একই দিনে আরাফার সিয়াম, ঈদ, রমদানুল মুবারকসহ অন্যান্য ইবাদত

মহান আল্লাহ বিশ্বজগতের সবকিছুর সৃষ্টিকর্তা, লালনকর্তা ও পালনকর্তা। তিনি সমুদয় বস্তুর মালিক ও সার্বভৌম ক্ষমতার অধিকারী। দৃশ্য ও অদৃশ্য জগতের সব কিছুই তাঁর নিয়ন্ত্রণাধীন।
আল্লাহ তায়ালা পবিত্র কোরআনে বলেন, ‘তিনিই আল্লাহ, যিনি ব্যতীত কোনো উপাস্য নেই; তিনি দৃশ্য ও অদৃশ্যকে জানেন, তিনি পরম দয়ালু, অসীম দাতা। তিনিই আল্লাহ তিনি ব্যতিত কোনো উপাস্য নেই। তিনিই একমাত্র মালিক, পবিত্র, শান্তি ও নিরাপত্তাদাতা, আশ্রয়দাতা, পরাক্রান্ত, প্রতাপান্বিত, মাহাত্মশীল। তারা যাকে অংশীদার করে আল্লাহতাআলা তা থেকে পবিত্র। তিনিই আল্লাহ, স্রষ্টা, উদ্ভাবক, রূপদাতা, উত্তম নামগুলো তারই। নভোমণ্ডলে ও ভূমণ্ডলে যা কিছু আছে, সবই তার পবিত্রতা ঘোষণা করে। তিনি পরাক্রান্ত প্রজ্ঞাময়।’ (সুরা হাশর, আয়াত ২২-২৪)
প্রজ্ঞাময় আল্লাহ তায়ালা পবিত্র কুরআনে  আরো বলেন,  ‘নিশ্চয়ই আল্লাহর নিকট ইসলামই হচ্ছে একমাত্র মনোনীত দ্বীন (আনুগত্যের বিধান বা জীবন ব্যবস্থা)।’ (সুরা আল ইমরান, আয়াত ১৯)
ইসলাম ব্যতীত অন্য কোন জীবন বিধান আল্লাহর নিকট গ্রহণযোগ্য নহে তাই তিনি বলেন, ‘কেউ ইসলাম ব্যতীত অন্য কোনো দ্বীন গ্রহণ করতে চাইলে তা কখনো কবুল করা হবে না।’ (সুরা আল ইমরান, আয়াত ৮৫)
আমাদের সমাজে ইসলামের সুবিধাজনক অংশ অনুসরণ করার প্রতিযোগিতা লক্ষ্য করা যায় যদিও ইসলামের কোন অংশবিশেষ নয় পরিপূর্ণ ভাবে ইসলামের অনুসারী হতে মহান আল্লাহ তাগিদ দিয়েছেন।
আল্লাহ বলেন, ‘হে ঈমানদারগণ! তোমরা পরিপূর্ণভাবে ইসলামের অন্তর্ভুক্ত হয়ে যাও এবং শয়তানের পদাংক অনুসরণ কর না। নিশ্চিত রূপে সে তোমাদের প্রকাশ্য শত্রু।’ (সুরা আল বাকারা, আয়াত ২০৮)
আল্লাহতায়ালা মানব কল্যাণে ও তাঁর সন্তুষ্টি অর্জনের পথ হিসেবে পূর্ণাঙ্গ জীবন বিধান ‘ইসলাম’কে নির্বাচন করেছেন। ইসলাম সকল প্রকার সমস্যা ও জটিলতামুক্ত এবং সহজতর একটি দ্বীন। মহান আল্লাহ ইরশাদ করেন, ‘আল্লাহ তায়ালা তোমাদের ব্যাপারে সহজতা চান, জটিল বা কঠিনতা চান না।’ (সুরা বাকারা, আয়াত ১৮৫)
আর তিনি দীন ইসলামকে পরিপূর্ণও করেছেন যার ঘোষণা আল্লাহর পক্ষ থেকে এসেছে রাসুল (সা.)-এর বিদায় হজের ভাষণে ‘আজ আমি তোমাদের জন্য তোমাদের দ্বীনকে পরিপূর্ণ করে দিলাম এবং তোমাদের ওপর আমার নেয়ামত পূর্ণ করলাম; আর তোমাদের জন্য ইসলামকে দ্বীন হিসেবে নির্বাচন করলাম।’ (সুরা মায়েদা, আয়াত ৩)
ইসলামের পরিপূর্ণতার জন্য ৫টি রুকন বা ভিত্তি রয়েছে তার মধ্যে হজ্জ অন্যতম।
হজ্জ আরবি শব্দ। এটির মূল অক্ষর ৩ টি যথা ح ج ج যেটির শাব্দিক অর্থ মিলন, সম্মেলন, সাক্ষাৎ ইত্যাদি।
আর পারিভাষিক সংজ্ঞায় মহান আল্লাহ নিজেই বলেন ‘আর আল্লাহর জন্য মানুষের উপর পবিত্র ঘরের হজ্জ করা (অবশ্য) কর্তব্য; যে লোকের সামর্থ্য রয়েছে এ পর্যন্ত পৌঁছার। আর যে লোক তা অস্বীকার করে (তাহলে সে জেনে রাখুক) আল্লাহ্ সারা বিশ্বের কোন কিছুরই পরওয়া করেন না’। (সূরা আল-ইমরানঃ ৯৭)
অর্থাৎ যিনি হজ্জের উদ্দেশে রওয়ানা দেওয়া থেকে শুরু করে জিলহজ মাসের ৮-৯ তারিখ পর্যন্ত হজ্জের নির্দিষ্ট কাজ সম্পাদন করে নিজ বাড়িতে ফিরে আসা পর্যন্ত হজ্জের যাবতীয় খরচ এবং পরিবারের খরচ বহন করতে সামর্থবান তার জন্য আল্লাহ সুবহানাহু তাআলা হজ্জ ফরজ করেছেন এবং সামর্থ থাকা সত্ত্বেও হজ্জ পালন না করলে সতর্কতাও জারি করেছেন।
হজের গুরুত্ব এত যে আল্লাহ সুবহানাহু তাআলা হজ্জের মহাত্মা ঘোষণা করতে বিশ্বনবি এবং রাসুল সাল্লাল্লাহু কে নির্দেশ দেন।
‘এবং মানুষের মধ্যে হজ্বের জন্য ঘোষণা প্রচার কর। তারা তোমার কাছে আসবে পায়ে হেঁটে এবং সর্বপ্রকার কৃশকায় উটের পিঠে সওয়ার হয়ে দূর-দূরান্ত থেকে।’ (সূরা হজ্জঃ ৯৭)
কোন ঝগড়া বিবাদ বা গর্হিত কাজ নয় বরং হজ্জ একটি মহা সম্মেলনের স্থল।
‘হজ্জ্বে কয়েকটি মাস আছে সুবিদিত। এসব মাসে যে লোক হজ্জ্বের পরিপূর্ণ নিয়ত করবে, তার পক্ষে স্ত্রীর সাথে নিরাভরণ হওয়া জায়েজ নয়। না অশোভন কোন কাজ করা, না ঝাগড়া-বিবাদ করা হজ্জ্বের সেই সময় জায়েজ নয়। আর তোমরা যাকিছু সৎকাজ কর, আল্লাহ তো জানেন। আর তোমরা পাথেয় সাথে নিয়ে নাও। নিঃসন্দেহে সর্বোত্তম পাথেয় হচ্ছে আল্লাহর ভয়। আর আমাকে ভয় করতে থাক, হে বুদ্ধিমানগন! তোমাদের উপর তোমাদের পালনকর্তার অনুগ্রহ অন্বেষণ করায় কোন পাপ নেই।’ (সূরা আল বাক্বারাহ:197)
হজ্জ বা সম্মেলনের স্থান নির্দিষ্ট করে আল্লাহ বিভিন্ন আয়াত নাজিল করেছেন তার মধ্যে অন্যতম – ‘নিঃসন্দেহে সাফা ও মারওয়া আল্লাহ তাআলার নিদর্শন গুলোর অন্যতম। সুতরাং যারা কাবা ঘরে হজ্ব বা ওমরাহ পালন করে, তাদের পক্ষে এ দুটিতে প্রদক্ষিণ করাতে কোন দোষ নেই। বরং কেউ যদি স্বেচ্ছায় কিছু নেকীর কাজ করে, তবে আল্লাহ তাআলার অবশ্যই তা অবগত হবেন এবং তার সে আমলের সঠিক মুল্য দেবেন।’ (সূরা আল বাক্বারাহ:158)
পৃথিবীতে ২০০ অধিক রাষ্ট্র রয়েছে। সব দেশেই প্রায় মুসলিম রয়েছে এবং সবদেশ থেকেই প্রায় মুসলিমরা হজ্জ পালন করতে পবিত্র মক্কা নগরীতে নির্দিষ্ট সময়ে উপস্থিত হয়। আবার অন্যান্য ধর্মাবলম্বীরাও তাদের বিভিন্ন পন্য এবং সেবা সমূহ নিয়ে উপস্থিত হয় বানিজ্যিক উদ্দেশ্যে।
‘তোমাদের উপর তোমাদের পালনকর্তার অনুগ্রহ (বাণিজ্য) অন্বেষন করায় কোন পাপ নেই। অতঃপর যখন তওয়াফের জন্য ফিরে আসবে আরাফাত থেকে, তখন মাশআরে-হারামের নিকটে আল্লাহকে স্মরণ কর। আর তাঁকে স্মরণ কর তেমনি করে, যেমন তোমাদিগকে হেদায়েত করা হয়েছে। আর নিশ্চয়ই ইতিপূর্বে তোমরা ছিলে অজ্ঞ।’ (সূরা আল বাক্বারাহ:198)
মহান আল্লাহ হজ্জ কে মহা সম্মেলন এবং নিরাপত্তা স্থল হিসাবে আখ্যায়িত করেছেন।
‘যখন আমি কাবা গৃহকে মানুষের জন্যে সম্মিলন স্থল ও শান্তির আলয় করলাম, আর তোমরা ইব্রাহীমের দাঁড়ানোর জায়গাকে নামাযের জায়গা বানাও এবং আমি ইব্রাহীম ও ইসমাঈলকে আদেশ করলাম, তোমরা আমার গৃহকে তওয়াফকারী, অবস্থানকারী ও রুকু-সেজদাকারীদের জন্য পবিত্র রাখ।’ (সূরা আল বাক্বারাহ:125)
আল্লাহ সুবহানাহু তাআলা হজ্জ কে সম্মেলন স্থল বলে আখ্যায়িত করেছেন। আর সেই সম্মেলনে টি হয় আরাফার ময়দানে। আরাফার ময়দানে অবস্থান করা বা মহাসম্মেলনে যোগদান করা হজ্জের অন্যতম প্রধান কাজ। সেটি যেহেতু সারা বিশ্বের মহাসম্মেলন সেখান থেকে বিশ্ব পরিচালনার পরবর্তী রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, সামাজিক, সামরিক ইত্যাদি কর্মসূচি বাঞ্ছনীয়। এই সম্মেলনে যারা উপস্থিত থাকবেন তারা তো মহা কর্মযজ্ঞের অংশিদার। আর যারা উপস্থিত হতে পারেননি তাদের জন্যও রয়েছে কর্মসূচি।
আরবি ১২ মাসের মধ্যে জিলহজ অত্যন্ত গুরুত্ব ও ফজিলতপূর্ণ একটি মাস। বিশেষ করে এ মাসের প্রথম ১০ দিন বেশি গুরুত্বপূর্ণ। আল্লাহ তায়ালা পবিত্র কুরআনে এ মাসের প্রথম ১০ রাতের কসম খেয়েছেন। ‘শপথ ফজর-কালের এবং ১০ রাতের’। (আল ফাজর : ১-২) মুফাসসিরিনদের মতে, ওই ১০ রাত বলতে জিলহজের প্রথম ১০ দিন উদ্দেশ্য।
এই দশ দিনে বিশেষ কিছু ইবাদত বা কর্মসূচি রয়েছে তার মধ্যে অন্যতম সকল মুসলমানের জন্য ঈদূল আযহা, সামর্থবাদের হজ্জ এবং যারা অসার্থবান তাদের জন্য আরাফার দিনে সিয়াম পালন।
হাদীস শরীফে ঘোষণা এসেছে আবু কাতাদাহ রা. হতে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে আরাফার দিনের রোজা রাখা সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বলেন, আমি আল্লাহর কাছে আশাবাদী, ইহা পূর্ববর্তী এক বছর ও পরবর্তী এক বছররে গুনাহর কাফফারা হবে।
কিন্তু প্রশ্ন হলো আমরা বাংলাদেশিরা কি এই মহা সুযোগ থেকে বঞ্চিত হচ্ছি? আমাদের দেশে প্রকৃতপক্ষে আরাফার দিনে সিয়াম না রেখে তার পরের দিন সিয়াম পালন করা হয়। যুক্তি হিসেবে বলা হয় আমাদের দেশে সাউদি আরাবিয়ার পরের দিন চাঁদ দেখা যায় সেই জন্য আমরা পরের দিন সিয়াম পালন করি। যদিও হাদীস শরীফে আরাফার দিন সিয়াম পালনের কথা বলা হয়েছে এবং আরাফার ময়দানও একটি আর আরাফার দিবস ও একটি।
আবার আমরা রমদানুল মুবারকের সিয়াম বা ঈদসহ বিভিন্ন কর্মসূচিও পরের দিন থেকে পালন করি। কেননা একটি হাদীস আছে ‘তোমরা চাঁদ দেখে সিয়াম রাখ চাঁদ দেখে সিয়াম ছাড়।’
একসময় বর্তমান যুগের ন্যায় এত তথ্য প্রযুক্তির বিপ্লব ছিলনা সঙ্গত কারণে স্থানীয় ভাবে চাঁদ দেখে সকল কর্মসূচি পালন করা হতো। এখন যেহেতু পৃথিবীর একপ্রান্তের মানুষ চাঁদ দেখলে অন্য প্রান্তে দ্রুত পৌঁছে যায় এবং পৃথিবীও একটি তাহলে কেন একদিনে সকল কর্মসূচি পালন করা হবেনা।
প্রাসঙ্গিক কারণে বলতে হয় ২০২২ সালে রমদানুল মুবারক শেষ করে থাইল্যান্ডে ঈদের সালাত আদায় করে পরের দিন বাংলাদেশে এসে দেখলাম এদেশে ঈদ উদযাপিত হচ্ছে। সাউদি আরাবিয়া থেকে বাংলাদেশ পূর্ব দিকে তার থেকেও পূর্ব দিকে থাইল্যান্ড তারা সাউদি আরাবিয়ার সাথে ইসলামী সকল কর্মসূচি পালন করতে পারলে আমরা কেন পারবনা?
আমরা এক নবির মুসলিম উম্মাহ আমরা পৃথিবী নামক এক গ্রহে বাস করি এক কুরানের শাসন মেনে চলি এক চাঁদ দেখে ইবাদত বন্দেগী করি তাহলে আমাদের কেন এত ভেদাভেদ থাকবে? বাংলাদেশ, সাউদি আরাবিয়া, পাকিস্তান, আফঘানিস্তান কোন প্রাকৃতিক সীমানা নয় এগুলো মানুষের তৈরি সংকীর্ণ জাতীয়তাবাদী সীমানা যে কোন সময় এমন আরো সীমানা হতে পারে যেমন এক কোরিয়া বর্তমান উত্তর কোরিয়া এবং দক্ষিণ কোরিয়া নামে বিভক্ত। আবার সীমানা বিলুপ্তও হতে পারে যেমন বার্লিন দেওয়ালের পতনের মধ্য দিয়ে পূর্ব এবং পশ্চিম জার্মানি এখন এক জার্মানী। আবার শিয়া , সূন্নী, হানাফী, শাফেয়িও আমাদের সৃষ্টি শ্রেনী বিভাগ।
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন প্রত্যেক মুসলমান ভাই ভাই। আবার সারা বিশ্বের মুসলমান একটি শরীরের মত। কাশ্মীর, সিরিয়া, ইরাকের মুসলমানের রক্তক্ষরণ হলে শুধু বাংলাদেশ, পাকিস্তান নয়, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্যে বা পৃথিবীর যে প্রান্তেই প্রকৃত মুসলমান থাকুক তার হৃদয়ে রক্তক্ষরণ হয়। আবার কোন মুসলমানের আনন্দের খবরে প্রকৃত মুসলমান পৃথিবীর যে প্রান্তেই থাকুক সেও উল্লসিত হয়।
অন্যদিকে আল্লাহ সকল মুসলমান কে একত্র হতে এবং বিচ্ছিন্ন না হতে নির্দেশ দিয়ে বলেন ‘আর তোমরা সকলে আল্লাহর রজ্জুকে দৃঢ়ভাবে ধারণ কর এবং বিভক্ত হয়ো না। আর তোমরা তোমাদের উপর আল্লাহর নিয়ামতকে স্মরণ কর, যখন তোমরা পরস্পরে শত্রু ছিলে। তারপর আল্লাহ তোমাদের অন্তরে ভালবাসার সঞ্চার করেছেন। অতঃপর তাঁর অনুগ্রহে তোমরা ভাই-ভাই হয়ে গেল। আর তোমরা ছিলে আগুনের গর্তের কিনারায়, অতঃপর তিনি তোমাদেরকে তা থেকে রক্ষা করেছেন। এভাবেই আল্লাহ তোমাদের জন্য তাঁর আয়াতসমূহ বয়ান করেন, যাতে তোমরা হিদায়াতপ্রাপ্ত হও।’ (সূরা আল-ইমরান-১০৩)
ইসলাম উদার ও মানবিকতাসম্পন্ন পূর্ণাঙ্গ দ্বীন। কোনোরূপ সংকীর্ণতা বা বাড়াবাড়ির জায়গা ইসলামে নেই। মানব জাতির বৃহত্তর কল্যাণের নিমিত্তে ইসলামের আগমন। অন্ধকার ও জাহালত থেকে মুক্ত করে মানব জাতিকে সত্যের দিশা দিতে মহামহিম আল্লাহ ইসলামকে নির্বাচন করেছেন। আল্লাহ বলেন, ‘তিনি দ্বীনের ব্যাপারে তোমাদের উপর কোনো সংকীর্ণতা বা কঠোরতা চাপিয়ে দেননি।’ (সুরা হজ, আয়াত ৭৮)
ইসলাম সংকীর্ণ নয় বরং বিশ্বজনীন। সুতরাং বর্তমান পৃথিবীর অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক, সামাজিক, সামরিক, শিয়া, সুন্নী, হানাফী, শাফেয়ী, বাংলাদেশ, পাকিস্তান, ইরাক, ইরান, যুক্তরাষ্ট্র, সাউদি আরাবিয়া ইত্যাদি সংকীর্ণ জাতীয়তাবাদী সীমানা ভুলে গিয়ে আমরা কি সারা বিশ্বে একই দিনে আরাফা দিবসের সিয়াম, ঈদ, রমদানুল মুবারকসহ সকল ধরনের ইবাদত বন্দেগী একভাবে পালন করতে পারিনা?
এমফিল গবেষক (এবিডি)
আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগ 
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় 
সংবাদটি ভালো লাগলে শেয়ার করুন

বিষয়: * ইসলাম
সর্বশেষ সংবাদ