অ্যাকনে মুক্ত ত্বক পেতে যা করবেন

অ্যাকনে বা ব্রণের প্রধান কারণ ত্বক থেকে অতিরিক্ত তেল বা সিবাম নিঃসরণ। এটি ত্বকের এক ধরনের বিশেষ রোগ। অতিরিক্ত তেল নিঃসরণের বিভিন্ন কারণ থাকলেও হরমোনের তারতম্য, অনিয়ন্ত্রিত খাদ্যাভ্যাস ও মানসিক চাপকেই বিশেষভাবে দায়ী করা হয়।

অ্যাকনে থেকে মুক্তির উপায়:

১. নিয়মিত ত্বক পরিষ্কার করুন : যেকোনো হালকা ক্লিনজার দিয়ে দিনে দুইবার ত্বক পরিষ্কার করুন। এতে অতিরিক্ত তেল, ময়লা, ধুলাবালি ত্বক থেকে দূর হবে। অ্যাকনে থাকাকালীন ত্বকে কোনো রকম স্ক্রাবিং করবেন না, এতে ত্বক জ্বালাপোড়া করবে ও সমস্যা বাড়বে।

২. নন-কমেডোজেনিক প্রসাধনী ব্যবহার করুন : যে সকল প্রসাধনী আমাদের ত্বকে থাকা রোমকূপের মুখ বন্ধ হতে দেয় না সেগুলোকে নন কমেডোজেনিক বলা হয়। এই সকল প্রসাধনীর ব্যবহার অ্যাকনের বিরুদ্ধে কাজ করে।

৩. সঠিক ময়েশ্চারাইজার নির্বাচন করুন : আপনার ত্বক যদি তৈলাক্ত হয় তাহলে ত্বক শুষ্ক রাখতে অবশ্যই মৃদু ও তেলমুক্ত ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করুন। শুষ্ক ত্বক অতিরিক্ত তেল উৎপাদনে বাধা দেয়।

৪. মুখে হাত লাগাবেন না : হাতের মাধ্যমেই বিভিন্ন জীবাণু যেমন ব্যাকটেরিয়া সহজেই স্থানান্তরিত হয়, কাজেই অপ্রয়োজনে মুখে হাত দিবেন না।

৫. অ্যাকনে গালানো যাবে না : কোনো অবস্থাতেই অ্যাকনে গালানো যাবে না, এতে ব্যাকটেরিয়া ছড়িয়ে ইনফেকশন হতে পারে। যা মুখে ক্ষত সৃষ্টি করে উল্টো সমস্যা বাড়িয়ে দেয়।

৬. সুষম খাদ্য গ্রহণ করুন : অনিয়ন্ত্রিত খাদ্যাভ্যাস অ্যাকনের প্রকোপ বাড়িয়ে তোলে। প্রতিদিনের খাদ্য তালিকা থেকে বাদ দিতে হবে তেল ও মশলা জাতীয় খাবার আর যুক্ত করতে হবে ফল, সবজি, বাদাম ও বীজ জাতীয় খাবার। মাছের তেল, ঢেঁকি ছাটা চাল, জিংক যুক্ত খাবার অ্যাকনের বিরুদ্ধে কাজ করে।

৭. মানসিক চাপমুক্ত থাকুন : অতিরিক্ত চাপ হরমোনের ভারসাম্য নষ্ট করে ফলে ত্বকের তৈলাক্ত ভাব বৃদ্ধি পায়। মানসিক চাপ কমাতে মেডিটেশন, ইয়োগা, গভীর শ্বাস-প্রশ্বাসের ব্যায়াম ভালো কাজ করে।

৮. সঠিক সময়ে ঘুম নিশ্চিত করুন : সঠিক সময়ে না ঘুমালে হরমোন নিঃসরণের মাত্রায় তারতম্য ঘটে যা অ্যাকনে বিস্তারে সরাসরি প্রভাব ফেলে। কাজেই রাতে ৮ ঘন্টা ঘুমানোর চেষ্টা করুন।

৯. সূর্যের ক্ষতিকর রশ্মি থেকে দূরে থাকুন : সূর্যের অতি বেগুনি রশ্মি ত্বকে হাইপারপিগমেন্টেশন ও ক্ষতের সৃষ্টি করে। কাজেই প্রতিদিন সানস্ক্রিন (এসপিএফ ৩০ বা তার উপরে) ব্যবহার করুন, এমনকি মেঘলা দিনেও।

১০. ডার্মাটোলজিস্টের পরামর্শ নিন : এর পরেও অ্যাকনের প্রকোপ না কমলে অতিদ্রুত ডার্মাটেলোজিস্টের (চর্মরোগ বিশেষজ্ঞ) পরামর্শ নিন। ব্রনের চিকিৎসায় ডাক্তার অ্যান্টিবায়োটিক, ক্যামিক্যাল পিল বা লেজার থেরাপির সাহায্য নিতে পারেন।

লেখা: সাদিয়া আক্তার; শিক্ষার্থী, সম্মান ৩য় বর্ষ; গার্হস্থ্য অর্থনীতি বিভাগ; লালমাটিয়া সরকারি মহিলা কলেজ।

সংবাদটি ভালো লাগলে শেয়ার করুন

বিষয়: * অ্যাকনে * অ্যাকনে ভালগারিস * ব্রণ
সর্বশেষ সংবাদ