সৈয়দপুরে উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ায় বিএনপি নেতা রানা বহিষ্কার

সৈয়দপুর (নীলফামারী) প্রতিনিধি:
আগামী ২১ মে অনুষ্ঠিতব্য ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের দ্বিতীয় পর্বে নীলফামারীর সৈয়দপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদে অংশগ্রহণ করায় সৈয়দপুর সাংগঠনিক জেলা বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক-৩  রিয়াদ আরফান সরকার রানাকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। গত শনিবার (৪ মে) কেন্দ্রীয় বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে এই বহিষ্কার আদেশ দেওয়া হয়েছে।
রিজভী আহমেদ স্বাক্ষরিত চিঠিতে বলা হয়েছে যে, দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে আসন্ন সৈয়দপুর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে অংশ গ্রহণের সুনির্দিষ্ট অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে দলীয় গঠনতন্ত্র মোতাবেক বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) প্রাথমিক সদস্য পদসহ সব পর্যায়ের পদ থেকে আপনাকে (রিয়াদ আরফান সরকার রানা) হাই কমান্ডের নির্দেশক্রমে বহিষ্কার করা হলো। এই সিদ্ধান্ত অবিলম্বে কার্যকর হবে বলেও চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে।
এর আগে, গত বুধবার কেন্দ্রীয় বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে তাকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়।  রিয়াদ আরফান সরকার রানা সৈয়দপুর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে দোয়াত-কলম প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
উল্লেখ্য, রিয়াদ আরফান সরকার রানা সৈয়দপুর জেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক এবং সাবেক জাতীয় সংসদ সদস্য, সাবেক সৈয়দপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও পৌরসভার মেয়র প্রয়াত আমজাদ হোসেন সরকারের ছেলে। কোন সময়েই বিএনপি বা অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের কোনটির সাথে ন্যুনতম সংশ্লিষ্টতা না থাকলেও শুধু তাঁর বাবার অবদানের কথা ভেবে রানাকে সৈয়দপুর রাজনৈতিক জেলা বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক-৩ পদে গত বছর সংযুক্ত করা হয়।
এতে দলের স্থানীয় নেতাকর্মীদের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছিল। তবে এক্ষেত্রে মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সুপারিশকে গুরুত্ব দেয়া হয়েছিল। অনেকেই বলেছিলেন যে, এটা কেন্দ্র থেকে চাপিয়ে দেয়া ভুল সিদ্ধান্ত। এক বছর যেতে না যেতেই তা প্রমাণিত দলের সিদ্ধান্ত ও কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের অনুরোধ উপেক্ষা করে নির্বাচন করার হটকারী সিদ্ধান্তের মাধ্যমে। সে কারণে বাগিয়ে নেয়া সেই পদ হারাতে হলো। (ছবি আছে)
সংবাদটি ভালো লাগলে শেয়ার করুন

বিষয়: * উপজেলা নির্বাচন * বিএনপি