পিএইচডি চালু করলো নোবিপ্রবির ফার্মেসি বিভাগ

নোবিপ্রবি :
নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (নোবিপ্রবি) দ্বিতীয় বিভাগ হিসেবে পিএইচডি প্রোগ্রাম চালু করেছে ফার্মেসি বিভাগ।ন্যূনতম ৩ বছর মেয়াদি এই প্রোগ্রামে ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষে গবেষকদের নিকট থেকে আবেদন আহবান করেছে বিভাগটি। আজ  বুধবার (১৫ মে) বিশ্ববিদ্যালয়ের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে রেজিস্ট্রার মোঃ জসীম উদ্দিন স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তি হতে এ বিষয়ে জানা যায়।
বিজ্ঞপ্তি হতে জানা যায়, বিদেশ থেকে অর্জিত ডিগ্রির ক্ষেত্রে ইউজিসি কর্তৃক সমতা সনদ প্রদান করতে হবে। পিএইচডি প্রোগ্রামে ভর্তির জন্য আগ্রহী প্রার্থীকে ইউজিসি স্বীকৃত বাংলাদেশের যেকোন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে চার বা পাঁচ বছর মেয়াদী স্নাতক ও এক বছর মেয়াদী মাস্টার্স অথবা এমফিল ডিগ্রির অধিকারী  হতে হবে। প্রার্থীদের সব পরীক্ষায় কমপক্ষে ২য় বিভাগ/শ্রেণিসহ ন্যূনতম ৫০ শতাংশ নম্বর থাকতে হবে। জিপিএ নিয়মে মাধ্যমিক বা সমমান থেকে স্নাতক বা স্নাতকোত্তর পর্যন্ত সকল পরীক্ষায় জিপিএ-৫ এর মধ্যে ৩.৫ অথবা জিপিএ-৪ এর মধ্যে ৩ থাকতে হবে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরো বলা হয়,তিন বছর মেয়াদী স্নাতক সম্মান এবং এক বছর মেয়াদী মাস্টার্স ডিগ্রি ধারী প্রার্থীদের ক্ষেত্রে উল্লেখিত শিক্ষাগত যোগ্যতা ছাড়াও স্নাতক পর্যায়ে কোন স্বীকৃত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কমপক্ষে দু’বছরের শিক্ষকতার অভিজ্ঞতা থাকতে হবে অথবা কোন স্বীকৃতমানের গবেষণা প্রতিষ্ঠানে কমপক্ষে দু’বছরের গবেষণা সংক্রান্ত কাজের অভিজ্ঞতা থাকতে হবে অথবা সরকারি, বেসরকারি, স্বায়ত্তশাসিত বা আধা-স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানে কমপক্ষে দু’বছরের চাকুরির অভিজ্ঞতা থাকতে হবে। আবেদনের প্রক্রিয়া সম্পর্কে বিজ্ঞপ্তি হতে জানা যায়, আগ্রহী প্রার্থীদের  বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইট থেকে আবেদন পত্র ডাউনলোড করা যাবে। যথাযথভাবে পূরণ পূর্বক আবেদন ফরম ফার্মেসি বিভাগের চেয়ারম্যান অফিসে জমা দিতে হবে। আবেদন পত্রের সাথে সকল পরীক্ষার নম্বর পত্রের ফটোকপি, সদ্য তোলা পাসপোর্ট সাইজের ১ কপি ছবি (সংশ্লিষ্ট তত্ত্বাবধায়ক/বিভাগের চেয়ারম্যান কর্তৃক সত্যয়নকৃত) এবং গবেষণার একটি রূপরেখা জমা দিতে হবে।
বিভাগীয় সূত্রে জানা যায়, এই প্রোগ্রামের অধীনে সর্বোচ্চ ১৮ জন শিক্ষার্থী তাদের পিএইচডি ডিগ্রি সম্পন্ন করতে পারবে। আবেদনকারীরা সংশ্লিষ্ট বিভাগের শিক্ষকদের মধ্য হতে তত্ত্বাবধায়ক নির্বাচন করে তার বা তাদের মাধ্যমে পিএইচডি গবেষণার আবেদন দাখিল করতে পারবে। এর আগে গত ৫ মে (রোববার) নোবিপ্রবির ফিশারিজ এন্ড মেরিন সায়েন্স বিভাগ ১ম বারের মতো বিশ্ববিদ্যালয়টিতে পিএইচডি প্রোগ্রাম চালু করে। যাকে মাইলফলক হিসেবে অবহিত করেন বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। এবার সেই তালিকায় যুক্ত হলো ফার্মেসি বিভাগ। এ বিষয়ে ফার্মেসি বিভাগের চেয়ারম্যান ড. মো. শফিকুল ইসলাম বলেন,  “আমরা ফার্মেসি বিভাগ পিএইচডি প্রোগ্রাম চালু করতে পেরে অনেক বেশি উচ্ছ্বসিত। আমাদের বিভাগে আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন গবেষকরা শিক্ষাদান কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছেন। তবে নানা প্রতিবন্ধকতায় আমরা পিএইচডি ডিগ্রি শুরু করতে পারিনি। আমরা চাই উচ্চশিক্ষায় আমাদের দেশের মেধাবী শিক্ষার্থীরা এগিয়ে যাক, দেশের সুনাম বয়ে আনুক।
গবেষণাগারের গুণগত মান এর বিষয়ে জিজ্ঞাসা করলে তিনি বলেন, আমাদের ফার্মেসি বিভাগ বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যান্য গবেষণাগারগুলো থেকে অনেক সমৃদ্ধ। আমাদের এখানে পিএইচডি গবেষণার জন্য পর্যাপ্ত পরিমাণে যন্ত্রপাতি রয়েছে। তবে যদি এমন কিছু থাকে যা এখানে সম্পন্ন করা সম্ভব হচ্ছে না তাহলে আন্তর্জাতিক কোলাবোরেশানের মাধ্যমে আমরা তা সম্পন্ন করতে পারবো। মৌলিক গবেষণা করাই হবে আমাদের মূল লক্ষ্য।” তিনি আরো বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের র‍্যাংকিংয়ে স্নাতক বা স্নাতকোত্তরের ৬ মাসের গবেষণা খুব বেশি একটা ভূমিকা পালন করতে পারে না। পিএইচডিতে যখন মৌলিক বিষয়গুলো নিয়ে গবেষণা করা হয় এবং আন্তর্জাতিক বিভিন্ন জার্নালে প্রকাশিত হয় তখন তা বিশ্ববিদ্যালয়ের র‍্যাংকিংয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে। আশা করি সামনের দিনগুলোতে আমরাও র‍্যাংকিংয়ে এগিয়ে যাবো।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার নেওয়াজ মোহাম্মদ বাহাদুর বলেন, ইতিমধ্যে ফার্মেসি ও ফিমস বিভাগে পিএইচডি প্রোগ্রাম চালু হয়েছে। এছাড়াও যেকোনো বিভাগ যদি পিএইচডি প্রোগ্রাম চালুর ইচ্ছে পোষণ করে এবং পিএইচডি’র শিক্ষার্থীদের পরিচালনার মতো যোগ্যতাসম্পন্ন শিক্ষক যদি বিভাগে  থাকে তারা সুনির্দিষ্ট নীতিমালা মেনে পিএইচডি প্রোগ্রাম চালুর অনুমতি পেতে পারে।

সংবাদটি ভালো লাগলে শেয়ার করুন

বিষয়: * নোবিপ্রবি