাইনি। বিকেলে লঞ্চঘাট এসে কেবিন নিয়েছি। কেবিনে কিছু টাকা বেশি নিয়েছে। তারপরও নিশ্চিন্তে যেতে পারব। সুরভী-৭ লঞ্চের যাত্রী মাসুম বলেন, নিচ তলা থেকে তিন তলার ডেক সবই লোকে পূর্ণ। পা ফেলার জায়গা নেই। আমি তিন তলার কেবিনের গলিতে একটা বিছানার চাদর ৩০০ টাকা দিয়ে নিয়েছি। সেটায় বসে পরিবারসহ যাব। সুন্দরবন-১০ লঞ্চের যাত্রী মুন্না বলেন, এতো ভিড় বিগত দুই-তিন বছর ছিল না। যতগুলো লঞ্চ আছে কোথাও তিল ধারনের ঠাঁই নেই।

প্রিন্স আওলাদ-১০ লঞ্চের যাত্রী মারুফা বলেন, ঈদের আগে বাসে বাড়ি এসেছি। কিন্তু এত বেপরোয়া চালায় বাস তাতে ভয়ে আর বাসে যাচ্ছি না। লঞ্চে আসা যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। এমভি সুন্দরবন নেভিগেশনের কাউন্টারের ব্যবস্থাপক জাকির হোসেন বলেন, শুক্রবার আর ঈদের ছুটি শেষ হওয়ায় আজ যাত্রী তুলনামূলক বেশি। এমন যাত্রীর সংখ্যা দু-একদিন থাকবে। বরিশাল সদর নৌ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল জলিল বলেন, কর্মস্থলে ফিরতে নদী বন্দরে যাত্রী সংখ্যা বেড়েছে। যাত্রীদের নিরাপত্তায় নৌ-পুলিশ দায়িত্ব পালন করছে। যাত্রীরা যেন নিরাপদে ফিরতে পারে তা নিশ্চিত করছি।

বরিশাল নদী বন্দরের কর্মকর্তা আব্দুর রাজ্জাক বলেন, যাত্রী বাড়লেও কোনো লঞ্চ যেন অতিরিক্ত যাত্রী না নেয় সেই নির্দেশনা দেওয়া আছে। লঞ্চগুলোকে মনিটরিং করা হচ্ছে। নির্ধারিত সময়ের বেশি পন্টুনে থাকতে দেওয়া হচ্ছে না।

সংবাদটি ভালো লাগলে শেয়ার করুন

বিষয়: * বরিশাল * লঞ্চ যাত্রী
সর্বশেষ সংবাদ