“উজিরপুরে মাদক সেবী মিঠু নেশার টাকার জন্য পিতাকে মারধর করতেন”
উজিরপুর প্রতিনিধি :
বরিশালের উজিরপুর উপজেলায় মাদক সেবী নিঠুর বিরুদ্ধে, মাদকের টাকার জন্য পিতা কে মারধরে অভিযোগ করেছেন এলাকাবাসী। মাদকাসক্ত হয়ে পুলিশসহ হামলার শিকার হয়েছে স্থানীয়রা। এ মাদক সেবিকে ধরতে গিয়ে বিপাকে পড়েছে পুলিশ।নিজের কুকর্মকে ঢাকতে বাক প্রতিবন্ধীর অভিনয় করে বিপাকে ফেলেছে জেলা পুলিশকে। এমনকি এই মিঠু স্থানীয় একাধিক সাংবাদিকে মোবাইলে খুজে বার্তা পাঠিয়ে পুলিশের বিরুদ্ধে প্রতিবেদন করার অনুরোধ করেন। তার এই মাদক সেবনের বিষয়টি স্থানীয় সাংবাদিকরা জানতেন বলে বিষয়টি এড়িয়ে যান।স্থানীয় সাংবাদিকদের মাধ্যমে হয়রানী মূলক প্রতিবেদন করতে ব্যর্থ হয়ে ঘটনার কয়েকদিন পরে উজিরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ভর্তি না হয়ে তিনি বরিশাল শেরে বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমকে বাক প্রতিবন্ধীর অভিনয় করে পুলিশের বিরুদ্ধে শক্ত প্রতিবেদন করিয়েছেন বলে এলাকাবাসী দাবি । একই সাথে এলাকাবাসী মাদক সেবী মিঠুর বিরুদ্ধে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ তদন্তের দাবী জানান। মিঠুর এখনো কর্মকাণ্ডে এলাকাবাসী হতভম্ব।
এলাকাবাসী জানান, চিহ্নিত মাদক সেবী মেহেদী হাসান মিঠু এ ধরনের মিডিয়া সাপোর্ট পেলে মাদক সেবীরা মহা উৎসবে মে তো উঠবে। শিকারপুর ইউনিয়ন চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম মাঝি বলেন, আমি জনপ্রতিনিধি অনেক কথা বলতে পারিনা স্থানীয়ভাবে নিরপেক্ষ তদন্ত কমিটি গঠন করে সুষ্ঠু তদন্ত করলে জানা যাবে আসল রহস্য।তিনি আরো বলেন আমি আমার এলাকাকে মাদকমুক্ত করতে চাই, সে ক্ষেত্রে মাদক নির্মূল করতে আমি পুলিশ প্রশাসনকে কে সর্বোচ্চ সহযোগিতা করব। উল্লেখ্য উপজেলার শিকারপুর ইউনিয়নের মুন্ডপাশা গ্রামের হারুন মিয়ার ছেলে মিঠু মিয়া (২৮) ও কাশেম বেপারীর ছেলে জাহাঙ্গীর বেপারী (৪৫) মোঃ রুবেল হোসেন মিলে গত ৩০ মে রাত ৯ টার দিকে ইজিবাইকের মধ্যে লুডু খেলছিলো। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে উজিরপুর মডেল থানার এএসআই অন্তর আহম্মেদ, তাদের দেহে তল্লাশি চালিয়ে দুইটি গাজা ভর্তি বিড়ি পান। এরপর পুলিশের সাথে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। এ নিয়ে এলাকায় তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে। এ ব্যপারে উজিরপুর মডেল থানার এএসআই অন্তর আহম্মেদ সাংবাদিকদের জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে আমরা ঘটনাস্থলে ছুটে যাই এবং সন্দেহ হলে তাদের দেহে তল্লাশি চালাই। এরমধ্যে মিঠু মিয়ার পকেটে ২টি গাঁজা ভর্তি বিড়ি পাওয়া যায়। ক্ষিপ্ত হয়ে মিঠু মিয়া আমাকে ধাক্কা দিয়ে মাটিতে ফেলে দিয়ে সকলকে নিয়ে পালিয়ে যায় এবং স্থানীয়দের মাধ্যমে মিঠু তার কৃতকর্মের জন্য ক্ষমা চায়।
মাদক সেবনের বিষয়টি এলাকায় চাউর হলে ঘটনা ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করার জন্য একটি কূ-চক্রীমহল ঘটনার দুই দিন পরে আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অপপ্রচার চালিয়ে মিঠুকে হাসপাতালে ভর্তি করেছে। এছাড়া সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আমাকে জড়িয়ে মিথ্যা অপপ্রচার চালানো হচ্ছে। মিঠুর মা তাসলিমা বেগম জানান,আমার ছেলেকে মারধর করে তাই তাকে চিকিৎসার জন্য বরিশাল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। জাহাঙ্গীর হোসেন জানান, মিঠুর কাছে গাজা ভর্তি ২টি বিড়ি পেয়েছে পুলিশ। কিন্তু পুলিশ মিঠুকে মারধর করেছে কিনা তা আমি জানিনা। উজিরপুর মডেল থানার ওসি তদন্ত মোঃ তৌহিদুজ্জামান সোহাগ জানান, ঘটনার সত্যতা খুঁজে পাওয়া যায়নি। অফিসার ইনচার্জ মোঃ জাফর আহম্মেদ জানান, পুলিশের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ তোলা হয়েছে তা নিরপেক্ষ তদন্ত করা হবে, তবে মাদকের বিষয় পুলিশ কোন আপোষ করবে না।