ঘরের আসবাব বিন্যাসে যে বিষয়গুলো লক্ষ্য রাখবেন

আসবাবপত্র সাজানোর সময় শুধু সৌন্দর্যের কথা চিন্তা করলেই হবে না, সেই সাথে আরাম ও সাচ্ছন্দ্যের বিষয়টিও মাথায় রাখতে হবে। নিচের সাধারন কিছু নিয়ম মেনে আসবাব সাজালে আপনার ঘরটিও হয়ে উঠবে আকর্ষণীয় :

১. প্রথমেই প্রয়োজনের দিকটি দেখতে হবে। প্রয়োজনের বাইরে ঘরে কোনো আসবাব না রাখাই শ্রেয়। অতিরিক্ত আসবাব ঘরকে ছোট দেখায়।

২. ঘরে যথেষ্ট জায়গা রেখে আসবাব সাজাতে হবে, যেন ঘরের কাজকর্ম করতে অসুবিধা না হয়। এতে সময় ও শক্তির সাশ্রয় হবে।

৩. ভারী আসবাবগুলো দেয়ালের সাথে সমান্তরালে ও হালকাগুলো কোনাকুনিভাবে সাজালে ঘরের আকৃতির সাথে মিল থাকে। এক্ষেত্রে কোনো আসবাবই দেয়াল ঘেঁষে রাখা যাবে না।

৪. বড় ঘরের জন্য বড় বড় আসবাবই মানানসই তেমনি ছোট ঘরের জন্য ছোট আসবাব। প্রয়োজনে বড় আসবাবের সাথে মিল রেখে দু/একটি ছোট আসবাব যোগ করতে পারেন।

৫. ঘরের দেয়ালের কোনো অংশের রঙ উঠে গেলে বা চুনকাম নষ্ট হয়ে গেলে ওই স্থানে কোনো আসবাব স্থাপন করে দেয়ালের সৌন্দর্য রক্ষা করতে হবে।

৬. গৃহস্থালি কাজের জন্য যেন অতিরিক্ত শক্তি অপচয় না হয় এজন্য প্রয়োজনীয় আসবাবগুলো একসাথে রাখতে হবে। যেমন খাবার টেবিলের কাছে পানির ফিল্টার বা পড়ার টেবিলের কাছে বুকশেলফ।

৭. আসবাব স্থায়ীভাবে স্থাপন না করাই ভালো, এতে প্রয়োজনে স্থান পরিবর্তন করা যায়। মাঝে মাঝে আসবাবগুলোর স্থান পরিবর্তন করলে ঘরে নতুনত্ব আসে।

৮. আসবাব উপযোগিতার ভিত্তিতে সাজাতে হবে। খাবার ঘরে যেমন আলমারি রাখা যাবে না, তেমনি বসার ঘরে খাবার টেবিল রাখা যাবে না।

৯. দরজা জানালা যেন সহজেই খোলা ও বন্ধ করা যায় সেই বিষয়টিও মাথায় রাখতে হবে। ঘরে যেন আলো বাতাসের কমতি না হয়।

১০. ওয়ালমেট ব্যবহার করতে পারেন। ঘরে আসবাব কম থাকলেও ওয়ালমেটের ব্যবহার আপনার দেয়ালকে ভরিয়ে তুলবে, ফলে আসবাবের কমতি চোখে পড়বে না।

লেখা: সাদিয়া আক্তার; শিক্ষার্থী, সম্মান ৩য় বর্ষ; গার্হস্থ্য অর্থনীতি বিভাগ; লালমাটিয়া সরকারি মহিলা কলেজ।

সংবাদটি ভালো লাগলে শেয়ার করুন

বিষয়: * আসবাবপত্র বিন্যাস * ইন্টেরিয়র ডিজাইন * লাইফস্টাইল
সর্বশেষ সংবাদ