লক্ষ্মীপুরে রিমালের তান্ডব!

লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি :
ঘূর্ণিঝড় রিমালের তাণ্ডবে লক্ষ্মীপুরের রামগতি-কমলনগরে মেঘনার জলোচ্ছ্বাসে উপকূলীয় এলাকার শতাধিক বাড়ি-ঘর এখনো পানি আক্রান্ত। জোয়ারের পানিতে হাজার হাজার পরিবার ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে। টানা বৃষ্টি ও ঝড়ো বাতাসে শত শত ঘরবাড়ী, গাছপালা ভেঙে পড়েছে। জোয়ারের পানিতে জলোচ্ছ্বাসে প্রায় ৪০টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছিল। বেশীর ভাগ এলাকার পানও নামলেও এখনো দুই শতাধিক ঘরবাড়ী পানি বন্ধী রয়েছো। কাঁচা-পাকা সড়কেরও ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।
রামগতি উপজেলার বাসিন্দা ও জেলা পরিষদের সদস্য মেজবাহ্ উদ্দিন হেলাল জানান, ঘূর্ণিঝড় রিমালের চর আব্দুল্লাহ ইউনিয়নের প্রায় ৫ শতাধিক বাড়ি-ঘর পুরো পানির নিচে ডুবে গেছে। উপজেলার চর গজারিয়া, চর গাজী, চর রমিজ, আলেকজান্ডার ইউনিয়নের মেঘনার উপকূলীয় এলাকায় প্রায় ৪০টি গ্রাম জোয়ারের পানিতে তলিয়ে গেছে। গাছ পড়ে প্রায় ৭০টি বাড়ি-ঘর ভেঙে লণ্ডভণ্ড হয়েছে।
বৃহস্পতি ও শুক্রবার কমলনগর ও রামগতির কিছু এলাকা ঘুরে এমন চিত্র দেখা যায়।
কমলনগর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো.শাহিন রানা সাংবাদিক আবীর আকাশকে জানান, টানা বৃষ্টি ও বাতাসের কারণে ফসলি জমিতে পানি জমে গেছে। কিছু কিছু জায়গার ফসলের ক্ষতির পরিমাণ জানার চেষ্টা চলছে। রামগতি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সৈয়দ আমজাদ হোসেন সাংবাদিক আবীর আকাশকে জানান, ঘূর্ণিঝড় রিমালের তাণ্ডবে ক্ষয়-ক্ষতির পরিমাণ এখনো জানা যায়নি।এখনো কিছু কিছু জায়গায় ঘরবাড়ী পানির নিচে রয়েছে। তবে যাদের ক্ষয়-ক্ষতি হয়েছে তাদের স্ব-স্ব ইউনিয়ন পরিষদে সচিব ও চেয়ারম্যানের কাছে তথ্য দিতে বলা হয়েছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুচিত্র রঞ্জন দাস আবীর আকাশকে জানান, ঘূর্ণিঝড় রিমালের ব্যাপক ক্ষয়-ক্ষতির আশঙ্কা করা হচ্ছে। ক্ষয়-ক্ষতির তথ্য নেওয়া হচ্ছে। পানি যেহেতু এখনো কিছু কিছু এলাকায় রয়েছে সেহেতু ক্ষয়ক্ষতির সঠিক হিসাব জানা কিছুটা সময় লাগবে। উপকূলীয় এলাকায় মানুষের বাড়ি-ঘর, গাছ-পালা, গবাদি পশুর ব্যপক ক্ষতি হয়েছে। নদীর পাড়ে জোয়ারের পানিতে ফসলের ক্ষতি হয়েছে।
সংবাদটি ভালো লাগলে শেয়ার করুন

বিষয়: * রিমাল
সর্বশেষ সংবাদ